১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?
A
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
B
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
C
ভগৎ সিং
D
মাস্টারদা সূর্য সেন
উত্তরের বিবরণ
১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব দেন মাস্টারদা সূর্য সেন, যিনি চট্টগ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী নেতা ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
পূর্ণ নাম: সূর্যকুমার সেন।
-
জন্ম: ১৮৯৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে।
-
বিএ পড়ার সময় তিনি তাঁর শিক্ষক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী কর্তৃক বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত হন।
-
অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী যুগান্তর নামে বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
-
১৯১৬ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে বি.এ. শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী তাঁকে বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত করেন।
-
১৯১৮ সালে চট্টগ্রামে ফিরে তিনি বিপ্লবী যুগান্তর দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
-
শিক্ষকতা করার কারণে পরিচিত মহলে তাঁকে ‘মাস্টারদা’ আখ্যা দেওয়া হয়।
-
সূর্য সেন নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়।
-
ক্রমে এই আন্দোলন চট্টগ্রাম এলাকায় বিপ্লবী আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
-
চট্টগ্রামে ফিরে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী একটি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
-
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযান পরিচালনা করা হয়, যা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার ফল ছিল।
-
১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
গোলাম মোহাম্মদ
B
আইয়ুব খান
C
ইস্কান্দার মির্জা
D
ইয়াহিয়া খান
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা (১৯৫৪)
-
গঠনের তারিখ: ৩ এপ্রিল ১৯৫৪
-
মুখ্যমন্ত্রী: শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক
-
মন্ত্রিসভার সদস্যরা:
পদের নাম | মন্ত্রী |
---|---|
অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্র | এ কে ফজলুল হক |
বিচার, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার | আবু হোসেন সরকার |
বেসামরিক সরবরাহ ও যোগাযোগ | আশরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী |
শিক্ষা, বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্প | সৈয়দ আজিজুল হক |
-
মন্ত্রীসভা কার্যকাল: মোট ৫৬ দিন, যার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা দায়িত্বে ছিল মাত্র ১৫ দিন।
-
বাতিলের কারণ: রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফজলুল হক মন্ত্রীসভা বাংলাকে স্বাধীন করতে চাইছে এমন অজুহাতে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ ৩০ মে ১৯৫৪ মন্ত্রীসভা বাতিল করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র), প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 3 weeks ago
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?
Created: 6 days ago
A
লর্ড কর্নওয়ালিস
B
ওয়ারেন হেস্টিংস
C
রবার্ট ক্লাইভ
D
লর্ড কার্জন
১৭৬৫ সালে দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, যেখানে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব নবাবের হাতে রাখা হয়।
দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা:
-
১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলার গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
-
এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে, আর নিয়ামত বা প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের হাতে অর্পিত ছিল।
-
দ্বৈত শাসনের কারণে দায়িত্বহীনতা ও অরাজকতা বাংলার জনজীবনে নেমে আসে।
-
অবাধ লুন্ঠন ও যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায় গ্রাম্যজীবন ধ্বংস করে।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা দেখা দেয়।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago
জাতিসংঘ ও এর সাথে সম্পর্কিত ব্যাক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান মোট কতবার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 5 days ago
A
১০ বার
B
১১ বার
C
১২ বার
D
১৩ বার
নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং জাতিসংঘ
জাতিসংঘ ও এর সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তি বা সংস্থা মোট ১২ বার নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব যারা নোবেল পেয়েছেন:
-
দ্যাগ হেমারশোল্ড – ১৯৬১
-
কফি আনান – ২০০১
গুরুত্বপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কার (জাতিসংঘ সংক্রান্ত):
বছর | বিজয়ী | মন্তব্য |
---|---|---|
২০২০ | বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) | খাদ্য সুরক্ষা ও দুর্ভিক্ষ নিবারণে অবদান |
২০১৩ | অর্থনৈতিক ও রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা (OPCW) | রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস ও মনিটরিং |
২০০৭ | আইপিসিসি (IPCC) ও আল গোর জুনিয়র | জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অবদান |
২০০৫ | আইএইএ (IAEA) ও মোহামেদ এলবারাদি | পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও শান্তি প্রচেষ্টা |
২০০১ | জাতিসংঘ ও কফি আনান | শান্তি ও মানবাধিকার সংরক্ষণে অবদান |
১৯৮৮ | জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী | শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিরোধ শমন |
১৯৮১ | ইউএনএইচসিআর (UNHCR) | শরণার্থী সংরক্ষণ ও মানবিক সহায়তা |
১৯৬৯ | আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) | শ্রম অধিকার ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় অবদান |
১৯৬৫ | ইউনিসেফ (UNICEF) | শিশুদের কল্যাণ ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন |
১৯৬১ | দ্যাগ হেমারশোল্ড | শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব |
১৯৫৪ | ইউএনএইচসিআর (UNHCR) | শরণার্থী সাহায্য ও পুনর্বাসন |
১৯৫০ | রালফ বাঞ্চ (Ralph Bunche) | মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা |

0
Updated: 5 days ago