NPT চুক্তি কোন বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত?
A
জলবায়ু পরিবর্তন
B
পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ
C
সার্বজনীন মানবাধিকার
D
বিশ্ব বানিজ্য
উত্তরের বিবরণ
NPT চুক্তি (Treaty on the Non-Proliferation of Nuclear Weapons) হলো পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি, যার লক্ষ্য পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করা।
-
চুক্তি খসড়া ও কার্যকর:
-
খসড়া গৃহীত: ১ জুলাই ১৯৬৮
-
কার্যকর: ৫ মার্চ ১৯৭০
-
-
প্রাথমিক পৃষ্ঠপোষক দেশ: যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া)
-
নজরদারি সংস্থা: IAEA (International Atomic Energy Agency)
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: প্রায় ১৯১টি দেশ
-
চুক্তিতে অংশগ্রহণ না করা দেশ: ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল
-
NPT থেকে বের হওয়া দেশ: উত্তর কোরিয়া (২০০৩ সালে)
-
চুক্তির মেয়াদ:
-
প্রথমে: ২৫ বছরের জন্য কার্যকর
-
পরে: ১৯৯৫ সালে অনির্দিষ্টকালের জন্য সম্প্রসারিত
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন দুটি দেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
চীন ও ভারত
B
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনযুক্তরাষ্ট্র ও চীন
C
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া
D
রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া
পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ:
- যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ বিশ্বের ৯টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
- ২০২৫ সালের শুরুর দিকে, অনুমান করা হয় ৯টি দেশের হাতে মোট ১২ হাজার ২৪১টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।
- বিশ্বে মোট পারমাণবিক অস্ত্রের ৮৭ শতাংশই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার অস্ত্রাগারে।
- এ ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রায় ৮৩ শতাংশ পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে, যা বাস্তবে মোতায়েন করা বা সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
- বাকি ১৩ শতাংশ অস্ত্র রয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েলের হাতে।
- আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১ হাজার ৪১৯টি এবং রাশিয়া প্রায় ১ হাজার ৫৪৯টি কৌশলগত পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র শতাধিক বোমারু বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রে মোতায়েন করে রেখেছে।
0
Updated: 2 months ago
২০১৫ সালে ইরানের সাথে মোট কয়টি দেশের পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে?
Created: 4 days ago
A
৪ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৭ টি
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তিটি বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই চুক্তি, যা “Joint Comprehensive Plan of Action (JCPOA)” নামে পরিচিত, স্বাক্ষরিত হয় ১৪ জুলাই ২০১৫ সালে ভিয়েনায়। চুক্তিটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমিত করা, যাতে দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, এবং এর বিনিময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। এই ঐতিহাসিক চুক্তিতে ইরানের পাশাপাশি ছয়টি বিশ্বশক্তি অংশ নেয়, যাদের একত্রে বলা হয় P5+1 দেশসমূহ।
● P5+1 দেশসমূহ হলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য এবং অতিরিক্ত একটি দেশ—মোট ছয়টি দেশ। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন এবং জার্মানি। এই দেশগুলো মিলে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের অবসান ঘটায়।
● যুক্তরাষ্ট্র ছিল এই চুক্তির অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন বারাক ওবামা, যিনি কূটনৈতিক পথেই ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ছিলেন।
● যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে কূটনৈতিকভাবে এই আলোচনায় বড় ভূমিকা রাখে। তাদের লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের ঝুঁকি কমানো এবং ইরানের অর্থনৈতিক স্থিতি ফিরিয়ে আনা।
● রাশিয়া ও চীন উভয়েই ইরানের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক অংশীদার, তবে তারা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে এই চুক্তিকে সমর্থন জানায়। বিশেষ করে রাশিয়া পারমাণবিক জ্বালানির সরবরাহ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
● জার্মানি, যদিও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রভাবশালী দেশ হিসেবে এই চুক্তিতে যোগ দেয়। জার্মানির ভূমিকা ছিল অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং ইরানের বাণিজ্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা।
● চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ইরানকে তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম সীমিত করতে, ফোর্ডো ও নাতাঞ্জের মতো কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শনের সুযোগ দিতে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়।
● বিনিময়ে, পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, যা ইরানের তেল রপ্তানি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পুনরায় চালু করতে সাহায্য করে।
● এই চুক্তির ফলে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তারের ঝুঁকি কিছুটা কমে আসে এবং মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা সম্ভব হয়।
● তবে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে সরে আসেন, যার ফলে চুক্তির কার্যকারিতা অনেকাংশে ব্যাহত হয়। পরবর্তীতে ইউরোপীয় দেশগুলো ও ইরান আলোচনা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সুতরাং, ২০১৫ সালের এই ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিটি ইরানের সঙ্গে মোট ৬টি দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা বিশ্ব কূটনীতিতে “Iran Nuclear Deal” নামে পরিচিত।
0
Updated: 4 days ago
কোনটি Nuclear Non- Proliferation Treaty চুক্তি দ্বারা স্বীকৃত পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্র নয়?
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাজ্য
B
ফ্রান্স
C
ভারত
D
চীন
NPT চুক্তি হলো Nuclear Non-Proliferation Treaty, যা পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি। এটি স্বাক্ষরিত হয় ১ জুলাই, ১৯৬৮ এবং কার্যকর হয় ৫ মার্চ, ১৯৭০ থেকে। বর্তমানে ১৯১টি দেশ চুক্তির স্বাক্ষরকারী।
-
পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদক রাষ্ট্রের সংখ্যা: ৫টি — চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
-
এই ৫টি রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে NPT দ্বারা পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী (Nuclear Weapon States, NWS) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে
-
চুক্তি এই দেশগুলোর পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে স্বীকৃতি দেয়, তবে NPT-এর অনুচ্ছেদ ৬-এর অধীনে চিরস্থায়ীভাবে অস্ত্র তৈরি ও বজায় রাখার নির্দেশ নেই
অন্যদিকে:
-
ভারত, পাকিস্তান এবং ইসরায়েল NPT-এ কখনো যোগ দেয়নি, কিন্তু তারা পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী
-
উত্তর কোরিয়া NPT-এ যোগ দিয়েছিল, কিন্তু ২০০৩ সালে চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়
উৎস:
0
Updated: 1 month ago