নিউক্লিয় সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তি কোন শক্তিতে রূপান্তর করা হয়?
A
তাপ শক্তি
B
আলোক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি
D
রাসায়নিক শক্তি
উত্তরের বিবরণ
শক্তির রূপান্তর হলো এমন প্রক্রিয়া যেখানে শক্তি এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হয়, তবে মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে। এক রূপের শক্তি অন্য রূপের শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াকেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়।
নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তর:
-
নিউক্লিয় সাবমেরিনে নিউক্লিয় শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
-
নিউক্লিয় বোমার ধ্বংস লীলা মূলত নিউক্লিয় শক্তির রূপান্তরকে প্রদর্শন করে।
-
নিউক্লিয় চুল্লীতে নিউক্লিয় শক্তি অন্যান্য শক্তিতে, বিশেষ করে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, যা আজকাল শক্তির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 22 hours ago
নিউক্লিয় ফিশন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়-
Created: 2 weeks ago
A
বায়ু টারবাইনে
B
সৌর প্যানেলে
C
সৌর ক্যালকুলেটরে
D
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে
নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া:
নিউক্লিয় ফিউশন (Nuclear Fusion):
-
ফিউশন হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে দুটি হালকা নিউক্লিয়াস একত্রিত হয়ে একটি ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি করে।
-
এটিকে সংযোজন বিক্রিয়াও বলা হয়।
-
ফিউশন বিক্রিয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়, যা সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রের শক্তির মূল উৎস।
-
হাইড্রোজেন বোমার কার্যপ্রক্রিয়া নিউক্লিয় ফিউশনের উপর ভিত্তি করে।
নিউক্লিয়ার ফিশন (Nuclear Fission):
-
ফিশন হল এমন একটি পারমাণবিক প্রক্রিয়া যেখানে একটি ভারী নিউক্লিয়াস ভেঙে দুটি বা ততোধিক হালকা নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়।
-
এটিকে বিয়োজন বিক্রিয়াও বলা হয়।
-
ফিশন বিক্রিয়ার ফলে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়, যা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষত পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago
জিওথার্মাল শক্তির প্রধান উৎস কী?
Created: 5 days ago
A
সূর্যের তাপশক্তি
B
বায়ুর গতি
C
ভূগর্ভস্থ তাপ
D
সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা
জিওথার্মাল এনার্জি (Geothermal Energy) হলো পৃথিবীর অভ্যন্তরে সঞ্চিত তাপশক্তি, যা মূলত গলিত শিলা (Magma), গরম পানি ও বাষ্প থেকে আহরণ করা যায়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
জিওথার্মাল এনার্জি সম্পর্কিত তথ্য:
-
এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপশক্তি, যা রান্না, স্নান, ঘর গরম রাখা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
-
পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপ এবং বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় উপাদানের ক্ষয়ের কারণে এই তাপ উৎপন্ন হয়।
-
এটি নবায়নযোগ্য শক্তি, কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ তাপ দীর্ঘমেয়াদে শেষ হয়ে যায় না।
-
পৃথিবীতে বিদ্যমান মোট জিওথার্মাল শক্তির পরিমাণ বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এই শক্তি ব্যবহার করা প্রযুক্তিগতভাবে জটিল।
-
জীবাশ্ম জ্বালানি (যেমন কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস) পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের বিপরীতে এটি একটি পরিবেশবান্ধব বিকল্প।
-
বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হিসেবে এর ব্যবহার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

0
Updated: 5 days ago
সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল কোনটি?
Created: 1 week ago
A
দুর্বল নিউক্লীয় বল
B
মহাকর্ষ বল
C
সবল নিউক্লীয় বল
D
তড়িৎ চৌম্বক বল
বল (Force)
-
সংজ্ঞা: যে বস্তু স্থির অবস্থায় থাকা অন্য কোনো বস্তুকে গতি দিতে চায় বা করতে সক্ষম, অথবা যে বস্তু গতিশীল তার গতিতে পরিবর্তন আনে, তাকে বল বলে।
-
বল সবসময় জোড়ায় জোড়ায় ক্রিয়া করে।
-
প্রকৃতিতে মোট চার ধরনের মৌলিক বল আছে:
১) মহাকর্ষ বল
২) তড়িৎ-চৌম্বক বা বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল
৩) দুর্বল নিউক্লীয় বল
৪) সবল নিউক্লীয় বল
1️⃣ মহাকর্ষ বল (Gravitational Force)
-
সংজ্ঞা: সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ করে, সেটি মহাকর্ষ বল।
-
উদাহরণ:
-
গ্যালাক্সির মধ্যে নক্ষত্র ঘোরে।
-
সূর্যকে ঘিরে পৃথিবী এবং পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদ ঘোরে।
-
-
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে মধ্যাকর্ষণ বল বলা হয়।
-
এটি মানুষকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে টানে, যার ফলে আমরা ওজন অনুভব করি।
-
যেকোনো ভরযুক্ত বস্তু অন্য বস্তুকে মহাকর্ষ বল প্রয়োগ করে।
2️⃣ তড়িৎ-চৌম্বক বল (Electromagnetic Force)
-
দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরকে যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করে, সেটি তড়িৎ-চৌম্বক বল।
3️⃣ দুর্বল নিউক্লীয় বল (Weak Nuclear Force)
-
এটি তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ট্রিলিয়ন গুণ দুর্বল, কিন্তু মহাকর্ষ বলের তুলনায় দুর্বল নয়।
-
মহাকর্ষ ও তড়িৎ-চৌম্বক বল দূরত্বের বড় পরিসরে কাজ করতে পারে, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বল খুবই অল্প দূরত্বে (~10⁻¹⁸ মিটার) কার্যকর।
4️⃣ সবল নিউক্লীয় বল (Strong Nuclear Force)
-
এটি সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে শক্তিশালী বল।
-
তড়িৎ-চৌম্বক বলের তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী, কিন্তু দুর্বল নিউক্লীয় বলের মতো খুব অল্প (~10⁻¹⁵ মিটার) দূরত্বে কাজ করে।
-
সূর্য থেকে প্রাপ্ত আলো ও তাপ এই বলের কারণে উৎপন্ন হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago