করতোয়া নদী কোন জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে?
A
রাজবাড়ি
B
কুড়িগ্রাম
C
সিলেট
D
পঞ্চগড়
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে বিভিন্ন নদীর প্রবেশ পথ দেশের ভূগোল ও নদী ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ দিক।
-
পদ্মা নদী: রাজশাহী জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে কুষ্টিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দে যমুনার সঙ্গে মিলিত হয়।
-
ব্রহ্মপুত্র নদী: তিব্বত ও আসামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
-
মেঘনা নদী: ভারতের আসাম রাজ্যের নাগা-মনিপুর পার্বত্য অঞ্চলে উৎপন্ন বরাক নদী সিলেট সীমান্তে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুই শাখায় বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
-
যমুনা নদী: ময়মনসিংহ জেলার দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা দক্ষিণ দিকে যমুনা নামে প্রবাহিত হয়।
-
কর্তোয়া নদী: পঞ্চগড় জেলার ভিটগড়ের নিকট বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
-
মহানন্দা নদী: পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে।
-
কর্ণফুলী নদী: রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
-
সাঙ্গু নদী: বান্দরবান ও চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
-
ফেনী নদী: ফেনী জেলার পূর্ব সীমানা দিয়ে প্রবেশ করে সন্দ্বীপ প্রণালির উত্তরে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
-
নাফ নদী: বাংলাদেশের টেকনাফ ও মিয়ানমারের সীমান্ত নির্দেশ করে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন দুইটিকে পানামা খাল সংযুক্ত করেছে?
Created: 1 month ago
A
ভারত মহাসাগর ও উত্তর মহাসাগর
B
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর
C
ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ মহাসাগর
D
আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর মহাসাগর
পানামা খাল বিশ্বের বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবে বিবেচিত।
-
পানামা খাল পানামা প্রজাতন্ত্রের বুক চিরে বয়ে চলা একটি কৃত্রিম খাল, যা জাহাজ চলাচলের জন্য খনন করা হয়।
-
খনন কাজ ১৯০৪ সালে শুরু হয় এবং ১৯১৪ সালে সমাপ্ত হয়।
-
খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ৩০ থেকে ৯০ মিটার পর্যন্ত। গভীর জলভাগ অনুযায়ী এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮২ কিলোমিটার।
-
গভীরতা স্থানভেদে ৪৬ থেকে ৮৫ ফুট।
-
খালটি আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশকে পৃথক করেছে।
-
খাল নির্মাণের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূলে চলাচলকারী জাহাজের পথ প্রায় ১৫,০০০ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় প্লেটসমূহের সঞ্চালনের কারণে নিচের কোনটি ঘটে?
Created: 1 month ago
A
টর্নেডো
B
প্রবল বৃষ্টি
C
তুষারপাত
D
ভূমিকম্প
পাত সঞ্চালন হলো পৃথিবীর সঞ্চালনশীল মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাতগুলির গতিশীলতা, যা ভূমিকম্পের প্রধান কারণ।
পাত সঞ্চালনের তথ্য:
-
যখন সঞ্চালনশীল পাতসমূহ পরস্পরের সাথে সংঘর্ষ করে, তখন ভূমিকম্প ঘটে। এজন্য পৃথিবীর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলগুলো সাধারণত পাটসীমা বরাবর অবস্থিত।
-
এছাড়া, যখন সঞ্চালনশীল পাত দুটি পরস্পর থেকে দূরে সরে যায় বা সামনে-পিছনে গতিশীল হয়, তখন ভূ-গর্ভে চাপের তারতম্য সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ ভূমিকম্প ঘটে।
0
Updated: 1 month ago
কোন ভূগোলবিদ প্রথম 'Geography' শব্দ ব্যবহার করেন?
Created: 1 month ago
A
অ্যারিস্টটল
B
ইরাটোসথেনিস
C
অধ্যাপক ম্যাকনি
D
কার্ল রিটার
ভূগোল এমন একটি বিদ্যা যা পৃথিবী ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সামাজিক পরিবেশের সমন্বিত বর্ণনা প্রদান করে। ভূগোল শব্দটি এসেছে ইংরেজি Geography শব্দ থেকে, যা পৃথিবী সম্পর্কিত জ্ঞানকে বোঝায়। ইতিহাসের বিভিন্ন ভূগোলবিদ ভিন্ন ভিন্নভাবে ভূগোলকে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
-
প্রাচীন গ্রিসের ভূগোলবিদ ইরাটোসথেনিস সর্বপ্রথম "Geography" শব্দটি ব্যবহার করেন।
-
Geo শব্দের অর্থ "ভূ" বা পৃথিবী এবং graphy শব্দের অর্থ "বর্ণনা"। সুতরাং Geography শব্দের অর্থ দাঁড়ায় "পৃথিবীর বর্ণনা"।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ অধ্যাপক ম্যাকনি (Professor E. A. Macnee) ভূগোলকে মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর আলোচনা বা বর্ণনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, ভৌত ও সামাজিক পরিবেশে মানুষের কর্মকাণ্ড ও জীবনধারা নিয়ে যে বিষয় আলোচনা করে তাই ভূগোল।
-
বৃটিশ ভূগোলবিদ ডাডলি স্ট্যাম্প (Professor L. Dudley Stamp) বলেছেন, পৃথিবী ও এর অধিবাসীদের বর্ণনাই ভূগোল।
-
জার্মান ভূগোলবিদ কার্ল রিটার (Professor Carl Ritter) ভূগোলকে পৃথিবীর বিজ্ঞান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
-
মার্কিন ভূগোলবিদ রিচার্ড হার্টশোর্ন (Professor Richard Hartshorne) বলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ই হলো ভূগোল।
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে, ভূগোল মূলত দুই ভাগে বিভক্ত— ভৌত ভূগোল এবং মানব ভূগোল। ভৌত ভূগোল পৃথিবীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যেমন পাহাড়, নদী, জলবায়ু, মৃত্তিকা, সাগর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে মানব ভূগোল মানুষের সমাজ, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বসতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং পরিবেশের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করে। আধুনিক কালে ভূগোলের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হলো ভূ-তথ্য ব্যবস্থা (GIS) এবং রিমোট সেন্সিং, যা পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 1 month ago