কোনটি জৈব এসিড?
A
নাইট্রিক এসিড
B
সালফিউরিক এসিড
C
সাইট্রিক এসিড
D
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
উত্তরের বিবরণ
সাইট্রিক এসিড হলো একটি জৈব এসিড, যা মূলত জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া এবং লেবুতে পাওয়া যায়। জৈব এবং অজৈব এসিডের উদাহরণ এবং তাদের ব্যবহার বা বৈশিষ্ট্যগুলো ভিন্ন।
-
জৈব এসিড:
-
সাইট্রিক এসিড: জলপাই, করমচা, আমলকি, কাঁচা আমড়া ও লেবুতে পাওয়া যায়।
-
টারটারিক এসিড: তেঁতুলে থাকে।
-
ল্যাকটিক এসিড: টকদইতে উপস্থিত।
-
ইথানোয়িক এসিড (CH3COOH): বাজারে কাঁচের বোতলে পাওয়া ভিনেগারের ৬-১০% জলীয় দ্রবণ।
-
কার্বনিক এসিড: বিভিন্ন সফট ড্রিংকসে বিদ্যমান।
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl): পাকস্থলির দেয়াল দ্বারা উৎপন্ন, যা খাবারের সঙ্গে ক্ষতিকারক অণুজীবকে ধ্বংস করে এবং খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। অতিরিক্ত এসিডের কারণে বুক জ্বালা বা গলায় জ্বালাপোড়া হলে সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট (NaHCO3) বা এন্টাসিড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
-
-
অজৈব এসিড:
-
উদাহরণ: হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl), নাইট্রিক এসিড (HNO3), সালফিউরিক এসিড (H2SO4)।
-
এগুলো পানিতে বিভিন্ন অনুপাতে দ্রবীভূত করে ব্যবহার করা হয় এবং জলীয় দ্রবণে এসিড ধর্ম প্রদর্শন করে।
-
হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl) গ্যাস নিজে কোনো এসিড ধর্ম দেখায় না; পানি যোগ করলে এটি হাইড্রোক্লোরিক এসিড হিসেবে কার্যকর হয়।
-

0
Updated: 22 hours ago
মিথান্যালের জলীয় দ্রবণকে কী বলে?
Created: 1 week ago
A
ভিনেগার
B
মেথিলেটেড স্পিরিট
C
রেকটিফাইড স্পিরিট
D
ফরমালিন
ফরমালিন হলো মিথান্যালের জলীয় দ্রবণ। এতে সাধারণত 40% মিথান্যাল, 52% পানি এবং 8% মিথাইল অ্যালকোহল থাকে।
ভিনেগার হলো 6–10% ইথানোয়িক এসিডের জলীয় দ্রবণ।
রেকটিফাইড স্পিরিট হলো 95.6% ইথানল এবং 4.4% পানির মিশ্রণ।
মেথিলেটেড স্পিরিট হলো রেকটিফাইড স্পিরিটের সাথে মিথানল মিশ্রিত করে ইথানলকে অযোগ্য বা অসেবনীয় করার উদ্দেশ্যে তৈরি মিশ্রণ।
পাওয়ার অ্যালকোহল হলো পেট্রোলিয়াম জাতীয় উপাদানের সাথে 30% ইথানল মিশ্রিত করে বিকল্প জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত মিশ্রণ।

0
Updated: 1 week ago
মাছ চাষের জন্য পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন মাত্রা কত?
Created: 1 week ago
A
২ পিপিএম
B
৫ পিপিএম
C
১০ পিপিএম
D
১২ পিপিএম
মাছ চাষের পুকুরের পানির গুণাগুণ
মাছের সুস্থ বৃদ্ধি, খাদ্যগ্রহণ এবং উৎপাদনের জন্য পুকুরের পানির গুণাগুণ উপযুক্ত মাত্রায় থাকা জরুরি। পুকুরের পানি দুই ধরণের গুণাবলীতে ভাগ করা যায়—
1️⃣ ভৌত গুণাগুণ (Physical Properties)
ক) গভীরতা:
-
খুব গভীর পুকুরে সূর্যের আলো নীচ পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য প্লাংকটন কম উৎপন্ন হয় এবং অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
-
খুব অগভীর পুকুরে গ্রীষ্মকালে পানি অতিরিক্ত গরম হয়, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।
খ) তাপমাত্রা:
-
মাছের বৃদ্ধি তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। শীতকালে খাবার গ্রহণ কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি কম হয়।
-
উদাহরণ: রুই মাছের জন্য ২৫–৩০°সে তাপমাত্রা অনুকূল।
গ) ঘোলাত্ব (Turbidity):
-
কাদা বা কণার কারণে পানি ঘোলা হলে সূর্যালোক কম প্রবেশ করে, যা মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
ঘ) সূর্যালোক:
-
পর্যাপ্ত সূর্যালোক থাকলে সালোকসংশ্লেষণ ভালো হয়। ফলে ফাইটোপ্লাংকটন বৃদ্ধি পায় এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
2️⃣ রাসায়নিক গুণাগুণ (Chemical Properties)
ক) দ্রবীভূত অক্সিজেন (Dissolved Oxygen, DO):
-
মাছ চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রধান উৎস: ফাইটোপ্লাংকটন ও জলজ উদ্ভিদ দ্বারা সালোকসংশ্লেষণ এবং বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি পানিতে মিশ্রিত হওয়া।
-
রাতে সালোকসংশ্লেষণ বন্ধ থাকে, তাই DO কমে যায়।
-
মাছ চাষের জন্য ন্যূনতম ৫ মিলিগ্রাম/লিটার (৫ ppm) থাকা প্রয়োজন।
খ) দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂):
-
ফাইটোপ্লাংকটনের জন্য প্রয়োজনীয়।
-
মাত্রাতিরিক্ত CO₂ মাছের জন্য ক্ষতিকর।
-
নিরাপদ মাত্রা: ১–২ ppm; ১২ ppm পর্যন্ত বিষাক্ত নয়।
গ) পিএইচ (pH):
-
মাছ চাষের জন্য পানির pH ৬.৫–৮.৫ অনুকূল।
-
pH < ৪ বা > ১১ হলে মাছ মারা যায়।
-
অম্লীয় হলে চুন (১–২ কেজি/শতক) প্রয়োগ করা হয়।
-
ক্ষারীয় হলে অ্যামোনিয়াম সালফেট বা তেঁতুল পানি মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
ঘ) ফসফরাস (Phosphorus):
-
প্রাকৃতিক পানিতে অল্প থাকে।
-
পরিমিত ফসফরাস ফসফেটে রূপান্তরিত হয়ে ফাইটোপ্লাংকনের জন্ম বৃদ্ধি করে।
উৎস: কৃষিশিক্ষা, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 week ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 week ago