A
ন্যাটো (NATO)
B
সিটিবিটি (CTBT)
C
এনপিটি (NPT)
D
সল্ট (SALT)
উত্তরের বিবরণ
CTBT (Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty) একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সামরিক ও বেসামরিক সকল প্রকার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা।
এই চুক্তিটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মাধ্যমে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর এবং স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত হয় ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৬। এ পর্যন্ত ১৮৭টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং ১৭৮টি দেশ তা অনুমোদন করেছে।
বাংলাদেশ এই চুক্তিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে। বাংলাদেশ ২৪ অক্টোবর, ১৯৯৬ সালে CTBT-তে স্বাক্ষর করে এবং ৮ মার্চ, ২০০০ সালে ৫৪তম দেশ হিসেবে এর অনুমোদন প্রদান করে। স্বাক্ষরের সময় বাংলাদেশ ছিল ১২৯তম দেশ।
CTBTO (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty Organization) হলো সেই সংস্থা যা CTBT বাস্তবায়ন তদারকি করে। এই সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নজরদারি এবং পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। CTBTO-এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়।
অন্যদিকে, ১৯৬৩ সালের ৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে মস্কোতে স্বাক্ষরিত হয় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি, যার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল, মহাকাশ ও পানির নিচে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সংস্থা:
-
NPT (Non-Proliferation of Nuclear Weapons): পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি।
-
NATO (North Atlantic Treaty Organization): উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি সামরিক জোট।
-
SALT (Strategic Arms Limitation Talks): যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কৌশলগত অস্ত্র সীমিত করার আলোচনাপ্রক্রিয়া।
তথ্যসূত্র: Arms Control Association।

0
Updated: 1 month ago
ইসরাইল-প্যালেস্টাইন 'রোডম্যাপ' কর্মসূচির উদ্দেশ্য কি?
Created: 1 month ago
A
সহিংসতা বন্ধ করে ২০০৫ সালের মধ্যে স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা
B
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন
C
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য স্থাপন
D
দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সীমানা চিহ্নিতকরণ
নিকারাগুয়ার ‘কন্ট্রা’ বিদ্রোহীরা
নিকারাগুয়ার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ছিল ‘কন্ট্রা’, যারা দেশটির তৎকালীন বামপন্থি সরকারকে উৎখাতের উদ্দেশ্যে আন্দোলন চালায়। এই বিদ্রোহীদের পেছনে সরাসরি সমর্থন জুগিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন শান্তি প্রক্রিয়া ও ‘অসলো চুক্তি’:
১৯৯৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে উপনীত হয় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন।
যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতায় পৌঁছান ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিন। চুক্তিটি ‘অসলো চুক্তি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পিএলও পার্টির নেতা ইয়াসির আরাফাত।
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল দীর্ঘদিনের সংঘাত বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাওয়া। যদিও হামাসসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী তখন থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করে আসছে।
পরবর্তীতে, ফিলিস্তিনে একটি নির্বাচিত সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হয়, যারা পশ্চিম তীর ও গাজা অঞ্চল মিলিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানানো হয়েছে যে, তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হতে হবে পূর্ব জেরুসালেম।
অসলো চুক্তির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫, ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একাধিক দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের উদ্যোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ও ইয়াসির আরাফাতের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের নতুন এক আন্দোলন শুরু হয়, যা ‘দ্বিতীয় ইন্তিফাদা’ নামে পরিচিত। এই সহিংস পরিস্থিতি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
২০০৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি ‘রোডম্যাপ’ ঘোষণা করা হয়। এর লক্ষ্য ছিল, সহিংসতা বন্ধ করে ২০০৫ সালের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ সুগম করা।
তথ্যসূত্র:
১. বিবিসি বাংলা (প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩)
২. ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট (.gov)

0
Updated: 1 month ago
START-2 কী?
Created: 1 month ago
A
টিভিতে সম্প্রচারিত একটি সিরিয়াল
B
বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি চুক্তি
C
কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস সংক্রান্ত চুক্তি
D
এর কোনোটিই নয়
START চুক্তি
-
START অর্থাৎ Strategic Arms Reduction Treaty, একটি কৌশলগত অস্ত্র হ্রাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
-
এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কৌশলগত অস্ত্রের পরিমাণ হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণ করা।
-
START-1 চুক্তির স্বাক্ষর হয় ৩১ জুলাই ১৯৯১ সালে।
-
এরপর START-2 চুক্তিতে স্বাক্ষর হয় ৩ জানুয়ারি ১৯৯৩ সালে।
সূত্র: U.S. Department of State এর সরকারি ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
কোন চুক্তির মাধ্যমে ইইসি (EEC) প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
Created: 1 month ago
A
রোম চুক্তি
B
ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি
C
ভিয়েনা কনভেনশন
D
ব্রাসেলস্ কনভেনশন
রোম চুক্তির মাধ্যমে ইইসি (EEC) প্রতিষ্ঠা লাভ করে.
EEC:
- EEC-এর পূর্ণরূপ: European Economic Community বা ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়।
- ১৯৫৭ সালের ২৫ মার্চ পশ্চিম ইউরোপের ৬টি দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ‘রোম চুক্তি’ নামে পরিচিত।
- এই চুক্তির ফলে European Economic Community গঠিত হয়।
উল্লেখ্য,
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গড়ে ওঠে।
- ১৯৫১ সালে ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সম্প্রদায় গঠিত হয় যা ইউরোপীয় ফেডারেশনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।
- ১৯৫৭ সালে রোম চুক্তির ফলে ইউরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সম্প্রদায়ের কর্মপরিধি বর্ধিত হয় এবং বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, পশ্চিম জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডসের সমন্ময়ে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায় গঠিত হয়।
- একই দিনে অন্য আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
- এর ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো আণবিক শক্তির উন্নয়নের জন্য ইউরোপীয় আণবিক শক্তি গঠন করে।
- দুটি চুক্তিই ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি কার্যকর হয়।
- ১৯৬৭ সালে মার্জার চুক্তি নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
- ৩টি সম্প্রদায়ের জন্য যাদের একসঙ্গে ‘ইউরোপীয় সম্প্রদায় (ইসি)’ নামে অভিহিত করা হতো।
- ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের ম্যাসট্রিচটে ইউরোপীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়—যা ম্যাসট্রিচট চুক্তি নামে পরিচিত।
- ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর এই চুক্তি কার্যকর হয়।
- এর ফলে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ এবং ইউরোপের একক মুদ্রা হিসেবে ‘ইউরো’ চালু হয়।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 1 month ago