ওয়াহাবি আন্দোলনের সাথে কার নাম জড়িত?
A
মীর নিসার আলী
B
হাজী শরীয়তুল্লাহ
C
দুদু মিয়া
D
সৈয়দ আমীর আলী
উত্তরের বিবরণ
ওয়াহাবি আন্দোলন পূর্ব ও পশ্চিম বাংলায় প্রায় একই সময়ে শুরু হওয়া দুটি ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের অংশ ছিল। পূর্ব বাংলায় এটি ফরায়েজি আন্দোলন নামে পরিচিত ছিল, আর পশ্চিম বাংলায় ওয়াহাবি বা ‘তারিক-ই-মুহম্মদীয়া’ নামে পরিচিত। ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর, এবং এটি শেষ হয় ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে তিতুমীরের শাহাদাত বরণের মাধ্যমে।
-
উনিশ শতকে ভারতবর্ষে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কার দূর করে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের সঠিক পথ নির্দেশ করাই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য।
-
বাংলার ওয়াহাবিরাও তিতুমীরের নেতৃত্বে একই উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়।
-
তিতুমীরের ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলনে বহু মুসলমান, বিশেষ করে চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলার কৃষক ও তাঁতী, স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
-
১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে তিতুমীর তাঁর প্রধান ঘাটি স্থাপন করেন এবং ইতিহাস খ্যাত বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন।
-
গোলাম মাসুমের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হয় একটি সুদক্ষ লাঠিয়াল বাহিনী।
-
ইংরেজ জমিদার ও নীলকরদের দ্বারা শোষিত কৃষকরা তিতুমীরের বাহিনীতে যোগ দিলে ধর্ম সংস্কার আন্দোলন বৃহৎ কৃষক আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
শাসক-শোষক ও জমিদার শ্রেণি কৃষকদের সংঘবদ্ধতা এবং তিতুমীরের শক্তিতে শঙ্কিত হয়ে পড়ে।
-
মেজর স্কটের নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী নারিকেলবাড়িয়ার বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করে। তিতুমীর ও তাঁর বাহিনী বীরত্বপূর্ণভাবে লড়াই করার পর পরাজিত হয় এবং তিতুমীর যুদ্ধে নিহত হন।
-
এভাবে একটি সুসংগঠিত কৃষক আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ‘ANNIHILATE THESE DEMONS’ শিরোনামের পোস্টারটি কে এঁকেছিলেন?
Created: 1 week ago
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান
-
পরিচিতি:
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
-
জন্ম: ২ ডিসেম্বর ১৯২১, কলকাতায় (পিতার কর্মস্থল)।
-
অবদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করেন।
-
তাঁর ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ চিত্রকর্ম অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকেট প্রকাশ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ ও বিখ্যাত পোস্টার
-
প্রসিদ্ধ পোস্টার: ১৯৭১ সালে তিনি আঁকেন "ANNIHILATE THESE DEMONS (এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে)" শিরোনামের ঐতিহাসিক পোস্টার।
-
প্রেক্ষাপট:
-
২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের সর্বত্র গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নারীর উপর নৃশংস নির্যাতন চালায়।
-
এর মূল নির্দেশদাতা ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
-
-
প্রতীকী প্রকাশ:
-
কামরুল হাসান ব্যঙ্গচিত্রে ইয়াহিয়ার মুখাবয়বকে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এই শিল্পকর্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ সংগ্রামে শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমে পরিণত হয়।
-
-
প্রকাশ ও প্রচার:
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯৭১ সালের মে মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত জয় বাংলা পত্রিকায়।
-
পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এক রঙে এর লক্ষাধিক কপি ছাপিয়ে মুক্তাঞ্চলে বিতরণ করে।
-
বিদেশি প্রচারের জন্য ইংরেজি ভাষ্যে এর শিরোনাম ছিল: Annihilate the Demons।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 1 week ago
ওরাওঁ সমাজে গ্রামীণ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গঠিত সংগঠনের নাম কী?
Created: 3 days ago
A
পাঁড়হা
B
পাঞ্চেস
C
নাইগাস
D
মহাতোষ
ওরাওঁ বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি নৃগোষ্ঠী, যারা তাদের নিজস্ব ভাষা, সাংস্কৃতিক প্রথা ও সামাজিক সংগঠন বজায় রেখে বসবাস করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
বাসস্থান: বরেন্দ্র অঞ্চল, পাশাপাশি ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলায় ঐতিহাসিকভাবে বসতি।
-
ভাষা ও বর্ণমালা: ভাষার নাম কুরুক, বর্ণমালা নেই এবং সাহিত্য মৌখিক।
-
জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস: অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় ভাষাতাত্ত্বিক গোষ্ঠী।
-
গ্রাম সংগঠন: পাঞ্চেস, যা যাবতীয় বিবাদ মেটানো ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কার্যকর।
-
গ্রাম প্রশাসন:
-
একজন হেডম্যান বা মহাতোষ
-
একজন পুরোহিত বা নাইগাস
-
গ্রামে বয়স্ক সাত-আটজন ব্যক্তি দ্বারা পাঞ্চেস গঠিত হয়।
-
-
পাঞ্চেসের কার্যকাল: সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর।

0
Updated: 3 days ago
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস না হওয়ার প্রধান কারণ -
Created: 6 days ago
A
সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেটো
B
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
C
ভারতের আপত্তি
D
চীনের অনুপস্থিতি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পক্ষে ভেটো প্রদান করায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়নি, যা বাংলাদেশের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে মোট তিনবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনে।
-
সোভিয়েত ইউনিয়ন সেই তিনবারের প্রতিটি প্রস্তাবেই ভেটো দেয়।
-
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে ৭ম নৌবহর প্রেরণ করে।
-
তার পাল্টা হিসেবে ভারত মহাসাগরে অবস্থানরত সোভিয়েত ইউনিয়নের ২০তম নৌবহর ৭ম নৌবহরের পিছু নেয়।
সূত্র:

0
Updated: 6 days ago