কোন রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর?
A
রঞ্জন রশ্মি
B
গামা রশ্মি
C
অতিবেগুনি রশ্মি
D
ইনফ্রারেড রশ্মি
উত্তরের বিবরণ
অতিবেগুনি, গামা ও এক্স-রশ্মি হলো বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ, যা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং শক্তির দিক থেকে ভিন্ন। অতিবেগুনি রশ্মি চোখের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর, কারণ এটি চোখের উপরিভাগের কোষ নষ্ট করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে চোখের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। গামা রশ্মি ও এক্স-রে শক্তিশালী হলেও সাধারণত চোখে সরাসরি ক্ষতি করে না, আর ইনফ্রারেড রশ্মি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর।
গামা রশ্মি (γ-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে ছোট।
-
ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কারণে কম্পাঙ্ক এবং শক্তি অত্যন্ত বেশি।
-
দৃশ্যমান আলোর তুলনায় শক্তি প্রায় ৫০,০০০ গুণ বেশি।
-
তেজস্ক্রিয় মৌল এবং পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্গত হয়।
-
প্রাণীর দেহের জন্য ক্ষতিকর।
এক্স রশ্মি (X-ray):
-
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻¹¹ m থেকে 10⁻⁸ m পর্যন্ত।
-
উলহেলম রন্টজেন ১৮৯৫ সালে আবিষ্কার করেন; রঞ্জন রশ্মি নামেও পরিচিত।
-
গামা রশ্মির তুলনায় কম্পাঙ্ক ও শক্তি অপেক্ষাকৃত কম।
-
মানুষের দেহের নরম অংশের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, কিন্তু হাড় বা টিউমারজাত শক্ত টিস্যুর মধ্য দিয়ে যায় না।
-
চিকিৎসায় দেহের হাড় এবং টিউমার সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
অতিবেগুনি রশ্মি (Ultraviolet ray):
-
এক্স-রে এবং দৃশ্যমান আলোর মধ্যবর্তী, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10⁻⁸ m থেকে 4×10⁻⁷ m পর্যন্ত।
-
সূর্য রশ্মি প্রধান উৎস।
-
ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
দীর্ঘ সময় পড়লে চোখ ও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।

0
Updated: 22 hours ago
আলোর বর্ণালীতে কয়টি বর্ণ থাকে?
Created: 2 weeks ago
A
৩ টি
B
৫ টি
C
৬ টি
D
৭ টি
বর্ণালী (Spectrum) সম্পর্কে সংক্ষেপ:
-
সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মি একটি কাচের প্রিজমে আপতিত হলে প্রিজমের অপর পার্শ্বে একটি সাদা পর্দায় সাতটি বর্ণের আলোর স্তর দেখা যায়। এই স্তরকে বর্ণালী বলা হয়।
-
বর্ণালীতে মোট ৭টি বর্ণ থাকে:
১. লাল (Red) – উপরেরmost
২. কমলা (Orange)
৩. হলুদ (Yellow)
৪. সবুজ (Green)
৫. আকাশী (Blue)
৬. নীল (Indigo)
৭. বেগুনী (Violet) – নিচেরmost -
স্মরণ করার নিয়ম: বেগুনী থেকে শুরু করে প্রথম অক্ষরগুলো হলো “বেনীআসহকলা” বা আন্তর্জাতিকভাবে VIBGYOR।
-
আলোকের বিচ্ছুরণ (Dispersion):
বিভিন্ন বর্ণের আলো আলাদা হয়ে যাওয়াকে আলোর বিচ্ছুরণ বলা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র, এইচ.এস.সি. প্রোগ্রাম; বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম?
Created: 16 hours ago
A
কমলা
B
হলুদ
C
লাল
D
বেগুনি
তাড়িতচৌম্বকীয় বর্ণালির এক ক্ষুদ্র অংশ আমাদের চোখে দৃশ্যমান হয়, যাকে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বা দৃশ্যমান বিকিরণ বলা হয়। এই আলোই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রঙের অনুভূতি প্রদান করে।
-
দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর 4×10⁻⁷ মিটার থেকে 7×10⁻⁷ মিটার।
-
ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে আলোর বিভিন্ন বর্ণ দেখা যায়।
-
দৃশ্যমান আলোকে সাধারণত বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল—এই সাতটি ভাগে বিভক্ত করা হয়।
-
বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি।
-
লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, তাই এর প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ সবচেয়ে কম।
-
তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি হবে, প্রতিসরণ, বিচ্যুতি ও বিক্ষেপণ তত কম হবে।
উৎস:

0
Updated: 16 hours ago
মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার কবে দেওয়া হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৯২২ সালে
B
১৯৩৬ সালে
C
১৯৪৫ সালে
D
১৯৫০ সালে
Cosmic Rays (মহাজাগতিক রশ্মি):-
-
সংজ্ঞা: মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন আহিত কণাসমূহ প্রবেশ করলে সেগুলিকে মহাজাগতিক রশ্মি বা Cosmic rays বলা হয়।
-
আবিষ্কারক: ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস, একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
-
বেলুনে বহনযোগ্য যন্ত্র ব্যবহার করে প্রমাণ করেন যে, বিকিরণের উৎস মহাজাগতিক এবং এটি পরিবেশকে আয়নিত করে।
-
-
পুরস্কার: ১৯৩৬ সালে কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসনের সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান মহাজাগতিক রশ্মি আবিষ্কারের জন্য।
উৎস: ব্রিটানিকা ও নোবেল পুরস্কার ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 weeks ago