কোনটি নদীর প্রাথমিক অবস্থা?
A
ঊর্ধ্বগতি
B
নিম্নগতি
C
মধ্যগতি
D
সমগতি
উত্তরের বিবরণ
নদীর গতি বা অবস্থাকে উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত নদীর ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য যেমন আয়তন, গভীরতা, ঢাল এবং স্রোতের বেগের ওপর ভিত্তি করে তিনটি ধাপে ভাগ করা যায়: ঊর্ধ্বগতি, মধ্যগতি এবং নিম্নগতি।
-
ঊর্ধ্বগতি (Youthful Stage/Upper Course):
-
এটি নদীর প্রাথমিক অবস্থা।
-
পর্বতের সেই অংশ থেকে নদী উৎপন্ন হয়ে সমভূমিতে পৌঁছানো পর্যন্ত অংশকে ঊর্ধ্বগতি বলা হয়।
-
ঊর্ধ্বগতিতে নদীর প্রধান কাজ হলো ক্ষয়সাধন।
-
নদী এই অবস্থায় স্থলভাগকে ক্ষয় করে এবং ক্ষয়কৃত পদার্থকে বহন করে।
-
ঢাল কমে গেলে বা হঠাৎ বেশি পরিমাণ পাথরের টুকরা নদীতে এলে নদী তা বহন করতে না পেরে সাময়িকভাবে হালকা সঞ্চয় করে।
-

0
Updated: 20 hours ago
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
মেঘনা
B
যমুনা
C
পদ্মা
D
কর্ণফুলী
দেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী
পদ্মার আরেকটি নাম কীর্তিনাশা।
-
ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার উত্তরের দিকে প্রবেশ করে।
-
কুষ্টিয়া থেকে নদী প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের কাছ দিয়ে যায়।
-
এরপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।
শাখা নদী:
মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল।
উপনদী:
মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
দৈর্ঘ্য ও অঞ্চল:
-
বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের ১২টি জেলায় পদ্মা নদী প্রবাহিত।
-
নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪১ কিমি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী: ইছামতী (৩৩৪ কিমি) এবং সাঙ্গু/শঙ্খ (২৯৪ কিমি)।
-
সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী: মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
-
সবচেয়ে বেশি নদ-নদী আছে: ঢাকা বিভাগ (২২২টি নদী)।
-
সবচেয়ে বেশি নদী আছে জেলায়: সুনামগঞ্জ (৯৭টি নদী)।
-
দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কিমি)।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নদী রক্ষা কমিশন।

0
Updated: 3 weeks ago
যমুনার প্রধান শাখানদী কোনটি?
Created: 5 days ago
A
তিস্তা
B
করতোয়া
C
আত্রাই
D
ধলেশ্বরী
যমুনা নদী বাংলাদেশের একটি প্রধান নদী যা ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে বিচ্ছিন্ন হয়ে যমুনা নাম ধারণ করে। বর্তমানে এটি দেশের মধ্যভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী ব্যবস্থার অংশ গঠন করেছে।
-
উৎপত্তি: ১৭৮৭ সালের ভূমিকম্পে ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্রের শাখা থেকে যমুনা নদীর উৎপত্তি।
-
প্রবাহপথ: দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দের নিকট পদ্মা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
-
পরবর্তী ধারা: মিলিত স্রোত পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
প্রধান শাখানদী: ধলেশ্বরী যমুনার প্রধান শাখা, আর ধলেশ্বরীর একটি শাখা হলো বুড়িগঙ্গা।
-
উপনদী: যমুনার গুরুত্বপূর্ণ উপনদীগুলোর মধ্যে ধরলা, তিস্তা, করতোয়া এবং আত্রাই উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 5 days ago
'চিত্রা' নদী কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 5 days ago
A
বরিশাল
B
নড়াইল
C
কিশোরগঞ্জ
D
বগুড়া
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীর নাম ও অবস্থান এখানে তুলে ধরা হলো, যা জাতীয় তথ্য বাতায়নের তথ্যের উপর ভিত্তি করে উল্লেখ করা হয়েছে।
-
চিত্রা নদী নড়াইল জেলায় অবস্থিত
-
আড়িয়াল খাঁ নদী মাদারীপুর জেলায়
-
চেঙি নদী খাগড়াছড়ি জেলায়
-
ভৈরব নদী ঝিনাইদহ জেলায়
-
কীর্তনখোলা নদী বরিশাল জেলায়
-
বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকায়
-
গোমতী নদী কুমিল্লা জেলায়

0
Updated: 5 days ago