তল রেখার সাথে সম্পর্কযুক্ত। রেখা কিসের সাথে সম্পর্কযুক্ত?
A
প্রস্থ
B
সমতল
C
বিন্দু
D
দৈর্ঘ্য
উত্তরের বিবরণ
প্রশ্নে বলা হয়েছে “তল রেখার সাথে সম্পর্কযুক্ত। রেখা কিসের সাথে সম্পর্কযুক্ত?”। এর উত্তর বের করতে হলে জ্যামিতির মৌলিক নিয়মগুলো জানা দরকার।
-
দুইটি তল পরস্পরকে ছেদ করলে ছেদস্থলে একটি রেখা উৎপন্ন হয়।
-
আবার, দুইটি বিন্দুর মধ্য দিয়ে একটি এবং কেবল একটি সরলরেখা আঁকা যায়।
-
তাই সম্পর্ক দাঁড়ায়: তল রেখার সাথে সম্পর্কযুক্ত, আর রেখা বিন্দুর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
0
Updated: 1 month ago
'দনুবানু' চরিত্রটি কার সৃষ্টি?
Created: 2 months ago
A
প্যারীচাঁদ মিত্র
B
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
C
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
কালীপ্রসন্ন সিংহ
হুতোম প্যাঁচার নকশা
-
‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের গোড়াপত্তনকালীন একটি গদ্য উপাখ্যান।
-
এটি ‘হুতোম প্যাঁচা’ ছদ্মনামে লেখা হয়েছে।
-
রচনাটি মূলত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক সামাজিক নকশা জাতীয়।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: দনুবানু।
কালীপ্রসন্ন সিংহ
-
বাংলা সাহিত্যে ‘হুতোমী বাংলা’ রীতির প্রবর্তক।
-
‘হুতোম প্যাঁচা’ ছদ্মনামে তিনি পরিচিত।
-
জন্মগ্রহণ করেন কলকাতার জোড়াসাকোয়া, ১৮৪০ সালে।
-
‘হুতোমী বাংলা’ ভাষা রীতি অনুসরণ করে সাহিত্য রচনা করেছেন।
উৎস:
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
‘মদনিকা’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
Created: 1 month ago
A
পদ্মাবতী
B
মেঘনাদবধ
C
কৃষ্ণকুমারী
D
শর্মিষ্ঠা
‘কৃষ্ণকুমারী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্রাজেডি হিসেবে স্বীকৃত। নাটকটির কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে উইলিয়াম টডের ‘রাজস্থান’ নামক গ্রন্থ থেকে। এটি ১৮৬০ সালে রচিত হলেও ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়। প্রায় সাত বছর পর, ১৮৬৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শোভাবাজার থিয়েটারে নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়।
এই নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ—
-
কৃষ্ণকুমারী
-
মদনিকা
-
ভীমসিংহ
-
জগৎসিংহ
-
ধনদাস প্রমুখ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'হায়! জীবন এতো ছোট ক্যানে? এই ভুবনে'- বিখ্যাত সংলাপটি কোন উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
কালিন্দী
B
কবি
C
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
D
আরগ্য নিকেতন
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যেখানে কবিত্ব, প্রেম, সমাজ ও মানবজীবনের সীমা-অসীমতার সংঘাত একসাথে রূপ পেয়েছে। এই উপন্যাসে লেখক একজন প্রান্তিক মানুষের শিল্পীসত্তা ও তার জীবনের বেদনাকে গভীর মানবিক দৃষ্টিতে উপস্থাপন করেছেন।
-
‘কবি’ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র নিতাইচরণ, এক ডোম সম্প্রদায়ের যুবক, যার অন্তর্নিহিত কবিসত্তাই উপন্যাসের মূল বিষয়।
-
গল্পটি এক নিম্নবর্ণের মানুষ কীভাবে কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ও সমাজে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়, সেই সংগ্রামকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
-
নিতাইচরণের জীবনে দুটি নারী আসে—কমলা ও কুন্তলা, যাদের মাধ্যমে প্রেম, আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের বহুমাত্রিক দিকগুলো ফুটে ওঠে।
-
উপন্যাসে শিল্পী ও সমাজের দ্বন্দ্ব, প্রেম ও দায়িত্ববোধের সংঘাত, এবং মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উপন্যাসের অন্যতম বিখ্যাত সংলাপটি—
“এই খেদ আমার মনে, ভালবেসে মিটলোনা সাধ, কুলালোনা এই জীবনে। হায়! জীবন এত ছোট কেনে? এই ভুবনে।”
—এই সংলাপ নিতাইচরণের আত্মকথন, যেখানে তাঁর অপূর্ণ ভালোবাসা ও জীবনের সীমাবদ্ধতার গভীর বোধ প্রকাশ পেয়েছে। -
তারাশঙ্কর এই উপন্যাসে সমাজের প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠকে কেন্দ্র করে মানবিকতার এক সার্বজনীন রূপ তুলে ধরেছেন।
-
ভাষা ও বর্ণনা কাব্যিক, সংলাপগুলো আবেগপূর্ণ, যা উপন্যাসটিকে বাংলা কথাসাহিত্যে এক ক্লাসিক মর্যাদায় আসীন করেছে।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্য:
-
তিনি ছিলেন একাধারে কথাসাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
-
জন্ম: ১৮৯৮ সালে, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার এক জমিদার পরিবারে।
-
তাঁর প্রথম গল্প ‘রসকলি’, যা সেকালের প্রসিদ্ধ পত্রিকা ‘কল্লোল’-এ প্রকাশিত হয়।
-
তাঁর লেখায় গ্রামীণ সমাজ, প্রান্তিক মানুষের জীবনসংগ্রাম, নৈতিক দ্বন্দ্ব ও মানবিক বোধ গভীরভাবে প্রতিফলিত।
প্রধান উপন্যাসসমূহ:
-
চৈতালি ঘূর্ণি
-
ধাত্রীদেবতা
-
কালিন্দী
-
কবি
-
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা
-
গণদেবতা
-
আরগ্য নিকেতন
-
পঞ্চপুণ্ডলী
-
রাধা
ত্রয়ী উপন্যাস:
-
ধাত্রীদেবতা
-
গণদেবতা
-
পঞ্চগ্রাম
প্রসিদ্ধ ছোটগল্প:
-
রসকলি
-
বেদেনী
-
ডাকহরকরা
‘কবি’ উপন্যাসে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়েছেন—কবিত্ব কোনো সামাজিক অবস্থানের সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং তা মানবমনের অন্তর্গত এক অনন্ত স্রোত, যা জীবন, প্রেম ও মৃত্যুর সীমা অতিক্রম করে মানুষকে অমর করে তোলে।
0
Updated: 3 weeks ago