ভূমিক্ষয়ের একটি কারণ কোনটি?
A
ঝড়
B
টাইফুন
C
বায়ুপ্রবাহ
D
প্রবল বাতাস
উত্তরের বিবরণ
বায়ুপ্রবাহ হলো একটি অনন্য প্রাকৃতিক শক্তি, যা বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাস এবং অন্যান্য উপাদানের ঘনত্বের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এবং পরিবেশ ও মানুষের জীবনযাত্রায় নানা প্রভাব ফেলে।
-
বায়ুপ্রবাহের গতি ও প্রকৃতির কারণে প্রবল বাতাস, ঝড়, হারিকেন, টাইফুন, হাওয়া, বজ্রঝড় ইত্যাদি আবহাওয়ার ঘটনা ঘটে।
-
তাপ, চাপ, আর্দ্রতা, ঘনত্ব ইত্যাদির কারণে বায়ুপ্রবাহ প্রভাবিত হয়।
-
উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্র হাওয়া ও ভূমির তাপ শোষণের কারণে বায়ুপ্রবাহ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
বায়ুপ্রবাহের কারণে নৌযান, আকাশযান, যুদ্ধবিমান, মহাকাশযান চলাচলের গতি নির্ধারিত হয়।
-
বায়ুপ্রবাহের শক্তি বায়ু ঘূর্ণনযন্ত্র চালিত করে, যা পৃথিবীব্যাপী বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
-
বায়ুপ্রবাহের কারণে জনপ্রিয় কিছু খেলা যেমন ঘুড়ি ওড়ানো, স্নোকাইটিং, ঘুড়ি সাফিং সারা পৃথিবীতে প্রচলিত।
-
শুষ্ক আবহাওয়ায় ভূমিক্ষয় প্রধানত বায়ুপ্রবাহের কারণে ঘটে; বায়ু দ্বারা ছোট বালুকণা ও ধূলিকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয়।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 20 hours ago
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তিত হয় তাকে বলা হয়-
Created: 20 hours ago
A
মৌসুমি বায়ু
B
অয়ন বায়ু
C
নিয়ত বায়ু
D
স্থলবায়ু
মৌসুমি বায়ু হলো ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট আঞ্চলিক বায়ু, যা বর্ষাকালে বিশেষভাবে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
মৌসুমি শব্দটি এসেছে আরবি ভাষার “মত্তসুম”, যার অর্থ ঋতু।
-
সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন অনুযায়ী শীত ও গ্রীষ্মে স্থলভাগ ও জলভাগের তাপমাত্রার তারতম্য মৌসুমি বায়ু সৃষ্টি করে।
-
মৌসুমি বায়ু প্রধানত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লক্ষ্য করা যায়, পাশাপাশি কর্কটক্রান্তি অঞ্চলের যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকার কিছু অংশ, মধ্য এশিয়া ও উত্তর-পশ্চিম ভারতেও দেখা যায়।
-
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল:
-
সূর্যকিরণ লম্বভাবে পড়ায় কর্কটক্রান্তিতে বায়ুর চাপ কমে এবং নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
দক্ষিণ গোলার্ধের ক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে আগত দক্ষিণ-পূর্ব অয়ন বায়ু নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে।
-
এ বায়ু এশিয়া মহাদেশের নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবলবেগে চলে আসে এবং চীন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, জাপান, কম্বোডিয়া, লাওস-এ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়েও বৃষ্টি হয়।
-
-
শীতকালে:
-
সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থান করে এবং মকরক্রান্তিতে নিম্নচাপ কেন্দ্র সৃষ্টি হয়।
-
উত্তর গোলার্ধে স্থলভাগ শীতল হওয়ায় উচ্চচাপ বলয় সৃষ্টি হয়।
-
বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়, যাকে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু বলা হয় এবং এটি শুষ্ক থাকে।
-
মৌসুমি বায়ু যখন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে, ফেরেলের সূত্র অনুযায়ী বাম দিকে বেঁকে যায় এবং উত্তর-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ুরূপে উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
-
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 20 hours ago
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে কোন দেশ অবস্থিত?
Created: 20 hours ago
A
বাংলাদেশ
B
ভারত
C
শ্রীলঙ্কা
D
ইন্দোনেশিয়া
বঙ্গোপসাগর হলো বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
বেষ্টিত দেশসমূহ:
-
উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমে: ভারত
-
পূর্বে: মায়ানমার
-
উত্তরে: বাংলাদেশ
-
দক্ষিণ-পশ্চিমে: শ্রীলঙ্কা
-
দক্ষিণ-পূর্বে: ইন্দোনেশিয়া
-
-
ভূপৃষ্ঠের আয়তন: ২,৬০০,০০০ বর্গকিলোমিটার
-
দৈর্ঘ্য: ২,০৯০ কিলোমিটার
-
প্রস্থ: ১,৬১০ কিলোমিটার
-
গড় গভীরতা: ২,৬০০ মিটার
-
সর্বোচ্চ গভীরতা: ৪,৬৯৪ মিটার
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 20 hours ago
ডোভার প্রণালী কোন দুইটি দেশকে পৃথক করেছে?
Created: 20 hours ago
A
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স
B
ইতালি ও স্পেন
C
ফ্রান্স ও পর্তুগাল
D
ফ্রান্স ও ইতালি
ডোভার প্রণালী হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ যা যুক্তরাজ্যকে ফ্রান্স থেকে পৃথক করেছে এবং বাণিজ্য ও নৌচলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রণালীটি ইংলিশ চ্যানেল তথা আটলান্টিক মহাসাগরের সঙ্গে উত্তর সাগরকে যুক্ত করেছে।
-
প্রণালীর প্রস্থ: ১৮ থেকে ২৫ মাইল (৩০ থেকে ৪০ কিমি)
-
প্রণালীর গভীরতা: ১২০ থেকে ১৮০ ফুট (৩৫ থেকে ৫৫ মিটার)
-
ডোভার প্রণালী বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত সমুদ্রপ্রণালী হিসেবে পরিচিত।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 20 hours ago