আধুনিক পরানীতিবিদ্যার (Meta-Ethics) প্রবর্তক বলা হয় কাকে?
A
হল্যান্ড
B
আরজ আলী মাতুব্বর
C
ডব্লিউ ডি হার্ডসন
D
জি. ই. ম্যুর
উত্তরের বিবরণ
পরানীতিবিদ্যা (Meta-Ethics) হলো নৈতিক পদ, নৈতিক অবধারণ ও নৈতিক ভাষার অর্থ ও যৌক্তিকতা সংক্রান্ত আলোচনা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন নৈতিক মতবাদ গড়ে ওঠে। এটি নৈতিক উক্তি, পদ বা অবধারণ, এবং নৈতিক পদ ও অবধারণের যৌক্তিকতা নিরূপণ ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
পরানীতিবিদ্যার অর্থ: ‘Meta Ethics’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো পরানীতিবিদ্যা।
-
ভিন্ন নীতিবিদ্যার সঙ্গে তুলনা:
-
মানমূলক নীতিবিদ্যা: আচরণের ভাল-মন্দ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন মানদন্ড বা আদর্শ ব্যবহার করে।
-
ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা: বাস্তব জীবনের চলতি সমস্যাকে নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে।
-
বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা: অভিজ্ঞতানির্ভর ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে রচিত; এর উদাহরণ হলো বিবর্তনবাদী নীতিবিদ্যা।
-
-
উদ্ভাবক ও গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:
-
ব্রিটিশ দার্শনিক জি. ই. ম্যূর (G. E. Moore) আধুনিক পরানীতিবিদ্যার প্রবর্তক।
-
১৯০৩ সালে তার বই ‘Principia Ethica’ এই ধরনের আলোচনার সূত্রপাত করে।
-
জি. ই. ম্যূর বলেন, “শুভের প্রতি অনুরাগ ও অশুভের প্রতি বিরাগ হলো নৈতিকতা।”
-
0
Updated: 1 month ago
ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আইনের শাসন
B
অধিকার ও সুযোগের ক্ষেত্রে সমতার নিশ্চিতকরণ
C
পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ
D
বর্ণিত সবগুলো
নৈতিক মূল্যবোধ (Moral Values):
-
নৈতিক মূল্যবোধের উৎস হলো নীতি ও উচিত-অনুচিত বোধ।
-
এটি হলো সেই মনোভাব ও আচরণ, যা মানুষ সবসময় ভালো, কল্যাণকর ও অপরিহার্য মনে করে এবং মানসিক তৃপ্তি লাভ করে।
-
নৈতিক মূল্যবোধের প্রাথমিক উৎস হলো পরিবার, শিশু প্রথম শিক্ষা পায় পরিবার থেকে।
-
উদাহরণ: অন্যায় থেকে বিরত থাকা, সত্যকে সত্য বলা, মিথ্যাকে মিথ্যা বলা, দুঃস্থ ও বিপদগ্রস্তদের সহায়তা করা।
ন্যায়পরায়ণতার নৈতিক মূলনীতি:
-
পুরস্কার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সমতার নীতি প্রয়োগ।
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করা।
-
অধিকার ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।
0
Updated: 1 month ago
মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যেবোধ গড়ে উঠে-
Created: 1 month ago
A
আইনের বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে
B
সামাজিকীকরণের মাধ্যমে
C
অর্থনৈতিক প্রণোদনার মাধ্যমে
D
উচ্চমানের প্রযুক্তি অনুসরণের মাধ্যমে
মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে মূলত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, অর্থাৎ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, পরিবার, স্কুল ও সমাজের অন্যান্য প্রভাবের মাধ্যমে। সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তি ও সমাজের আচরণ ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সেই চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যা মানুষের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে।
-
সমাজবিজ্ঞানী Francis E. Merrill এর মতে, "সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের দলীয় কল্যাণের জন্য আচরণ সংরক্ষণ করা, যা মানুষ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে।"
-
বড়দের সম্মান করা, সহনশীলতা, দানশীল হওয়া, আতিথেয়তা ইত্যাদি সামাজিক মূল্যবোধের উদাহরণ।
-
তাই মানুষের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে মূলত সামাজিকীকরণের মাধ্যমে।
অন্যদিকে,
-
আইনের বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে না।
-
অর্থনৈতিক প্রণোদনার মাধ্যমে মূলত অর্থনৈতিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে।
-
উচ্চমানের প্রযুক্তি অনুসরণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
খ্যাতি বা সম্মান অর্জনের অধিকার’ কোন শ্রেণির অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়?
Created: 1 month ago
A
সাংস্কৃতিক অধিকার
B
আইনগত অধিকার
C
সামাজিক অধিকার
D
রাজনৈতিক অধিকার
সামাজিক অধিকার হলো সেই সকল অধিকার যা নাগরিকের সভ্য জীবযাপনের জন্য অপরিহার্য।
-
সামাজিক অধিকারসমূহ নিম্নরূপ:
১. জীবনের অধিকার
২. ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার
৩. চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা
৪. সভা-সমিতির অধিকার
৫. খ্যাতি বা সম্মান লাভের অধিকার ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago