এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী গ্যাস কোনটি?
A
CH4
B
NH3
C
CO2
D
SO2
উত্তরের বিবরণ
এসিড বৃষ্টি হলো এমন বৃষ্টি যার pH মান 5.6 এর কম হয়। এটি সাধারণত মানুষের কার্যকলাপ থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণের ফল। কলকারখানা ও শিল্পাঞ্চলে এই বৃষ্টির pH প্রায় 5.6 থেকে 3.5 পর্যন্ত থাকে। এসিড বৃষ্টির প্রধান কারণ হলো সালফার ডাই অক্সাইড (SO2) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহ (NO, NO2)।
এসিড বৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব:
-
শিল্প এলাকা থেকে নির্গত SO2 বৃষ্টির পানিতে দ্রবীভূত হয়ে এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করে।
-
'তাজমহল'-এর মার্বেল পাথর এবং ধাতব ব্রিজ ও অট্টালিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
-
জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ আক্রান্ত হয়; কম pH পানিতে মাছের ডিমের হ্যাচিং প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়।
-
বৃষ্টিবন (rain forest) ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বীজের অঙ্কুরোদ্গম ব্যাহত হয়।
-
মাটির ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম ও জিঙ্ক যৌগ ধুয়ে মাটি অনুর্বর হয়ে যায়।
এসিড বৃষ্টির প্রতিকার:
-
পুকুর, হ্রদ ও কৃষি জমিতে চুন বা লাইম ছিটিয়ে অতিরিক্ত এসিডকে ক্যালসিয়াম লবণে রূপান্তর করা।
-
ট্রপোস্ফিয়ারকে SO2 এবং NOx মুক্ত রাখা, যার জন্য শিল্পক্ষেত্রে FGD প্ল্যান্ট এবং মোটরগাড়িতে ক্যাটালাইটিক কনভার্টার ব্যবহার করা হয়।
অতিরিক্তভাবে, কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2), কার্বন মনোঅক্সাইড (CO) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। CO2 কেবল দুর্বল কার্বনিক এসিড (H2CO3) তৈরি করে, যা এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়।

0
Updated: 22 hours ago
সোনার গহনা তৈরির সময় কোন এসিড ব্যবহৃত হয়?
Created: 4 days ago
A
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
B
কার্বোলিক এসিড
C
সালফিউরিক এসিড
D
নাইট্রিক এসিড
এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবন ও বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে বহুমুখীভাবে ব্যবহৃত হয়। এগুলি বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক প্রক্রিয়া ও কাজের জন্য অপরিহার্য। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যবহারগুলো দেওয়া হলো।
-
সোনার গহনা তৈরিতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
-
আইপিএস, গাড়ি, মাইক, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদিতে সালফিউরিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
-
বাসাবাড়িতে সাপের উপদ্রব কমাতে কার্বোলিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
-
মানবদেহে হজম প্রক্রিয়ায়, পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড অত্যাবশ্যক।
-
সার কারখানায় সালফিউরিক এসিড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
-
ডিটারজেন্ট, রং, ঔষধ, কীটনাশক, পেইন্ট, কাগজ, বিস্ফোরক ও রেয়ন তৈরিতে প্রচুর সালফিউরিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
-
একটি দেশের শিল্পোন্নয়নের মাত্রা প্রায়শই সালফিউরিক এসিডের ব্যবহার থেকে মূল্যায়ন করা হয়।
-
ইস্পাত, ঔষধ ও চামড়া শিল্পে হাইড্রোক্লোরিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
-
সার কারখানা, বিস্ফোরক প্রস্তুতি, খনি থেকে সোনা আহরণ ও রকেট জ্বালানিতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
উৎস:

0
Updated: 4 days ago
পাকস্থলীতে খাবার হজমের জন্য কোন এসিড প্রয়োজন?
Created: 1 week ago
A
ভিনেগার
B
এসিটিক এসিড
C
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
D
এসকরবিক এসিড
এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের এসিড খাদ্য, চিকিৎসা এবং শিল্পে ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। নিচে কিছু প্রধান এসিডের ব্যবহার উল্লেখ করা হলো।
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl): আমাদের পাকস্থলীতে হজমের জন্য হাইড্রোক্লোরিক এসিড প্রয়োজন হয়। বিশেষত মাংস, পোলাও, বিরিয়ানি প্রভৃতি গুরুপাক খাবার খাওয়ার পর এই এসিড হজমে সহায়তা করে। কোমল পানীয় সামান্য এসিডিক হওয়ার কারণে এগুলো পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপাদনে সহায়তা করে।
-
ভিটামিন সি বা এসকরবিক এসিড (C6H8O6): লেবু, কমলা, আপেল, পেয়ারা, আমলকী প্রভৃতি ফলে পাওয়া যায়। এটি শরীরের ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়ে থাকে।
-
ভিনেগার বা এসিটিক এসিড (CH3COOH): আম, জলপাইসহ বিভিন্ন ফলের আচার সংরক্ষণে ব্যবহার করা হয়। এটি খাবার দীর্ঘদিন ভালো রাখে।
-
ল্যাকটিক এসিড [CH3-CH(OH)-COOH]: দই, বোরহানির মতো খাবারে পাওয়া যায়। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
-
বেকিং সোডা (NaHCO3): কেক, বিস্কুট, পাউরুটি ইত্যাদি ফোলানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। তাপ দিলে বেকিং সোডা ভেঙে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে, ফলে খাবারগুলো ফেঁপে ওঠে এবং নরম হয়।

0
Updated: 1 week ago
বেকিং সোডা ব্যবহার করে তাপ দিলে কোন গ্যাস উৎপন্ন হয় যা কেক বা পাউরুটিকে ফুলিয়ে তোলে?
Created: 1 week ago
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
কার্বন ডাই-অক্সাইড
D
নাইট্রোজেন
প্রাত্যহিক জীবনে এসিডের ব্যবহার
-
বোলতা বা বিচ্ছুর হুলের জ্বালা নিবারণ
-
বোলতা ও বিচ্ছুর হুলে থাকে হিস্টামিন, যা এক ধরনের ক্ষারক পদার্থ।
-
এতে প্রচণ্ড জ্বালা করে। এসিড বা এসিডজাতীয় মলম (যেমন ভিনেগার) ব্যবহার করলে ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া হয়ে তা নিষ্ক্রিয় হয় এবং জ্বালা কমে যায়।
-
-
খাবার হজমে সহায়তা
-
পাকস্থলীতে হজমের জন্য হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) প্রয়োজন।
-
মাংস, বিরিয়ানি ইত্যাদি গুরুপাক খাবারের পর কোমল পানীয় (যা হালকা এসিডিক) পান করলে হজমে সহায়তা করে।
-
-
ফলমূলের জৈব এসিড
-
লেবু, কমলা, আপেল, পেয়ারা, আমলকীতে বিভিন্ন জৈব এসিড থাকে।
-
ভিটামিন C (অ্যাসকরবিক এসিড) ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, আর এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয়।
-
-
আচার সংরক্ষণ
-
আম, জলপাই প্রভৃতি আচারে ভিনেগার (অ্যাসিটিক এসিড, CH₃COOH) ব্যবহার করা হয়।
-
-
দই ও বোরহানি
-
দই ও বোরহানিতে থাকা ল্যাকটিক এসিড হজমে সাহায্য করে।
-
-
বেকিংয়ে ব্যবহার
-
বেকিং সোডা তাপে ভেঙে কার্বন ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করে।
-
এই গ্যাস কেক, বিস্কুট ও পাউরুটি ফুলিয়ে তোলে।
-
-
পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার
-
টয়লেট পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহৃত ক্লিনারে থাকে শক্তিশালী এসিড যেমন: HCl, HNO₃, H₂SO₄।
-
-
ব্যাটারি ও বিদ্যুৎ সংরক্ষণে
-
সৌরবিদ্যুৎ, আইপিএস ও গাড়ির ব্যাটারিতে সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) ব্যবহার হয়।
-
-
সার উৎপাদনে এসিড
-
সার তৈরিতে ব্যবহৃত যৌগ:
-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃) → নাইট্রিক এসিড (HNO₃) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম সালফেট ((NH₄)₂SO₄) → সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄) দিয়ে
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH₄)₃PO₄) → ফসফরিক এসিড (H₃PO₄) দিয়ে
-
-
-
এসিডের ক্ষতিকর প্রভাব
-
এসিড কাপড়ে পড়লে কাপড় পুড়ে যায় বা ছিদ্র হয়ে যায়।
-
ধাতব পদার্থকেও ক্ষয় করে।
-
শরীরে এসিড পড়লে সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
-
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago