রিলেশনাল ডাটাবেজে Primary Key-এর সঠিক বৈশিষ্ট্য কোনটি?
A
Primary Key-তে একাধিক রেকর্ডের একই মান থাকতে পারে
B
Primary Key ডাটাবেজের প্রতিটি টেবিলে একই হতে হবে
C
Primary Key প্রতিটি রেকর্ডকে আলাদাভাবে শনাক্ত করে
D
Primary Key-তে NULL ভ্যালু সংরক্ষণ করা যায়
উত্তরের বিবরণ
প্রাইমারি কী হলো একটি টেবিলের এমন ফিল্ড বা অ্যাট্রিবিউট যা প্রতিটি রেকর্ডকে অনন্যভাবে সনাক্ত করে। এটি রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (RDBMS) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS): রিলেশন করা ডাটা টেবিলের সমন্বয়ে গঠিত ডাটাবেজকে রিলেশনাল ডাটাবেজ বলা হয়। আধুনিক ডাটাবেজ সফটওয়্যার সাধারণত রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকেই বোঝায়।
-
কী (Key): কোন একটি ফিল্ডের ওপর ভিত্তি করে রেকর্ড সনাক্তকরণ, অনুসন্ধান ও সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। এই ফিল্ডকে কী ফিল্ড বলা হয়।
-
কী-এর ধরন:
১. প্রাইমারি কী (Primary Key)
২. কম্পোজিট প্রাইমারি কী (Composite Primary Key)
৩. ফরেন কী (Foreign Key) -
প্রাইমারি কী:
-
যে ফিল্ড একটি রেকর্ডকে অদ্বিতীয়ভাবে সনাক্ত করে।
-
প্রতিটি টেবিলে অন্তত একটি ফিল্ড থাকে যেখানে ডাটাগুলো অনন্য হয়।
-
উদাহরণ: একটি শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর, যা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ভিন্ন।
-
-
প্রাইমারি কী-এর বৈশিষ্ট্য:
-
ডুপ্লিকেট মান থাকতে পারে না, প্রতিটি রেকর্ডকে আলাদাভাবে সনাক্ত করতে এটি অবশ্যই Unique হতে হবে।
-
প্রতিটি টেবিলে আলাদা প্রাইমারি কী থাকতে পারে এবং সেগুলো ভিন্ন হতে পারে।
-
কখনো NULL হতে পারে না, কারণ এটি প্রতিটি রেকর্ডকে সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
-
-
কম্পোজিট প্রাইমারি কী:
-
যখন একটি টেবিলে নির্দিষ্ট কোনো প্রাইমারি কী থাকে না, তখন একাধিক ফিল্ড একত্রে প্রাইমারি কী হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
-
এ ধরনের কীকে কম্পোজিট প্রাইমারি কী বলা হয়।
-
-
ফরেন কী:
-
দুই বা ততোধিক টেবিলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
-
কোন একটি টেবিলের প্রাইমারি কী যদি অন্য টেবিলে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটিকে ফরেন কী বলা হয়।
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ‘Phishing Attack’-এর সঠিক উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
ভুয়া ই-মেইল বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা
B
ভুয়া পরিচয়ে অন্যের কম্পিউটারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া
C
নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের সময় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া
D
ব্যবহারকারীকে আসল ওয়েবসাইটের পরিবর্তে ভুয়া ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো
ফিশিং হলো একটি সাইবার প্রতারণার কৌশল, যেখানে হ্যাকাররা ভুয়া ইমেইল, মেসেজ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার চেষ্টা করে।
-
ফিশিং (Phishing): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কারো কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, পাসওয়ার্ড, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি সংগ্রহ করা।
-
সাধারণত ই-মেইল বা মেসেজের মাধ্যমে ফিশিং করা হয়। হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ওয়েবসাইটে তথ্য যাচাই বা ভেরিফিকেশন চায়।
-
যদি কেউ এ ফাঁদে পা দেয়, তবে হ্যাকাররা তথ্য সংগ্রহ করে তাকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার বিপদে ফেলে দিতে পারে।
-
অন্যান্য সম্পর্কিত সাইবার হুমকি:
-
স্পুফিং (Spoofing): অপরাধীরা নিজের পরিচয় গোপন করে অন্যের পরিচয় বা ভুয়া ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য চুরি করে।
-
স্নিফিং (Sniffing): কমিউনিকেশন লাইনের মধ্য দিয়ে তথ্য আদান-প্রদানের সময় তথ্য ক্যাপচার বা চুরি করার পদ্ধতি।
-
ফার্মিং (Pharming): ব্যবহারকারীকে তার কাঙ্খিত ওয়েবসাইটের পরিবর্তে অন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো বা নিয়ে যাওয়ার কৌশল।
-
0
Updated: 1 month ago
কোনটি গুগলের সেবা নয়?
Created: 3 weeks ago
A
Gmail
B
Drive
C
Word
D
Chrome
গুগল বিভিন্ন অনলাইন সেবা প্রদান করে, যেমন Gmail (ইমেইল প্রেরণ ও গ্রহণ), Google Drive (ফাইল সংরক্ষণ ও শেয়ারিং), এবং Chrome (ওয়েব ব্রাউজার)। এই সেবাগুলো গুগলের নিজস্ব পণ্য হলেও Word হলো Microsoft কর্তৃক নির্মিত একটি সফটওয়্যার, যা Microsoft Office প্যাকেজের অংশ। এটি মূলত ডকুমেন্ট বা লেখার কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং গুগলের কোনো সেবা নয়। তাই প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে গুগলের সেবা নয় — Word।
• Gmail: গুগলের ইমেইল সেবা, যা ব্যবহারকারীদের অনলাইনে মেইল প্রেরণ ও গ্রহণের সুবিধা দেয়।
• Google Drive: অনলাইন স্টোরেজ সেবা, যেখানে ফাইল সংরক্ষণ, শেয়ার এবং একসাথে কাজ করার সুবিধা পাওয়া যায়।
• Google Chrome: গুগলের তৈরি একটি দ্রুত ও নিরাপদ ওয়েব ব্রাউজার, যা বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
• Microsoft Word: এটি মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার, যা ডকুমেন্ট লেখা, সম্পাদনা এবং ফরম্যাটিং-এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
গুগল সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
• প্রতিষ্ঠাতা: ল্যারি পেইজ এবং সার্জে ব্রেইন
• প্রতিষ্ঠার বছর: ১৯৯৮
• বর্তমান CEO: সুন্দর পিচাই (তথ্য - আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত)
• শব্দের উৎপত্তি: “Google” শব্দটি এসেছে “Googol” থেকে, যা একটি বড় সংখ্যাকে (1 এর পরে 100টি শূন্য) নির্দেশ করে।
• কর্পোরেট সদরদপ্তর: গুগলপ্লেক্স, মাউন্টেইন ভিউ, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
• গুগল ও আলফাবেট ইনকর্পোরেটেড একে অপরের সাথে সম্পর্কিত; Alphabet হলো Google-এর মূল কোম্পানি।
গুগলের জনপ্রিয় সেবাসমূহ:
• Google Maps – মানচিত্র ও নেভিগেশন সেবা
• Google Workspace – অফিস টুলস প্যাকেজ (Docs, Sheets, Slides ইত্যাদি)
• Android – মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম
• Google Assistant – ভয়েস-ভিত্তিক AI সহকারী
• YouTube – ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম
• Google Photos – ছবি সংরক্ষণ ও শেয়ারিং সেবা
• Google Meet – ভিডিও কনফারেন্সিং সেবা
• Google Keep – নোট নেওয়ার অ্যাপ
• Google AdSense – অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবা
• Google Nest, Chromebook প্রভৃতি হার্ডওয়্যার ও স্মার্ট হোম পণ্য
Microsoft Word এর বিপরীতে, গুগলের সমজাতীয় সেবা হলো Google Docs, যা অনলাইনে ডকুমেন্ট তৈরি, সম্পাদনা ও শেয়ার করার সুযোগ দেয়।
0
Updated: 3 weeks ago
ইমেইল ক্লায়েন্টে মেইল সার্ভার থেকে ইমেইল গ্রহণ করতে কোন প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
SMTP
B
HTTP
C
POP3
D
SFTP
POP3, SMTP, HTTP এবং SFTP বিভিন্ন প্রোটোকল যা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ইমেইল ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়। POP3 বিশেষভাবে ইমেইল গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ই-মেইল (E-mail):
-
১৯৭১ সালে আরপানেটের মাধ্যমে প্রথম ইমেইল সিস্টেম চালু করেন রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিসন।
-
ই-মেইল হলো একজন প্রেরকের কাছ থেকে এক বা একাধিক প্রাপকের কাছে বার্তা বা ডিজিটাল মেসেজ পাঠানোর নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
-
ই-মেইল ঠিকানায় @ চিহ্ন থাকা আবশ্যক।
-
একটি ই-মেইল ঠিকানা ইউজার আইডি এবং ডোমেইন নেম নিয়ে গঠিত। যেমন: abc@gmail.com, এখানে @-এর পূর্বে ইউজার আইডি এবং @-এর পরে ডোমেইন নেম।
-
ই-মেইল সার্ভারে POP, IMAP এবং SMTP প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।
POP (Post Office Protocol):
-
ব্যবহারকারীর কাছে আসা মেইলগুলোকে ইনকামিং মেইল বলা হয়।
-
POP ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর মেইল ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়।
-
সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রোটোকল হলো POP3, যা সার্ভার থেকে ইমেইল ডিভাইসে ডাউনলোড করে এবং সাধারণত ডাউনলোডের পরে সার্ভার থেকে মুছে ফেলে।
-
সুবিধা: একবার ডাউনলোড করা ইমেইল অফলাইনেও পড়া যায়।
SMTP (Simple Mail Transfer Protocol):
-
ইমেইল প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোটোকল।
-
এটি মেইল সার্ভার থেকে অন্য সার্ভারে বা ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে ইমেইল পাঠায়।
HTTP (HyperText Transfer Protocol):
-
ওয়েব ব্রাউজারে ওয়েব পেজ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
ওয়েব সার্ভার থেকে ডেটা (যেমন HTML, ছবি, ভিডিও) পুনরুদ্ধার করতে HTTP ব্যবহৃত হয়।
SFTP (SSH File Transfer Protocol):
-
নিরাপদ ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল।
-
SSH (Secure Shell) প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
-
ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়, ইমেইলের জন্য নয়।
0
Updated: 1 month ago