টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ কী দ্বারা গঠিত?
A
বেলেপাথর, শেল ও কদম
B
মার্বেল ও গ্রানাইট
C
কাদা মাটি
D
চুনাপাথর
উত্তরের বিবরণ
পাহাড় হলো ভূ-পৃষ্ঠের প্রাকৃতিক উচ্চভূমি, যা সাধারণত চূড়ান্ত শীর্ষ এবং ঢালসহ উঁচু ভূপ্রদেশ গঠন করে। বাংলাদেশের ভূগোল এবং পারিপার্শ্বিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়সমূহের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
সিলেট অঞ্চলের পাহাড়: সিলেটের পার্বত্য এলাকা, যেমন জাফলং ও বাগানবিল উচ্চভূমি, আংশিকভাবে বাংলাদেশের পার্বত্য ভূ-রূপ।
-
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল: রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার পার্বত্য অঞ্চল; মেঘমালা, তেজপাহাড় ও খাসিয়াল উচ্চভূমি অন্তর্ভুক্ত।
-
মায়ানমারের সীমান্তবর্তী পাহাড়: বান্দরবান ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল মায়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত।
-
লুসাই পাহাড়: প্রধানত মিজোরাম ও আসামের অংশ, বাংলাদেশের নদী প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ উৎপত্তিস্থল।
-
আরাকান পাহাড়: সাঙ্গু নদীর উৎপত্তিস্থল, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত।
-
বাদানাতলী পর্বতশৃঙ্গ: খাগড়াছড়ি জেলার গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় যা হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল।
বাংলাদেশে পাহাড়সমূহ সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ঘনবসতি এবং নদী উৎপত্তিস্থলের সঙ্গে সংযুক্ত।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ভারতের মোট কয়টি রাজ্য বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী?
Created: 1 month ago
A
৪টি
B
৫টি
C
৬টি
D
৭টি
উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যকে সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত।
-
রাজ্যগুলো হলো: আসাম, অরুণাচল, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ড।
-
সেভেন সিস্টার্সের মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন নয়: মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল।
-
ভারতের মোট ৫টি রাজ্য বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী, যা হলো: আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
B
পৃথিবীর নিজ অক্ষে আবর্তন
C
চাঁদের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন
D
পৃথিবীর কক্ষপথ পরিবর্তন
পৃথিবীর আহ্নিক গতি বলতে বোঝায় পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন। পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রতি ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে বা প্রায় ২৪ ঘণ্টায় একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করে। এই সময়কে সৌরদিন বলা হয় এবং এই আবর্তনকেই আহ্নিক গতি বা দৈনিক গতি বলা হয়। আহ্নিক গতির মূল কারণ হলো পৃথিবীর আবর্তন ও পৃথিবীর আকৃতি।
আহ্নিক গতির ফলাফল:
১. দিবা-রাত্রির সংঘটন: পৃথিবীর নিজ অক্ষে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তনের কারণে, আবর্তনরত অংশ যেখানে সূর্যের আলো পড়ে তা দিন হয় এবং অপর অংশে অন্ধকার থাকে, অর্থাৎ রাত।
২. জোয়ার-ভাটা: আহ্নিক গতির কারণে সমুদ্রে প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সৃষ্টি হয়।
৩. বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের সৃষ্টি: ফেরেলের কোরিওলিস সূত্র অনুযায়ী আহ্নিক গতির ফলে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বাঁকে প্রবাহিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলে আর্গন ও জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কত?
Created: 1 month ago
A
০.০২ ও ০.৩০ শতাংশ
B
৭৮.০২ ও ০.০৩ শতাংশ
C
২০.৭১ ও ০.৮০ শতাংশ
D
০.৮০ ও ০.৪১ শতাংশ
বায়ুমণ্ডল হলো ভূ-পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা বায়বীয় আবরণ, যা আমাদের গ্রহকে ঘিরে রেখেছে এবং জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য।
বায়ুমণ্ডলের উপাদানসমূহ এবং তাদের আনুমানিক শতাংশ:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen): ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন (Oxygen): ২০.৭১%
-
আর্গন (Argon): ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প (Water Vapor): ০.৪১%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (Carbon Dioxide): ০.০৩%
-
অন্যান্য গ্যাস: ০.০২%
-
ধূলিকণা ও কণিকা (Dust & Particles): ০.০১%
0
Updated: 1 month ago