আধুনিক পরানীতিবিদ্যার (Meta-Ethics) প্রবর্তক বলা হয় কাকে?
A
হল্যান্ড
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
ডব্লিউ ডি হার্ডসন
D
জি. ই. ম্যুর
উত্তরের বিবরণ
পরানীতিবিদ্যা (Meta-Ethics) হলো নৈতিক পদ, নৈতিক অবধারণ ও নৈতিক ভাষার অর্থ ও যৌক্তিকতা সংক্রান্ত আলোচনা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন নৈতিক মতবাদ গড়ে ওঠে। এটি নৈতিক উক্তি, পদ বা অবধারণ, এবং নৈতিক পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
পরানীতিবিদ্যার অর্থ: ‘Meta Ethics’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
ভিন্ন নীতিবিদ্যার সঙ্গে তুলনা:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা: আচরণের ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন মানদন্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা: বাস্তব জীবনের চলতি সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা: অভিজ্ঞতানির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত; এর উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
উদ্ভাবক ও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:
-
ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর (G. E. Moore) আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক।
-
১৯০৩ সালে তার বই ‘Principia Ethica’ এই ধরনের আলোচনার সূত্রপাত করে।
-
জি. ই. ম্যূর বলেন, “শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগ হলো নৈতিকতা।”
-

0
Updated: 20 hours ago
রাজনৈতিক ঐকমত্য ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবে ব্যাহত হয় কোনটি?
Created: 4 days ago
A
দুর্নীতি
B
স্বজনপ্রীতি
C
সুশাসন
D
উপরের সবকটি
সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ঐক্যমত ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা অপরিহার্য। এই দুটি উপাদান অনুপস্থিত হলে সুশাসন ব্যাহত হয় এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে। একটি কার্যকর গণতন্ত্রে নাগরিক ও সরকারের যৌথ প্রচেষ্টা ছাড়া স্থায়ী সুশাসন সম্ভব নয়।
-
সুশাসন
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকরা অধিকার ভোগের পাশাপাশি নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠা শুধুমাত্র সরকারের ওপর নির্ভরশীল নয়; নাগরিকের সক্রিয় অংশগ্রহণও প্রয়োজন।
-
যে জাতি নিজের কর্তব্য থেকে বিমুখ, তারা কখনো উন্নতি করতে পারে না এবং প্রকৃত সুশাসন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়।
-
-
পশ্চিমা দৃষ্টিতে সুশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
-
জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা।
-
রাষ্ট্রব্যবস্থা অবশ্যই আইনের শাসন বা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য আইনের ওপর ভিত্তি করে চলা।
-
রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
-
প্রশাসনিক দক্ষতা ও গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোর শক্তিশালীকরণ।
-

0
Updated: 4 days ago
“সততার সাথে ভোট দান” কোন ধরনের কর্তব্য?
Created: 1 week ago
A
আইনগত কর্তব্য
B
সামাজিক কর্তব্য
C
রাজনৈতিক কর্তব্য
D
নৈতিক কর্তব্য
কর্তব্যের শ্রেণিবিভাগ
নাগরিকদের অধিকার ভোগের সঙ্গে যুক্ত যে দায়িত্বগুলো পালন করা হয়, তা কর্তব্য বলে। নাগরিকের কর্তব্যকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়:
-
নৈতিক কর্তব্য
-
নৈতিক কর্তব্য মানুষের বিবেক এবং সামাজিক নৈতিকতা বা ন্যায়বোধ থেকে উদ্ভূত হয়।
-
উদাহরণ:
-
নিজেকে শিক্ষিত করা এবং সন্তানদের শিক্ষিত করা
-
সততার সঙ্গে ভোট প্রদান
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
বিশ্বমানবতার সহায়তায় এগিয়ে আসা
-
-
যেহেতু এসব কর্তব্য নাগরিকদের বিবেক ও ন্যায়বোধ থেকে আসে, এগুলোকে নৈতিক কর্তব্য বলা হয়।
-
-
আইনগত কর্তব্য
-
রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরোপিত কর্তব্যকে আইনগত কর্তব্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন
-
আইন মেনে চলা
-
নিয়মিত কর প্রদান
-
-
এসব কর্তব্য রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত, এবং পালন না করলে শাস্তি দেওয়া হয়।
-
আইনগত কর্তব্য রাষ্ট্র ও নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে অপরিহার্য।
-
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
সুশাসন একটি জাতির রাজনেতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিক নির্দেশ করে এবং জনপ্রশাসন এবং আইনী কাঠামোর মধ্যে এটি কিভাবে কাজ করে তা জানায়। - সুশাসন সম্পর্কে এই অভিমত প্রকাশ করেন -
Created: 4 days ago
A
মারটিন মিনোগ
B
মিশেল ক্যামডেসাস
C
ল্যান্ডেল মিল
D
উপরের কেউ নন
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম "সুশাসন (Good Governance)" শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয়টি ব্যবহার করে।
-
ল্যান্ডেল মিল (Landell Mill) এর মতে, সুশাসন একটি জাতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে দিকনির্দেশ করে এবং জনপ্রশাসন ও আইনী কাঠামোর মধ্যে এটি কিভাবে কাজ করে তা জানায়।
-
মিশেল ক্যামডেসাস বলেন, “রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য সুশাসন অত্যাবশ্যক।”
-
মারটিন মিনোগ (Martin Minogue) এর মতে, “ব্যাপক অর্থে সুশাসন হচ্ছে কতগুলো উদ্যোগের সমষ্টি এবং একটি সংস্কার কৌশল, যা সরকারকে অধিকতর গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করতে সুশীল সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর করে তোলে।”

0
Updated: 4 days ago