সিপাহী বিদ্রোহ কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?
A
কানপুর
B
ব্যারাকপুর
C
দিল্লি
D
মিরাট
উত্তরের বিবরণ
সিপাহী বিদ্রোহ ভারতীয়দের প্রথম জাতীয় সংগ্রাম বা ‘স্বাধীনতা লড়াই’ হিসেবে পরিচিত, যা ব্রিটিশ শাসন অবসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে রেকর্ড আছে। এই বিদ্রোহের বিস্তারিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামক একজন সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু করেন।
-
ক্রমে এই বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেল খণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর, দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা ঘোষণা করে।
-
নানা সাহেব (মারাঠা নেতা), ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
-
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙ্গে কয়েদিদের মুক্তি, খাজাঞ্চিখানা লুঠ এবং সর্বত্র ব্রিটিশদের আক্রমণ করে।
-
এ লড়াই শুধু সিপাহীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ভারতের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সাধারণ জনগণও সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে।
এ বিদ্রোহের কারণগুলোকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
-
পরোক্ষ কারণ:
-
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক অসন্তোষ।
-
-
প্রত্যক্ষ কারণ:
-
১৮৫৬ সালে সেনাবাহিনীতে ‘এনফিল্ড রাইফেল’ প্রচলন।
-
কার্তুজ ব্যবহারের জন্য দাঁতে কেটে ভরা বাধ্যতামূলক করা হতো।
-
গুজব রটে যে কার্তুজে শুকর ও গরুর চর্বি মেশানো আছে।
-
এটি ধর্মনাশের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে ভারতের হিন্দু-মুসলমান সিপাহীদের মধ্যে দারুণ বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
-
উৎস:

0
Updated: 19 hours ago
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কে?
Created: 5 days ago
A
দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
B
পল-হেনরি স্পাক
C
ট্রিগভেলী
D
লেস্টার বি. পিয়ারসন
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (UN General Assembly)
-
প্রকৃতি: জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ সংস্থা
-
সদস্য সংখ্যা: ১৯৩টি দেশ
-
আইনগত ভিত্তি: জাতিসংঘ সনদের চতুর্থ অধ্যায় (ধারা ৯–২২)
-
অধিবেশন: বার্ষিক সাধারণ অধিবেশন, সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়
-
প্রথম অধিবেশন:
-
তারিখ: ১০ জানুয়ারি, ১৯৪৬
-
স্থান: লন্ডন
-
প্রতিনিধি: ৫১টি দেশ
-
সভাপতি: বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পল-হেনরি স্পাক
-

0
Updated: 5 days ago
বাংলাদেশের সংবিধান কবে থেকে কার্যকর হয়?
Created: 3 days ago
A
২৬ মার্চ, ১৯৭২
B
৪ নভেম্বর, ১৯৭২
C
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
D
১০ এপ্রিল, ১৯৭২
বাংলাদেশের সংবিধান (১৯৭২)
-
প্রণয়ন কমিটি গঠন: ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল, ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠিত।
-
গৃহীত: ৪ নভেম্বর ১৯৭২ সালে গণপরিষদে।
-
কার্যকর: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস)।
-
মূল লেখক: শিল্পী আব্দুর রউফ।
-
অঙ্গসজ্জা: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
-
প্রচ্ছদ: শীতলপাটির উপর লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’।
-
স্বাক্ষর: গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন, বাংলা ও ইংরেজী লিপিতে।
-
বিরোধী দলের স্বাক্ষর: একমাত্র সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।

0
Updated: 3 days ago
২০২৪ সালে দেশে কোন খাতে সর্বাধিক বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে?
Created: 1 week ago
A
ব্যাংকিং খাত
B
কৃষি ও মৎস্য খাত
C
পোশাক খাত
D
টেলিকমিউনিকেশন খাত
বৈদেশিক বিনিয়োগ:
- মূলত বিদেশ থেকে যত বিনিয়োগ আসে এবং সেই সময়ে আগের বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধ করার পর বিয়োজন করলে যা অবশিষ্ট থাকে সেটাই নিট বিনিয়োগ।
- ২০২৪ সালে দেশে মোট নেট এফডিআই এসেছে ১.২৭ বিলিয়ন ডলার বা ১২৭ কোটি ডলার।
- এটি ২০২৩ সালের তুলনায় ১৩.২৫ শতাংশ কম।
⇒ ২০২৪ সালে আসা মোট এফডিআইয়ের মধ্যে ৬২২ মিলিয়ন ডলার ছিল রিইনভেস্টেড আর্নিংস।
- বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ এসেছে ব্যাংকিং খাতে—৪১৬ মিলিয়ন ডলার।
- এরপর পোশাক খাতে এসেছে ৪০৭ মিলিয়ন ডলার।
- এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ, কৃষি ও মৎস্য খাতে ৭ কোটি ৫ লাখ এবং ট্রেডিং খাতে ৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এফডিআই এসেছে।
- এর মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে চামড়া, কৃষি, মৎস্য ও ট্রেডিং খাতে; কমেছে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেলিকমিউনিকেশন খাতেও গত বছর এফডিআই কমেছে।

0
Updated: 1 week ago