কোন নেটওয়ার্ক মডেলে সব কম্পিউটার সমান ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একে অপরের সাথে সরাসরি রিসোর্স শেয়ার করে?
A
Client-Server Network
B
Peer-to-Peer Network
C
Hybrid Network
D
Metropolitan Area Network
উত্তরের বিবরণ
Peer-to-Peer (P2P) Network হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যেখানে প্রতিটি কম্পিউটার (Peer) সমান ক্ষমতাসম্পন্ন থাকে এবং অন্যদের সাথে সরাসরি ফাইল, প্রিন্টার বা অন্যান্য রিসোর্স শেয়ার করতে পারে। এখানে কোনো কেন্দ্রীয় সার্ভারের প্রয়োজন হয় না।
-
কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রধান ধরন:
১. ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network)
২. পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer-to-Peer Network)
৩. হাইব্রিড নেটওয়ার্ক (Hybrid Network) -
ক্লায়েন্ট সার্ভার নেটওয়ার্ক:
-
কেন্দ্রীয়ভাবে ডেটা স্টোর, নিরাপত্তা এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনার জন্য উপযোগী।
-
একটি কম্পিউটারে সকল রিসোর্স থাকে এবং অন্যান্য কম্পিউটারগুলো সেগুলো ব্যবহার করে।
-
-
পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক:
-
প্রতিটি কম্পিউটার রিসোর্স শেয়ার করতে পারে।
-
প্রতিটি কম্পিউটার একই সাথে সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট হিসেবে কাজ করে।
-
-
হাইব্রিড নেটওয়ার্ক:
-
ক্লায়েন্ট সার্ভার এবং পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত।
-
সার্ভার অংশের প্রাধান্য থাকে, তবে অল্প পরিসরে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের অংশও থাকে।
-
0
Updated: 1 month ago
দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ককে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
অ্যানালগ সেলুলার নেটওয়ার্ক
B
ডিজিটাল সেলুলার নেটওয়ার্ক
C
অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক
D
স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক
দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ককে ডিজিটাল সেলুলার নেটওয়ার্ক বলা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৯০-২০০০)
- ১৯৯০ সালে ইউরোপে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়।
- ট্রান্সমিশন কোয়ালিটি, সিস্টেম ক্যাপাসিটি এবং বিশাল এলাকা জুড়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেম চালু করা হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
- ১৯৯০ সালে GSM এবং CDMA স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে দ্বিতীয় প্রজন্মের (2G) মোবাইল সিস্টেমের যাত্রা শুরু হয়।
- এতে ডিজিটাল ট্রান্সমিশন সিস্টেমের ব্যবহার চালু হয় এবং ভয়েস ও ডেটা প্রেরণ সম্ভব হয়।
- দ্বিতীয় প্রজন্মকে ডিজিটাল সেলুলার নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে।
- দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইলে প্রিপেইড পদ্ধতি, এসএমএস, এমএমএস, টেক্সট মেসেজিং ব্যবস্থা সেবা চাল হয়।
- ভয়েস প্রেরণের সুবিধা চালু হয়।
- মোবাইল ফোনে পেমেন্ট সিস্টেমের প্রবর্তন হয়।
- আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা এবং মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার সুবিধা চালু হয়।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
0
Updated: 1 month ago
Which type of waves does Wi-Fi technology primarily use to transfer data?
Created: 1 month ago
A
Laser waves
B
Radio waves
C
Microwave
D
Ultrasonic waves
ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি মূলত রেডিও ওয়েভ তরঙ্গ ব্যবহার করে ডেটা স্থানান্তর করে।
ওয়াই-ফাই (Wi-Fi)
- ওয়াই-ফাই হলো একটি নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি যা রেডিও ওয়েভ ব্যবহার করে স্বল্প দূরত্বে উচ্চ-গতির ডেটা স্থানান্তর করতে পারে।
- এটি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং গেমিং কনসোলের মতো ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়।
- যে স্থানে ওয়াই-ফাই এর অ্যাক্সেস পাওয়া যায়, সেগুলোকে "হটস্পট" বলা হয়।
- ১৯৮৫ সালে ইউ.এস. ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন রেডিও স্পেকট্রামের কিছু ব্যান্ড (৯০০ MHz, ২.৪ GHz, ৫.৮ GHz) লাইসেন্সবিহীন ব্যবহার করতে অনুমোদন দেয়।
- ১৯৯৭ সালে IEEE ৮০২.১১ স্ট্যান্ডার্ড অনুমোদিত হয়।
- ওয়্যারলেস ইথারনেট কম্প্যাটিবিলিটি অ্যালায়েন্স (WECA) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং Wi-Fi নামে পরিচিতি লাভ করে।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন নেটওয়ার্কটি সবচেয়ে বেশি জায়গা ব্যাপ্তি হয়?
Created: 2 weeks ago
A
LAN
B
WAN
C
MAN
D
PAN
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হলো এমন একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পিউটার ও ডিভাইস একে অপরের সঙ্গে তথ্য ও সম্পদ বিনিময় করতে পারে। নেটওয়ার্ক সাধারণত এর ভৌগোলিক বিস্তৃতি ও কাভারেজ এলাকা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকারে ভাগ করা হয়— যেমন PAN, LAN, MAN ও WAN। এর মধ্যে WAN (Wide Area Network) সবচেয়ে বড় পরিসরের নেটওয়ার্ক, যার পরিধি পুরো দেশ থেকে শুরু করে সারা বিশ্ব পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
WAN (Wide Area Network):
-
WAN এর পূর্ণরূপ হলো Wide Area Network।
-
এটি একাধিক LAN (Local Area Network) ও MAN (Metropolitan Area Network)-এর সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল নেটওয়ার্ক।
-
WAN-এর বিস্তৃতি ভৌগোলিকভাবে অনেক বড় এলাকা জুড়ে হতে পারে — যেমন একটি দেশ, মহাদেশ এমনকি পুরো পৃথিবীও এর আওতায় আসতে পারে।
-
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় WAN হলো ইন্টারনেট, যা বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি কম্পিউটার ও ডিভাইসকে সংযুক্ত করেছে।
-
WAN-এর মাধ্যমে মানুষ ই-মেইল আদান-প্রদান, ওয়েবসাইট ব্রাউজিং, ফাইল ডাউনলোড, অনলাইন কেনাকাটা, ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করতে পারে।
-
এটি সাধারণত স্যাটেলাইট লিংক, ফাইবার অপটিক কেবল, মাইক্রোওয়েভ ও টেলিফোন লাইন ব্যবহার করে সংযোগ স্থাপন করে।
LAN (Local Area Network):
-
LAN-এর পূর্ণরূপ হলো Local Area Network।
-
এটি সীমিত এলাকা যেমন একটি অফিস, প্রতিষ্ঠান বা ভবনের মধ্যে ১ কিলোমিটার বা তার কম দূরত্বের কম্পিউটার ও ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করে।
-
LAN নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রিন্টার, ফাইল, ডেটা এবং ইন্টারনেট সংযোগ একাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে নেওয়া যায়।
PAN (Personal Area Network):
-
PAN-এর পূর্ণরূপ হলো Personal Area Network।
-
এটি কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, স্মার্টওয়াচ, ব্লুটুথ হেডসেট ইত্যাদির মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
-
এর বিস্তৃতি সাধারণত কয়েক মিটার পর্যন্ত, অর্থাৎ এটি একেবারেই ব্যক্তিগত সীমার মধ্যে থাকে।
-
PAN-এর মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বে ডেটা স্থানান্তর ও ওয়্যারলেস সংযোগ বজায় রাখা যায়।
MAN (Metropolitan Area Network):
-
MAN-এর পূর্ণরূপ হলো Metropolitan Area Network।
-
এটি একটি শহরের মধ্যে অবস্থিত একাধিক LAN নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে গঠিত হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, কোনো শহরের বিভিন্ন অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি প্রতিষ্ঠান একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য MAN নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
-
এই নেটওয়ার্কে টেলিফোন লাইন, মডেম, ফাইবার অপটিক বা মাইক্রোওয়েভ লিংক ব্যবহার করা হয়।
সব মিলিয়ে, WAN নেটওয়ার্কই সবচেয়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, যা ভৌগোলিক সীমা ছাড়িয়ে পুরো পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। এর মাধ্যমেই আজকের আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা এবং বৈশ্বিক তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে উঠেছে।
0
Updated: 2 weeks ago