টিংচার আয়োডিন কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ?
A
কীটনাশক
B
অ্যান্টিসেপটিক
C
জৈব সার
D
চেতনানাশক
উত্তরের বিবরণ
রাসায়ন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
চিকিৎসা শাস্ত্রে রসায়ন:
-
রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি যেমন MRI, CT scan, X-ray এর তত্ত্ব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত।
-
রোগব্যাধি নিরাময়ে ব্যবহৃত ওষুধ যেমন পেনিসিলিন (নিউমোনিয়া), স্ট্রেপটোমাইসিন (যক্ষ্যা), ক্লোরোমাইসেটিন (টাইফয়েড) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন।
-
অ্যান্টিসেপটিক ও চেতনা নাশক পদার্থ যেমন টিংচার আয়োডিন, হেক্সাক্লোরোফিন, ইথার, ক্লোরোফরম চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত।
কৃষিকাজে রসায়ন:
-
সার যেমন ইউরিয়া, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ট্রিপল সুপার ফসফেট (TSP), অ্যামোনিয়াম সালফেট রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত।
-
জীবাণুনাশক ও কীটনাশক যেমন এনড্রিন, ডায়াজিনন, ফুরাডন রাসায়নিকভাবে উৎপন্ন।
-
কাঁচা ফল পাকানো এবং শস্য সংরক্ষণেও রাসায়ন ব্যবহৃত।
শিল্পক্ষেত্রে রসায়ন:
-
দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য সামগ্রী যেমন সাবান, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্ট, ম্যালামাইন সামগ্রী, প্লাস্টিক, কৃত্রিম নাইলন, সিল্ক, রাবার, প্রসাধনী রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা প্রস্তুত।
-
ইস্পাত, কাগজ, চিনি, বস্ত্র, কাচ ও চামড়া শিল্পে রসায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
-
শক্তির উৎস যেমন ব্যাটারি, পেট্রোল, কেরোসিন, ডিজেল তৈরিতেও রাসায়ন অবদান রাখে।
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি জীবাণুনাশক বা এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
আয়োডিন
B
সোডিয়াম
C
ক্যালসিয়াম
D
পটাসিয়াম
আয়োডিন একটি বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিসেপটিক, যা ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করলে জীবাণু ধ্বংস হয় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। চিকিৎসায় সাধারণত পোভিডোন-আয়োডিন (Povidone-iodine) দ্রবণ আকারে ব্যবহার করা হয়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে রসায়নের ভূমিকা:
-
রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন MRI, CT scan, X-ray ইত্যাদি যন্ত্রের পেছনে রাসায়নিক তত্ত্ব কাজ করে।
-
এমনকি সাধারণ চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন সিরিঞ্জ, স্যালাইনের ব্যাগ, ছুরি, কাঁচি, সূঁচ ইত্যাদি তৈরিতেও রসায়নের অবদান রয়েছে।
রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত ওষুধ ও রাসায়নিক পদার্থ:
-
নিউমোনিয়া নিরাময়: পেনিসিলিন।
-
যক্ষ্মা নিরাময়: স্ট্রেপটোমাইসিন।
-
টাইফয়েড নিরাময়: ক্লোরোমাইসেটিন।
-
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে: টিংচার আয়োডিন, হেক্সাক্লোরোফিন।
-
চেতনা নাশক (অ্যানাস্থেশিয়া): ইথার, ক্লোরোফর্ম।
এসব ওষুধ ও রাসায়নিক পদার্থ চিকিৎসা বিজ্ঞানে মানুষের জীবন রক্ষা ও রোগ নিরাময়ে অমূল্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
0
Updated: 1 month ago
অপরিবাহী পদার্থ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
তামা
B
প্লাস্টিক
C
সিলিকন
D
জার্মেনিয়াম
অপরিবাহী, পরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহী পদার্থের পার্থক্য তাদের মধ্য দিয়ে তড়িৎ আধান প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা দ্বারা নির্ধারিত হয়। পদার্থের ইলেকট্রন বিন্যাস এবং মুক্ত ইলেকট্রনের উপস্থিতি এর প্রধান কারণ।
অপরিবাহী (Insulator):
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ আধান প্রবাহিত হতে পারে না, সেগুলোকে অপরিবাহী বলে।
-
অপরিবাহীতে মুক্ত ইলেকট্রন অনুপস্থিত থাকে, ফলে তড়িৎ প্রবাহ সম্ভব হয় না।
-
মূলত প্রায় সব অধাতব পদার্থই অপরিবাহী।
-
অপরিবাহীর রোধ (Resistance) খুব বেশি।
-
উদাহরণ: কাঁচ, কাঠ, প্লাস্টিক, রাবার, কাগজ, মিকা ইত্যাদি।
-
এদের ব্যবহার বৈদ্যুতিক যন্ত্রের নিরোধক হিসেবে, যেমন তারের কভার বা প্লাগে হয়।
পরিবাহী (Conductor):
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, সেগুলো পরিবাহী নামে পরিচিত।
-
পরিবাহীতে বেশি সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন থাকে, যা সহজেই চলাচল করতে পারে।
-
প্রায় সব ধাতব পদার্থই পরিবাহী, কারণ তাদের বাইরের স্তরের ইলেকট্রন দুর্বলভাবে বাঁধা থাকে।
-
পরিবাহীর রোধ খুব কম।
-
উদাহরণ: রূপা, তামা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম, সোনা ইত্যাদি।
-
এগুলো তার, সার্কিট ও বৈদ্যুতিক সংযোগে ব্যবহৃত হয়।
অর্ধপরিবাহী (Semiconductor):
যেসব পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি, তাদের অর্ধপরিবাহী বলা হয়।
-
অর্ধপরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহ করার ক্ষমতা সীমিত হলেও প্রয়োজনে তা বাড়ানো যায়।
-
এদের প্রধান উপাদান হলো সিলিকন (Si) ও জার্মেনিয়াম (Ge)।
-
পরিবাহীর ক্ষেত্রে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে তড়িৎ প্রবাহ কমে যায়, কারণ রোধ বৃদ্ধি পায়।
-
অর্ধপরিবাহীর ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনা ঘটে—তাপমাত্রা বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ বাড়ে, অর্থাৎ রোধ কমে যায়।
-
আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রে (যেমন: ডায়োড, ট্রানজিস্টর, মাইক্রোচিপ) অর্ধপরিবাহী পদার্থ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 3 weeks ago
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর নাম কী?
Created: 1 month ago
A
ফ্ল্যাভি ভাইরাস
B
রোটা ভাইরাস
C
করোনা ভাইরাস
D
হেপাটাইটিস ভাইরাস
ডেঙ্গু জ্বর একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস প্রজাতির স্ত্রী মশার মাধ্যমে ছড়ায়। এর কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো।
-
ডেঙ্গু একটি ভাইরাসঘটিত রোগ।
-
এর জীবাণুর নাম ফ্ল্যাভি ভাইরাস (Flavi virus), যা একটি RNA ভাইরাস।
-
এই ভাইরাসের প্রধান বাহক হলো Aedes aegypti ও Aedes albopictus নামক স্ত্রী মশা।
-
এর একমাত্র পোষক দেহ হলো মানুষ।
-
প্রতিবছর সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।
-
ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ১০৩-১০৫° ফারেনহাইট হয়ে থাকে।
-
সাধারণত মশার কামড়ের ২-৭ দিন পর ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেয়।
-
প্রধান উপসর্গের মধ্যে রয়েছে তীব্র মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, কপাল ব্যথা, গলা ব্যথা, পেট ব্যথা ইত্যাদি।
-
বিশেষ লক্ষণ হলো মেরুদণ্ড ও কোমরের তীব্র ব্যথা, এজন্য একে হাড়ভাঙ্গা জ্বর বলা হয়।
-
রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায় প্লেটিলেট সংখ্যা ১৫০,০০০/mm³ এর নিচে নেমে যায়।
-
ডেঙ্গু রোগীকে কখনোই এসপিরিন জাতীয় ওষুধ দেওয়া যাবে না।
-
ব্যথা ও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago