প্রত্যেক জোয়ারের কত সময় পর ভাটার সৃষ্টি হয়?
A
৬ ঘন্টা ১৩ মি
B
৬ ঘন্টা ৫২ মি
C
৮ ঘন্টা ৫২ মি
D
৮ ঘন্টা ১৩ মি
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার-ভাটা হলো সমুদ্রের পানির উচ্চতা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া। চন্দ্র ও সূর্যের মহাকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক শক্তি প্রভাবিত করে সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠে এবং আবার নেমে আসে। সমুদ্রের পানি ফুলে ওঠাকে জোয়ার (High Tide) এবং নেমে যাওয়া কে ভাটা (Ebb বা Low Tide) বলা হয়। প্রতি ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরপর এই ঘটনা ঘটে, অর্থাৎ একই স্থানে প্রতিদিন দু'বার জোয়ার ও দু'বার ভাটা হয়।
-
জোয়ার-ভাঁটার সময়:
-
পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ২৪ ঘন্টায় একবার নিজ অক্ষের চারপাশে ঘোরে।
-
চন্দ্রও পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরে এবং পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করে।
-
যদি চন্দ্র স্থির থাকত, তাহলে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা অন্তর মুখ্য জোয়ার ঘটত।
-
চন্দ্র ৩১.৫ দিনে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে, তাই একদিনে কক্ষপথের প্রায় ১৩° অগ্রসর হয়।
-
ভূ-পৃষ্ঠের কোণ পুনরায় চাঁদের ঠিক নিচে আসতে এই ১৩° পথ অগ্রসর হওয়ার জন্য ৫২ মিনিট অতিরিক্ত সময় লাগে।
-
তাই যে স্থানে আজ মুখ্য জোয়ার হলো, আগামীদিনে সেটি প্রায় ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট পরে আসে।
-
এক মুখ্য জোয়ার চলে যাবার ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরে গৌণ জোয়ার ঘটে।
-
প্রতিটি জোয়ারের প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পরে সেই স্থানে ভাটা হয়।
-
-
জোয়ার-ভাঁটার কারণ:
-
চন্দ্র ও সূর্যের মহাকর্ষণ শক্তি।
-
পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রাতিগ শক্তি।
-
0
Updated: 1 month ago
কীসের আকর্ষণে জোয়ার ভাটা হয়?
Created: 17 hours ago
A
সূর্য
B
চন্দ্র
C
নক্ষত্র
D
উপগ্রহ
পৃথিবীতে জোয়ার-ভাঁটা সৃষ্টির মূল কারণ হলো মহাকর্ষীয় আকর্ষণ। এই আকর্ষণ শক্তি এমন এক সার্বজনীন বল যা দ্বারা সকল পদার্থ একে অপরকে আকর্ষণ করে। পৃথিবী, চন্দ্র ও সূর্যের মধ্যে এই আকর্ষণ বলের প্রভাবই সমুদ্রের পানির ওঠানামার কারণ। যদিও সূর্য পৃথিবীর তুলনায় অনেক বৃহৎ, তবু চন্দ্রের আকর্ষণ পৃথিবীর জলে বেশি প্রভাব ফেলে, এবং এর ফলেই জোয়ার-ভাঁটার ক্ষেত্রে চন্দ্রের ভূমিকা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।
পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুর উপর অন্য বস্তুর আকর্ষণ বল কাজ করে, যা নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে আকর্ষণ বলের পরিমাণ নির্ভর করে দুটি মূল বিষয়ের উপর — বস্তুগুলোর ভর এবং তাদের মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর। যেহেতু সূর্য পৃথিবীর থেকে অনেক দূরে অবস্থিত, তাই তার আকর্ষণ বল পৃথিবীর জলের ওপর তুলনামূলকভাবে কম প্রভাব ফেলে। অপরদিকে, চন্দ্র পৃথিবীর খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে, তাই তার আকর্ষণ বল বেশি কার্যকর হয়।
চন্দ্রের প্রভাব:
চন্দ্র পৃথিবীর জলরাশির ওপর আকর্ষণ বল প্রয়োগ করে, যার ফলে পৃথিবীর যে পাশটি চন্দ্রের দিকে থাকে, সেখানে পানি টেনে উপরের দিকে ফুলে ওঠে — এটিই জোয়ার। পৃথিবীর বিপরীত পাশে একই আকর্ষণ প্রভাবে আরেকটি জোয়ার সৃষ্টি হয়। দুই জোয়ারের মধ্যবর্তী স্থানে পানি নিচের দিকে নেমে যায়, সেটিকে বলা হয় ভাঁটা। এভাবে প্রতিদিন পৃথিবীর উপকূলীয় অঞ্চলে দুটি করে জোয়ার ও দুটি করে ভাঁটা ঘটে।
সূর্যের ভূমিকা:
যদিও সূর্য পৃথিবী থেকে অনেক দূরে, তার বিশাল ভরের কারণে কিছুটা আকর্ষণ বল সৃষ্টি করে, যা জোয়ার-ভাঁটায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। যখন সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করে (অমাবস্যা ও পূর্ণিমার সময়), তখন চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ বল একত্রে কাজ করে। ফলে জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়, যাকে spring tide (বৃহৎ জোয়ার) বলা হয়। আবার, যখন সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সাথে সমকোণ তৈরি করে (অষ্টমী ও চতুর্দশীর সময়), তখন তাদের আকর্ষণ বল একে অপরকে কিছুটা প্রতিহত করে, যার ফলে জোয়ারের উচ্চতা কমে যায়, এটিই neap tide (ক্ষুদ্র জোয়ার)।
চন্দ্রের অধিক প্রভাবের কারণ:
চন্দ্র পৃথিবীর থেকে মাত্র ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে, যেখানে সূর্য প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যদিও সূর্য পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়, তবুও এত বিশাল দূরত্বের কারণে তার মহাকর্ষীয় প্রভাব অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। অপরদিকে, চন্দ্রের নিকটবর্তী অবস্থান পৃথিবীর জলরাশির ওপর সরাসরি ও শক্তিশালী প্রভাব ফেলে। ফলে জোয়ার-ভাঁটায় চন্দ্রের আকর্ষণ বল সূর্যের চেয়ে প্রায় আড়াই গুণ বেশি কার্যকর।
সব মিলিয়ে দেখা যায়, পৃথিবীর সমস্ত পদার্থ একে অপরকে আকর্ষণ করলেও জোয়ার-ভাঁটার ক্ষেত্রে চন্দ্রের প্রভাবই প্রধান। সূর্যের প্রভাব সহায়ক হলেও চন্দ্রের নিকটবর্তী অবস্থান ও মহাকর্ষীয় প্রভাবের তীব্রতাই জোয়ার-ভাঁটার প্রকৃত কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
0
Updated: 17 hours ago
মরা কটাল কখন হয়?
Created: 1 month ago
A
পঞ্চমীতে
B
অষ্টমীতে
C
নবমীতে
D
একাদশীতে
মরা কটাল বা Neap Tide হলো এমন এক ধরনের জোয়ার যখন সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সাথে সমকোণ তৈরি করে। এই অবস্থায় উভয়ের আকর্ষণ একে অপরকে প্রতিহত করায় পানির উত্থান কম হয় এবং স্বাভাবিকের তুলনায় দুর্বল জোয়ার দেখা যায়।
-
অষ্টমী ও একবিংশ তিথিতে চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর সাথে প্রায় ৯০ ডিগ্রি কোণে অবস্থান করে, ফলে তারা সমান্তরাল থাকে না।
-
এ সময় চন্দ্রের আকর্ষণে যেখানে জোয়ার সৃষ্টি হয়, সেখানে সূর্যের বিপরীতমুখী আকর্ষণে ভাটা দেখা যায়।
-
সূর্যের বিপরীত আকর্ষণ চন্দ্রের দিকে পানির উঁচু হওয়া বা স্ফীত হওয়া কমিয়ে দেয়, তাই জোয়ারের তীব্রতা কম হয়।
-
এই দুর্বল জোয়ারকেই মরা জোয়ার বা মরা কটাল (Neap Tide) বলা হয়।
-
সাধারণত অষ্টমী ও একবিংশ তিথিতেই মরা কটাল দেখা যায়।
0
Updated: 1 month ago
জোয়ার এবং ভাটার মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
Created: 3 weeks ago
A
৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট
B
৬ ঘন্টা ৪৮ মিনিট
C
৬ ঘন্টা ৪৭ মিনিট
D
৬ ঘন্টা ১৮ মিনিট
জোয়ার ও ভাটা হলো সমুদ্রের পানির নিয়মিত ওঠানামা, যা মূলত চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষীয় আকর্ষণের ফলে ঘটে। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি উঁচু হয়ে জোয়ার এবং নিচু হয়ে ভাটা সৃষ্টি হয়।
তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
একটি জোয়ার ও একটি ভাটার মধ্যে সময়ের ব্যবধান: প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট।
-
দুটি মুখ্য জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান: প্রায় ২৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট।
-
একটি মুখ্য জোয়ার ও একটি গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান: প্রায় ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট।
-
অতিরিক্ত তথ্য: একটি মুখ্য জোয়ারের প্রায় ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পরে ভাটা এবং ১২ ঘন্টা ২৬ মিনিট পরে গৌণ জোয়ার দেখা যায়।
এই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা পৃথিবীর ঘূর্ণন ও চাঁদের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
0
Updated: 3 weeks ago