হেলানো তল থেকে বাড়তি যান্ত্রিক সুবিধা পাওয়া যাবে কীভাবে?
A
উচ্চতা বাড়িয়ে
B
দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে
C
দৈর্ঘ্য কমিয়ে
D
কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্ন: হেলানো তল থেকে বাড়তি যান্ত্রিক সুবিধা পাওয়া যাবে কীভাবে?
সমাধান:
হেলানো তলের যান্ত্রিক সুবিধা = হেলানো তলের দৈর্ঘ্য/হেলানো তলের উচ্চতা
অর্থাৎ, হেলানো তলের দৈর্ঘ্য যত বেশি হবে এবং এর উচ্চতা যত কম হবে এর যান্ত্রিক সুবিধা তত বেশি হবে এবং কম বলপ্রয়োগ করতে হবে।

0
Updated: 22 hours ago
নিচের যে উপন্যাসে গ্রামীণ সমাজ জীবনের চিত্র প্রাধান্য লাভ করেনি-
Created: 4 weeks ago
A
গণদেবতা
B
পদ্মানদীর মাঝি
C
সীতারাম
D
পথের পাঁচালী
বাংলা উপন্যাসে গ্রামীণ ও পারিবারিক জীবনের চিত্র
১. ‘সীতারাম’ উপন্যাস (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)
-
এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ উপন্যাস।
-
উপন্যাসে এক ব্যক্তির পারিবারিক জীবন প্রধানভাবে উঠে এসেছে, গ্রামীণ সমাজের জীবন চিত্র এখানে প্রাধান্য পায়নি।
-
লেখক স্বীকার করেছেন, যদিও সীতারাম একটি ঐতিহাসিক ব্যক্তি, উপন্যাসের সীতারাম অনৈতিহাসিক। কারণ, তাঁর মূল উদ্দেশ্য গল্পের মধ্যে পারিবারিক ও নৈতিক পাঠ প্রেরণ করা।
২. ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়)
-
১৯২৯ সালে প্রকাশিত, প্রথমে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত।
-
উপন্যাসের পটভূমি: বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন ও সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: বালক অপু।
-
মূল বিষয়: একটি শিশুর চৈতন্য ও মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির পরিচয়।
-
উপন্যাসের তিনটি ভাগ: বল্লালী বালাই, আমআঁটির ভেঁপু, এবং অক্রূর সংবাদ।
৩. ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাস (মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়)
-
১৯৩৪ সাল থেকে ‘পূর্বাশা’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত।
-
উপন্যাসের কেন্দ্র: পদ্মা নদীর তীরবর্তী ধীবর-জীবন, যেখানে গ্রামীণ সমাজের জীবন ও সম্পর্কের ছবি ফুটে উঠেছে।
-
গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: কুবের, কপিলা, মালা, ধনঞ্জয়, গণেশ, শীতলবাবু, হোসেন মিয়া।
-
বিখ্যাত সংলাপ: “আমারে নিবা মাঝি লগে?” (কপিলা কুবেরকে উদ্দেশ্য করে)।
-
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: ইংরেজি, রাশিয়ান, চীনা, চেক, নরওয়েজিয়ান, সুইডিশ ভাষায় অনূদিত।
৪. ‘গণদেবতা’ উপন্যাস
-
গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র উপন্যাসের মূল।
-
গ্রামীণ সমাজে মানুষের জীবনযাত্রা: পুরনো ধান-ধারণা, রীতিনীতি, বিশ্বাস ও সংস্কার অনুসরণ।
-
গ্রামীণ জনসংখ্যার চরিত্র: চাষী ও গৃহস্থ।
-
আধুনিক পরিবর্তনের ফলে ধনীরা ও মহাজনের শোষণ গ্রামীণ জীবনে বিপর্যয় আনে—এটাই উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, ‘গণদেবতা’ উপন্যাস, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 weeks ago
'আরেক ফাল্গুন' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 3 months ago
A
জহির রায়হান
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
মানিক বন্দোপাধ্যায়
D
সৈয়দ শামসুল হক
জহির রায়হান রচিত ‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাসটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা। বিশেষত ১৯৫৫ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের অভিজ্ঞতা ও তার প্রভাব এই উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
প্রকাশকাল: ১৯৬৮
-
বিষয়বস্তু: ১৯৪৮ থেকে শুরু করে ১৯৫২ এবং ১৯৫৫ পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের ধারা, ছাত্র-জনতার সক্রিয় অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক চেতনা, প্রেম-ভালোবাসা ইত্যাদি উপন্যাসের মূল বিষয়।
-
একটি উল্লেখযোগ্য সংলাপ: “আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো।”
জহির রায়হান
-
জন্ম: ১৯৩৫, মজিপুর গ্রাম, ফেনী জেলা
-
প্রকৃত নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ
-
পেশা: লেখক, চলচ্চিত্র নির্মাতা
-
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার: হাজার বছর ধরে উপন্যাসের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন।
জহির রায়হানের উপন্যাসসমূহ
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
হাজার বছর ধরে
-
আরেক ফাল্গুন
-
বরফ গলা নদী
-
আর কত দিন
-
কয়েকটি মৃত্যু
Stop Genocide (প্রামাণ্যচিত্র)-
Let There Be Light (ইংরেজি ভাষায়)
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
সঙ্গম
-
জীবন থেকে নেয়া
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা — ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অগ্নিসাক্ষী
B
চিলেকোঠার সেপাই
C
আরেক ফাল্গুন
D
অনেক সূর্যের আশা
‘আরেক ফাল্গুন’ উপন্যাস
বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখক জহির রায়হান রচিত একটি স্মরণীয় উপন্যাস হলো ‘আরেক ফাল্গুন’। এই উপন্যাসটি মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা, যেখানে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়, বিশেষ করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলি এবং সেসময়ের রাজনৈতিক আবহ উপজীব্য হিসেবে উঠে এসেছে। এটি ১৯৬৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
এই রচনায় লেখক ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত সময়কালে ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ, প্রেম-ভালোবাসা, সংগ্রাম ও জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেছেন। উপন্যাসটির এক উল্লেখযোগ্য সংলাপ হলো:
"আসছে ফাল্গুনে আমরা কিন্তু দ্বিগুণ হবো" — যা ভবিষ্যতের আন্দোলনে জনগণের দৃঢ় সংকল্পকে নির্দেশ করে।
উপন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রসমূহ
-
মুমিন
-
আসাদ
-
রসুল
-
সালমা
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য ও চলচ্চিত্র
-
‘চিলেকোঠার সেপাই’: আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বিখ্যাত রাজনৈতিক উপন্যাস, যা ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে লেখা।
-
‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’: মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, যেটি পরিচালনা করেন সুভাষ দত্ত।
-
‘অনেক সূর্যের আশা’: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উপমহাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে লেখা সরদার জয়েনউদ্দিন-এর একটি বিশিষ্ট উপন্যাস।
জহির রায়হান: সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
-
জন্ম: ১৯৩৫, ফেনী জেলার মজিপুর গ্রামে।
-
পূর্ণ নাম: মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ।
-
পেশা: সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।
প্রাপ্ত সম্মাননা
-
উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’-র জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
শেষ বিকেলের মেয়ে
-
হাজার বছর ধরে
-
আরেক ফাল্গুন
-
বরফ গলা নদী
-
আর কত দিন
-
কয়েকটি মৃত্যু
পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহ
-
সোনার কাজল
-
কাঁচের দেয়াল
-
বেহুলা
-
জীবন থেকে নেয়া
-
আনোয়ারা
-
সঙ্গম
-
বাহানা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago