নিচের কোন দুইটিকে পানামা খাল সংযুক্ত করেছে?
A
ভারত মহাসাগর ও উত্তর মহাসাগর
B
আটলান্টিক মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর
C
ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ মহাসাগর
D
আটলান্টিক মহাসাগর ও উত্তর মহাসাগর
উত্তরের বিবরণ
পানামা খাল বিশ্বের বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবে বিবেচিত।
-
পানামা খাল পানামা প্রজাতন্ত্রের বুক চিরে বয়ে চলা একটি কৃত্রিম খাল, যা জাহাজ চলাচলের জন্য খনন করা হয়।
-
খনন কাজ ১৯০৪ সালে শুরু হয় এবং ১৯১৪ সালে সমাপ্ত হয়।
-
খালের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫ কিলোমিটার, প্রস্থ ৩০ থেকে ৯০ মিটার পর্যন্ত। গভীর জলভাগ অনুযায়ী এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৮২ কিলোমিটার।
-
গভীরতা স্থানভেদে ৪৬ থেকে ৮৫ ফুট।
-
খালটি আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশকে পৃথক করেছে।
-
খাল নির্মাণের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ব থেকে পশ্চিম উপকূলে চলাচলকারী জাহাজের পথ প্রায় ১৫,০০০ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা -
Created: 1 month ago
A
১২ নটিক্যাল
B
২২.২২ নটিক্যাল
C
২২০ নটিক্যাল
D
৩৬০ নটিক্যাল
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা দেশের ভূগোল ও অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
বঙ্গোপসাগরের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য: ৭১৬ কিলোমিটার
-
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা: ১২ নটিক্যাল মাইল (২২.২২ কিলোমিটার)
-
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা: ২০০ নটিক্যাল মাইল (৩৭০.৪০ কিলোমিটার)
-
১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫২ কিলোমিটার
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
কোনটি নবায়নযােগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত?
Created: 1 month ago
A
গ্যাস
B
তেল
C
কয়লা
D
বায়ু
অনবায়নযােগ্য সম্পদ:
-
একবার ব্যবহার করলে পুনরায় উৎপন্ন করা যায় না; মূলত প্রাকৃতিক।
-
উদাহরণ: তেল, গ্যাস, কয়লা, ইউরেনিয়াম।
নবায়নযােগ্য সম্পদ:
-
পুনঃপুন ব্যবহারযোগ্য, অদূর ভবিষ্যতেও ঘাটতির সম্ভাবনা কম।
-
উদাহরণ: সূর্যের আলো, নদীর পানি, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা ও ঢেউ, বায়ু, ভূ-উত্তপ্ত শক্তি।
চাও, আমি এটাকে আরও সংক্ষিপ্ত এক লাইনে সাজিয়ে দিতে পারি।
0
Updated: 1 month ago
আনুমানিক কত বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
৫,০০০ বছর
B
১০,০০০ বছর
C
২৫,০০০ বছর
D
৫০,০০০ বছর
প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ:
-
আজ থেকে প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়।
-
এ অঞ্চলের মাটির রঙ লাল ও ধূসর।
-
দেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এর অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয় যে, প্লাইস্টোসিনকালে এসব উচ্চভূমি গঠিত হয়েছিল।
ক) বরেন্দ্রভূমি:
-
বরেন্দ্রভূমি রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।
-
এর আয়তন ৯,৩২০ বর্গকিলোমিটার।
-
প্লাবন সমভূমি থেকে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের সর্ববৃহৎ উঁচুভূমি।
-
বর্তমানে বরেন্দ্র বহুমুখী সেচ প্রকল্প এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ অঞ্চলকে কৃষিকাজের জন্য বিশেষ উপযোগী করা হয়েছে।
খ) মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়:
-
টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলার মধুপুর এবং গাজীপুর জেলার ভাওয়ালের গড় নিয়ে এলাকাটি গঠিত।
-
এটি প্লাইস্টোসিন যুগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উঁচুভূমি।
-
সমভূমি থেকে এর গড় উচ্চতা প্রায় ৩০ মিটার এবং আয়তন ৪,১০৩ বর্গকিলোমিটার।
-
এখানকার মৃত্তিকা কৃষিকাজের জন্য তেমন উপযোগী নয়, তবে এটি দেশের গজারী বৃক্ষের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
গ) লালমাই পাহাড়:
-
কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিলোমিটার এবং গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
-
পাহাড়ের মাটি লাল এবং নুড়ি, বালি ইত্যাদি দ্বারা গঠিত।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago