গিনি উপসাগর কোন মহাদেশে অবস্থিত?
A
এশিয়া
B
আফ্রিকা
C
ইউরোপ
D
দক্ষিণ আমেরিকা
উত্তরের বিবরণ
গিনি উপসাগর হলো আফ্রিকা মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপসাগর, যা পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত।
-
গিনি উপসাগর আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত।
-
উপসাগরে প্রবাহিত প্রধান নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোল্টা নদী এবং নাইজার নদী।
-
গিনি উপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চল নিম্নভূমি, ম্যানগ্রোভ জলাভূমি, জলাভূমি এবং উপহ্রদ দ্বারা ঘেরা।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে বছরে গড়ে কী পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়?
Created: 1 month ago
A
১২০০-২৫০০ মি.মি.
B
১০০০-২১০০ মি.মি.
C
১৭০০-২৫০০ মি.মি.
D
১৩০০-২৩০০ মি.মি.
নিরক্ষীয় জলবায়ু হলো সেই ধরনের জলবায়ু যা পৃথিবীর নিরক্ষরেখার নিকটে অবস্থানরত দেশসমূহে বিরাজমান। সূর্যের অবস্থান এখানে প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, যা তাপমাত্রা, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর প্রকৃতি নির্ধারণ করে।
নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য:
-
নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী দেশগুলোতে সূর্য প্রায় সারাবছর লম্বভাবে কিরণ প্রদান করে, ফলে এখানে গ্রীষ্মঋতুর প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়।
-
উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর কারণে দিন-রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তনশীল থাকে। শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে।
প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সারাবছর সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়, তাই গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি থাকে।
-
দিনের দৈর্ঘ্য সারা বছর প্রায় একই থাকে।
-
বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২১°–২৭° সে.
-
স্থলভাগের বার্ষিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য ৫০° সে.-এর কম। অতিরিক্ত সূর্য তাপ, আর্দ্রতা ও সামান্য মেঘাচ্ছন্নতার কারণে তাপমাত্রার পার্থক্য কম।
-
সূর্য তাপ ও জলভাগের প্রাচুর্যের কারণে বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি, ফলে এখানে পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি হয়; বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৭০০–২৫০০ মিমি।
-
মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত তাপ ও বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি ক্ষয় হয়।
0
Updated: 1 month ago
বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে কোন দেশ অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
বাংলাদেশ
B
ভারত
C
শ্রীলঙ্কা
D
ইন্দোনেশিয়া
বঙ্গোপসাগর হলো বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
বেষ্টিত দেশসমূহ:
-
উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমে: ভারত
-
পূর্বে: মায়ানমার
-
উত্তরে: বাংলাদেশ
-
দক্ষিণ-পশ্চিমে: শ্রীলঙ্কা
-
দক্ষিণ-পূর্বে: ইন্দোনেশিয়া
-
-
ভূপৃষ্ঠের আয়তন: ২,৬০০,০০০ বর্গকিলোমিটার
-
দৈর্ঘ্য: ২,০৯০ কিলোমিটার
-
প্রস্থ: ১,৬১০ কিলোমিটার
-
গড় গভীরতা: ২,৬০০ মিটার
-
সর্বোচ্চ গভীরতা: ৪,৬৯৪ মিটার
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
কোন ভূগোলবিদ প্রথম 'Geography' শব্দ ব্যবহার করেন?
Created: 1 month ago
A
অ্যারিস্টটল
B
ইরাটোসথেনিস
C
অধ্যাপক ম্যাকনি
D
কার্ল রিটার
ভূগোল এমন একটি বিদ্যা যা পৃথিবী ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সামাজিক পরিবেশের সমন্বিত বর্ণনা প্রদান করে। ভূগোল শব্দটি এসেছে ইংরেজি Geography শব্দ থেকে, যা পৃথিবী সম্পর্কিত জ্ঞানকে বোঝায়। ইতিহাসের বিভিন্ন ভূগোলবিদ ভিন্ন ভিন্নভাবে ভূগোলকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
-
প্রাচীন গ্রিসের ভূগোলবিদ ইরাটোসথেনিস সর্বপ্রথম "Geography" শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
Geo শব্দের অর্থ "ভূ" বা পৃথিবী এবং graphy শব্দের অর্থ "বর্ণনা"। সুতরাং Geography শব্দের অর্থ দাঁড়ায় "পৃথিবীর বর্ণনা"।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ অধ্যাপক ম্যাকনি (Professor E. A. Macnee) ভূগোলকে মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর আলোচনা বা বর্ণনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, ভৌত ও সামাজিক পরিবেশে মানুষের কর্মকাণ্ড ও জীবনধারা নিয়ে যে বিষয় আলোচনা করে তাই ভূগোল।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ ডাডলি স্ট্যাম্প (Professor L. Dudley Stamp) বলেছেন, পৃথিবী ও এর অধিবাসীদের বর্ণনাই ভূগোল।
-
জার্মান ভূগোলবিদ কার্ল রিটার (Professor Carl Ritter) ভূগোলকে পৃথিবীর বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
-
মার্কিন ভূগোলবিদ রিচার্ড হার্টশোর্ন (Professor Richard Hartshorne) বলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ই হলো ভূগোল।
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, ভূগোল মূলত দুই ভাগে বিভক্ত— ভৌত ভূগোল এবং মানব ভূগোল। ভৌত ভূগোল পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যেমন পাহাড়, নদী, জলবায়ু, মৃত্তিকা, সাগর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে মানব ভূগোল মানুষের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বসতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে। আধুনিক কালে ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো ভূ-তথ্য ব্যবস্থা (GIS) এবং রিমোট সেন্সিং, যা পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago