কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে একটি Qubit একই সাথে 0 এবং 1 উভয় অবস্থায় থাকতে পারে, একে কী বলা হয়?
A
Entanglement
B
Interference
C
Superposition
D
Quantum Tunneling
উত্তরের বিবরণ
কোয়ান্টাম বিট বা কুবিট (Qubit) হলো কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর মৌলিক একক, যা ক্লাসিক্যাল বিটের তুলনায় আরও শক্তিশালী। এটি শুধু 0 বা 1 অবস্থায় নয়, বরং একই সময়ে 0 এবং 1 উভয় অবস্থায় থাকতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যকে সুপারপজিশন (Superposition) বলা হয়।
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং:
-
আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধানে একটি বিপ্লবী ধারণা।
-
কোয়ান্টাম মেকানিক্স-এর ধারণা ব্যবহার করে, যেখানে Qubit একাধিক অবস্থানে থাকতে পারে।
-
এর ফলে নির্দিষ্ট কাজগুলো খুব দ্রুত এবং দক্ষভাবে সম্পাদন করা সম্ভব।
-
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর অ্যালগরিদমগুলি সাধারণত ক্লাসিক্যাল কম্পিউটারের তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করে।
-
গুরুত্বপূর্ণ কোয়ান্টাম অ্যালগরিদমের মধ্যে Shor’s Algorithm উল্লেখযোগ্য, যা বড় সংখ্যার গুণফল বের করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
-
অন্যান্য কোয়ান্টাম ধারণা:
-
Entanglement: দুটি বা একাধিক Qubit-এর এমন সম্পর্ক যেখানে একটির অবস্থা অন্যটির ওপর নির্ভরশীল থাকে।
-
Interference: সম্ভাবনার তরঙ্গ প্রভাব ব্যবহার করে সঠিক সমাধানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা।
-
Quantum Tunneling: কোয়ান্টাম কণার শক্তি প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে অপর প্রান্তে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
-
0
Updated: 1 month ago
অসৎ উদ্দেশ্যে টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করাকে কী বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
ভিশিং
B
ফিশিং
C
ক্র্যাকিং
D
ফ্রেকিং
অসৎ উদ্দেশ্যে টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমে হস্তক্ষেপ
ফ্রেকিং (Phreaking)
অসৎ উদ্দেশ্যে টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করাকে ফ্রেকিং (Phreaking) বলা হয়।
এটি একটি অবৈধ কার্যক্রম যেখানে কেউ টেলিফোন বা অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করে, কল নিয়ন্ত্রণ করে বা তথ্য চুরি করে।
মূলত টেলিফোন লাইনের সিগন্যালিং সিস্টেমে হাত দিতে বা নিয়ন্ত্রণ নিতে করা হয়।
ফ্রেকাররা বিনা খরচে কল করা, নেটওয়ার্কের দুর্বলতা ব্যবহার করা বা ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এটি করে।
এটি আইনের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ এবং টেলিকমিউনিকেশন নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
আধুনিক ডিজিটাল যুগে ফ্রেকিং শুধু ফোনেই নয়, ইন্টারনেট-ভিত্তিক সিস্টেমেও ঘটতে পারে।
সঠিক উত্তর: ঘ) ফ্রেকিং
বিভিন্ন ধরণের সাইবার অপরাধ
ফ্রেকিং (Phreaking):
টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম হ্যাক করে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া।
হ্যাকিং (Hacking):
কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা ডেটায় অননুমোদিত প্রবেশ। এ কাজে যুক্ত ব্যক্তিকে হ্যাকার বলে।
ফিশিং (Phishing):
নকল ওয়েবসাইট বা ই-মেইল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া।
ভিশিং (Vishing):
ফোন বা ভয়েস কলের মাধ্যমে ফিশিং করা; একে ভয়েস ফিশিং-ও বলা হয়।
স্প্যামিং (Spamming):
অবাঞ্ছিত ই-মেইল বা মেসেজ পাঠানো। এ কাজ যারা করে তারা স্প্যামার।
স্পুফিং (Spoofing):
ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নেটওয়ার্ক বিভ্রান্ত করে নিরাপত্তা ভেদ করা।
স্নিকিং (Sneaking):
গোপনে ব্যবহারকারীর সিস্টেমে প্রবেশ করে তার তথ্য চুরি করা।
প্লেজিয়ারিজম (Plagiarism):
অন্যের লেখা, গবেষণা বা সাহিত্য চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করা।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
0
Updated: 2 months ago
কোনটি কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় কোনো ভূমিকা রাখে না?
Created: 1 month ago
A
Size of Register
B
Size of Cache Memory
C
Size of RAM
D
Size of ROM
কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় বিভিন্ন হার্ডওয়্যার উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
রেজিস্টার (Register):
-
মাইক্রোপ্রসেসরের অস্থায়ী মেমরি হিসেবে কাজ করে।
-
তৈরি হয় ফ্লিপ-ফ্লপের মাধ্যমে এবং অত্যন্ত দ্রুত কাজ করতে সক্ষম।
-
প্রসেসর হিসাব-নিকাশের সময় ডেটা সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory):
-
RAM ও CPU-এর মধ্যে অবস্থান করে।
-
বারংবার ব্যবহৃত ডেটা RAM থেকে ক্যাশে রাখা হয়, ফলে প্রসেসিং সময় কমে যায়।
-
দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে এবং কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি করে।
-
-
র্যাম (RAM - Random Access Memory):
-
মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত অস্থায়ী মেমোরি।
-
পড়া ও লেখা উভয় কাজ করতে পারে।
-
বিদ্যুৎ চলে গেলে RAM-এর সমস্ত তথ্য মুছে যায়।
-
একই সময়ে কত ডেটা বা প্রোগ্রাম চালানো যাবে তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
রোম (ROM - Read Only Memory):
-
স্থায়ী স্টোরেজ যা ফার্মওয়্যার বা প্রাথমিক প্রোগ্রাম ধারণ করে।
-
বিদ্যুৎ চলে গেলেও তথ্য মুছে যায় না।
-
সরাসরি সিস্টেমের কর্মক্ষমতায় প্রভাব ফেলে না।
-
সারসংক্ষেপ: রেজিস্টার, ক্যাশ মেমোরি ও RAM সরাসরি কম্পিউটার সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কিন্তু ROM-এর আকার কর্মক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত নয়।
0
Updated: 1 month ago
Windows-এ Alt + F4 চাপলে কি হবে?
Created: 1 month ago
A
একটি ফাইলের নাম পরিবর্তন করবে
B
পৃষ্ঠা রিফ্রেশ করবে
C
একটি নতুন উইন্ডো খুলবে
D
বর্তমান উইন্ডো বন্ধ করবে
Windows এবং কিবোর্ডের ফাংশন কী সম্পর্কিত তথ্য
-
Alt + F4:
-
বর্তমান চালু থাকা উইন্ডো বা অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে।
-
উদাহরণ: কোনো ব্রাউজার খোলা থাকলে Alt + F4 চাপলে সেই ব্রাউজার বন্ধ হয়ে যাবে।
-
ডেস্কটপে কোনো অ্যাপ্লিকেশন খোলা না থাকলে Alt + F4 চাপলে Windows শাটডাউন বা রিস্টার্টের অপশন দেখায়।
-
এটি ফাইলের নাম পরিবর্তন, পৃষ্ঠা রিফ্রেশ বা নতুন উইন্ডো খোলার জন্য ব্যবহার হয় না।
-
সঠিক উত্তর: ঘ) বর্তমান উইন্ডো বন্ধ করবে
-
কিবোর্ডের ফাংশন কী (F1–F12) এবং কাজ
| কী | কাজ |
|---|---|
| F1 | সাধারণত Help মেনু খুলে। |
| F2 | নির্বাচিত ফাইল বা ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন (Rename)। |
| F3 | দ্রুত সার্চ বা খোঁজার অপশন চালু করে। |
| F4 | Alt + F4 চাপলে বর্তমান উইন্ডো বন্ধ হয়। |
| F5 | ব্রাউজারে বা ডেস্কটপে Refresh করার জন্য। |
| F6 | ব্রাউজারে Address bar সিলেক্ট করে। |
| F7 | Microsoft Word-এ Spelling ও Grammar Check চালু করে। |
| F8 | Windows চালুর সময় Safe Mode চালু করতে। |
| F9 | QuarkXPress-এর মেজারমেন্ট টুলবার চালু করতে। |
| F10 | মেনু বার চালু করে। |
| F11 | ফুলস্ক্রিন মোড চালু বা বন্ধ করতে। |
| F12 | ইংরেজি থেকে বাংলা বা বাংলা থেকে ইংরেজি রূপান্তর করতে। |
-
মোট কিবোর্ড কী: 105টি
-
ফাংশন কী: 12টি (F1 থেকে F12 পর্যন্ত)
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago