স্থানীয় প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ও বিবিধ ভৌগোলিক কারণে যে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় -
A
নিয়মিত বায়ুপ্রবাহ
B
স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ
C
সাময়িক বায়ুপ্রবাহ
D
অনিয়মিতস্থানীয় বায়ুপ্রবাহ
উত্তরের বিবরণ
স্থানীয় বায়ু হলো নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও প্রাকৃতিক কারণের কারণে সৃষ্ট আঞ্চলিক বায়ুপ্রবাহ।
-
বিভিন্ন দেশের স্থানীয় বায়ুর উদাহরণ:
-
রকি পাহাড়ের চিনুক
-
ফ্রান্সের কেন্দ্রীয় মালভূমি থেকে প্রবাহিত মিস্ট্রাল
-
আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের পম্পাস অঞ্চলের উত্তর থেকে প্রবাহিত পাম্পেরু
-
আড্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব উপকূলে বোরা
-
উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ ইতালিতে সিরাক্কা
-
আরব মালভূমির সাইমুম
-
মিসরের খামসিন
-
ভারতীয় উপমহাদেশের লু
-
-
উপত্যকা বায়ু: দিনের বেলা, পর্বতের গা বেয়ে উপরের দিকে প্রবাহিত বায়ু।
-
দিনের সময় পর্বতের পাদদেশের তুলনায় উপত্যকার তলদেশ তুলনামূলকভাবে শীতল থাকে।
-
ফলে পর্বতের পাদদেশে নিম্নচাপ এবং উপত্যকার তলদেশে উচ্চচাপ সৃষ্টি হয়, যা উপত্যকা বায়ু তৈরি করে।
-
-
পার্বত্য বায়ু: রাতের বেলা, তাপ বিকিরণের ফলে পর্বতের গাত্র শীতল হয় এবং উপত্যকা উষ্ণ থাকে।
-
এ সময় ভারী ও শীতল বায়ু পর্বতের গা থেকে উপত্যকার দিকে নেমে আসে, যা পার্বত্য বায়ু নামে পরিচিত।
-
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 20 hours ago
দ্রাঘিমা রেখায় বাংলাদেশের অবস্থান কত?
Created: 21 hours ago
A
৮৯°০১' থেকে ৯৩০ ৪১′ পূর্ব
B
৮৮° ০১' থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব
C
৮৭° ০১' থেকে ৯১°০ ৪১′ পূর্ব
D
৮৬° ০১' থেকে ৯০°৪১′ পূর্ব
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান নির্ধারণ করে দেশের আকার, বিস্তৃতি এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের অবস্থান।
-
ভৌগোলিক অবস্থান বলতে কোনো দেশের অবস্থানকে অক্ষরেখা এবং দ্রাঘিমা রেখার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা বোঝায়।
-
বাংলাদেশ ৮৮° ০১′ থেকে ৯২° ৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমা রেখা এবং ২০° ৩৪′ থেকে ২৬° ৩৮′ উত্তর অক্ষ রেখার মধ্যে অবস্থিত।
-
দেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।
-
পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিস্তৃতি প্রায় ৪৪০ কিলোমিটার।
-
উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃতি প্রায় ৭৬০ কিলোমিটার।
-
প্রায় মাঝ বরাবর দেশের মধ্য দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে।
-
বাংলাদেশ ক্রান্তীয় অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।
-
দেশের তিনদিকের স্থলভাগ ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 21 hours ago
বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ কত?
Created: 21 hours ago
A
১৭.৪৬%
B
২০.৭১%
C
২৮.৩১%
D
৩১.২৫%
বায়ুমণ্ডল মূলত বিভিন্ন গ্যাস এবং কণিকায় গঠিত, যার প্রতিটি উপাদানের নিজস্ব শতকরা অংশ রয়েছে।
-
নাইট্রোজেন ⇒ ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন ⇒ ২০.৭১%
-
আর্গন ⇒ ০.৮০%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড ⇒ ০.০৩%
-
ওজোন ⇒ ০.০০০১%
-
অন্যান্য গ্যাস ⇒ ০.০১৯৯%
-
জলীয়বাষ্প ⇒ ০.৪১%
-
ধূলিকণা ও কণিকা ⇒ ০.০১%
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 21 hours ago
করতোয়া নদী কোন জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
Created: 20 hours ago
A
রাজবাড়ি
B
কুড়িগ্রাম
C
সিলেট
D
পঞ্চগড়
বাংলাদেশে বিভিন্ন নদীর প্রবেশ পথ দেশের ভূগোল ও নদী ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ দিক।
-
পদ্মা নদী: রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দে যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়।
-
ব্রহ্মপুত্র নদী: তিব্বত ও আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
-
মেঘনা নদী: ভারতের আসাম রাজ্যের নাগা-মনিপুর পার্বত্য অঞ্চলে উৎপন্ন বরাক নদী সিলেট সীমান্তে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুই শাখায় বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
-
যমুনা নদী: ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা দক্ষিণ দিকে যমুনা নামে প্রবাহিত হয়।
-
কর্তোয়া নদী: পঞ্চগড় জেলার ভিটগড়ের নিকট বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
-
মহানন্দা নদী: পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে।
-
কর্ণফুলী নদী: রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
-
সাঙ্গু নদী: বান্দরবান ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
-
ফেনী নদী: ফেনী জেলার পূর্ব সীমানা দিয়ে প্রবেশ করে সন্দ্বীপ প্রণালির উত্তরে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
-
নাফ নদী: বাংলাদেশের টেকনাফ ও মিয়ানমারের সীমান্ত নির্দেশ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 20 hours ago