১৯৯৫ সালে বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলনের মূল স্লোগান কী ছিল?
A
নারীর দৃষ্টিতে বিশ্বকে দেখ
B
বিশ্বর নারীরা এক হও
C
নারীর অধিকার মানবাধিকার
D
নারী নির্যাতন বন্ধ কর
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে চারটি বিশ্ব নারী সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এর মধ্যে সর্বশেষ, চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৯৫ সালে চীনের বেইজিং শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “নারীর দৃষ্টিতে বিশ্বকে দেখ”।
জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত চারটি বিশ্ব নারী সম্মেলনের বিবরণ নিচে দেওয়া হলো:
-
প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন: ১৯৭৫ সালে, মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো
-
দ্বিতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন: ১৯৮০ সালে, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
-
তৃতীয় বিশ্ব নারী সম্মেলন: ১৯৮৫ সালে, নাইরোবি, কেনিয়া
-
চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন: ১৯৯৫ সালে, বেইজিং, চীন
বিশেষ উল্লেখযোগ্য, বেইজিং সম্মেলনে গৃহীত “বেইজিং ঘোষণা এবং কর্মের জন্য প্ল্যাটফর্ম” আজকের দিনে ১৮৯টি দেশের সর্বসম্মতিক্রমে নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতার মূল নীতিমালা হিসেবে স্বীকৃত। এই প্ল্যাটফর্মটি ১২টি প্রধান ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে মহিলাদের উন্নয়ন ও লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য কৌশলগত লক্ষ্য ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে।
সূত্র: UN Women অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 2 months ago
A
হারারে, ১৯৮৯ সালে
B
বেলগ্রেডে, ১৯৬১ সালে
C
হাভানা, ১৯৭৩ সালে
D
কায়রো, ১৯৭০ সালে
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন (NAM) পরিচিতি
পূর্ণরূপ: Non-Aligned Movement (NAM)
প্রতিষ্ঠা: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬১
সদস্য সংখ্যা: বর্তমানে ১২১টি দেশ
বর্তমান চেয়ারম্যান: উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইওয়েরি মুসেভেনি (মেয়াদ: ২০২৪-২০২৭)
ধরন: এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা মূলত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর স্বার্থ, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষ অবস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে।
পটভূমি ও সৃষ্টি:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন বিশ্ব দুইটি শক্তিশালী জোটে বিভক্ত হয় — একদিকে পুঁজিবাদী ন্যাটো, অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক ওয়ারশ প্যাক, তখন কিছু রাষ্ট্র এসব সামরিক জোট থেকে নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
-
এ প্রেক্ষাপটেই জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের জন্ম।
সূচনা ও পথচলা:
-
১৮-২৪ এপ্রিল, ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং শহরে এশিয়া ও আফ্রিকার ২৯টি দেশের অংশগ্রহণে ঐতিহাসিক ‘বান্দুং সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতৃবৃন্দ সামরিক জোটে জড়িত না হয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণের নীতি গ্রহণ করেন।
-
এরপর ১৯৬১ সালের ১-৬ সেপ্টেম্বর সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে প্রথম NAM শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২৫টি দেশ অংশ নেয়।
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ:
-
১৯৭৩ সালে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ NAM-এর ৪র্থ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেয়, যা আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
-
এটি ছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
সাম্প্রতিক সম্মেলন:
-
জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায়।
তথ্যসূত্র: NAM অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
D-8 Organization for Economic Cooperation বা D8 এর দশম শীর্ষ সম্মেলন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
Created: 4 days ago
A
আবুজা
B
তেহরান
C
ইস্তাম্বুল
D
ঢাকা
D-8 বা Developing Eight একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা মুসলিম বিশ্বের আটটি উন্নয়নশীল দেশের পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে। এ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৭ সালে এবং আজও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
পূর্ণরূপ: Developing Eight
-
গঠনের উদ্দেশ্য: মুসলিম বিশ্বের আটটি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
-
প্রতিষ্ঠা: ১৫ জুন, ১৯৯৭ (Istanbul Declaration এর মাধ্যমে)
-
সদরদপ্তর: ইস্তাম্বুল, তুরস্ক
-
সদস্য সংখ্যা: ৮টি দেশ
-
সদস্য দেশ: তুরস্ক, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান, মিশর, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া
-
বর্তমান ও পঞ্চম মহাসচিব: ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম
-
শীর্ষ সম্মেলন: প্রতি দুই বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়
-
দশম শীর্ষ সম্মেলন: ৫ থেকে ৮ এপ্রিল ২০২১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়
উল্লেখযোগ্যভাবে, D-8-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো এশিয়া ও আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলকে প্রতিনিধিত্ব করে।

0
Updated: 4 days ago
রিওডি জেনিরিওতে অনুষ্ঠিত 'ধরিত্রী সম্মেলন'-এ কত দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছিল?
Created: 3 months ago
A
১৫০
B
১৫৬
C
১৭৮
D
১৭৯
ধরিত্রী সম্মেলন (Earth Summit)
১৯৯২ সালের ৩ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ আয়োজিত পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন ‘রিও সামিট’, ‘রিও কনফারেন্স’ কিংবা ‘ধরিত্রী সম্মেলন’ নামেও পরিচিত।
এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি গৃহীত হয়, যা পরবর্তীতে ‘কিয়োটো প্রোটোকল’ নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে। এই চুক্তির অন্যতম মূলনীতি ছিল ‘Polluter Pays Principle’ বা ‘দূষণকারীই খরচ বহন করবে’ নীতি।
সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য ফলাফলের মধ্যে রয়েছে পরিবেশ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রিও ঘোষণা এবং এজেন্ডা ২১, যা টেকসই উন্নয়নের রূপরেখা হিসেবে বিবেচিত।
বিশ্বের ১৭৯টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, কূটনীতিক, বিজ্ঞানী, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সদস্যরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
উৎস: জাতিসংঘের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 months ago