নিচের কোনটি ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়?
A
Microsoft
B
Intel
C
D
Amazon
উত্তরের বিবরণ
ইনটেল মূলত একটি হার্ডওয়্যার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যা প্রসেসর ও চিপ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এটি সরাসরি ক্লাউড সার্ভিস প্রদান করে না।
-
ইনটেল কর্পোরেশন (Intel Corporation): একটি মার্কিন বৈশ্বিক প্রযুক্তি কোম্পানি।
-
বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেমিকন্ডাক্টর চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান।
-
এক্স৮৬ মাইক্রোপ্রসেসর সিরিজ এর প্রস্তুতকারক, যা অধিকাংশ ব্যক্তিগত কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।
-
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তির অগ্রগামী রবার্ট নয়েস, গর্ডন মুর এবং এন্ড্রু শুভ।
-
কোম্পানির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা ক্লারাতে অবস্থিত।
-
মাইক্রোসফট: Azure প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ক্লাউড সার্ভিস প্রদান করে।
-
গুগল: Google Cloud Platform (GCP) একটি শীর্ষস্থানীয় ক্লাউড সেবা।
-
অ্যামাজন: Amazon Web Services (AWS) বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বহুল ব্যবহৃত ক্লাউড সার্ভিস।
0
Updated: 1 month ago
ক্লাউড কম্পিউটিং-এ কোন মডেলে একাধিক সংস্থা একটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ার করে?
Created: 1 month ago
A
হাইব্রিড ক্লাউড
B
কমিউনিটি ক্লাউড
C
ডিস্ট্রিবিউটেড ক্লাউড
D
প্রাইভেট ক্লাউড
ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ মূলত ক্লাউড ব্যবহারকারী এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud):
-
এটি এমন ক্লাউড যা সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত। যে টাকা দেবে, সেই সার্ভিস পাবে।
-
উদাহরণ: Amazon EC2।
-
সুবিধা: যে কেউ এর সেবা নিতে পারে।
প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud):
-
বড় কোনো সংস্থা নিজেদের অভ্যন্তরীণ পরিষেবা দেওয়ার জন্য ক্লাউড সিস্টেম ডেভেলপ করলে তাকে প্রাইভেট ক্লাউড বলা হয়।
-
এটি সাধারণত সংস্থার অভ্যন্তরীণভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হয়।
-
এতে খরচ বেশি হয়, নিজস্ব ডেটা সেন্টার বসাতে হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজস্ব জনবল রাখতে হয়।
হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud):
-
পাবলিক এবং প্রাইভেট ক্লাউডের সংমিশ্রণ।
-
প্রাইভেট ক্লাউড দিয়ে প্রাথমিক চাহিদা মেটানো হয়, আর প্রাইভেট ক্লাউডের ধারণক্ষমতা অতিক্রান্ত হলে পাবলিক ক্লাউডের সাহায্য নেওয়া হয়।
-
খরচ পাবলিক ক্লাউডের তুলনায় বেশি।
কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud):
-
কোনো বিশেষ কমিউনিটির জন্য ডেভেলপ করা ক্লাউড।
-
সুবিধা: কমিউনিটির মধ্যে ইউজার সীমাবদ্ধ থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত।
-
অসুবিধা: ক্লায়েন্টের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় খরচ বেশি।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবার অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
Google Docs
B
EC2
C
Azure
D
Dropbox
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো কম্পিউটার রিসোর্স (যেমন: হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস) ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা বা সার্ভিস প্রদান করা। এটি ২০০৬ সালে আমাজন ওয়েব সার্ভিসের (AWS) মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সেবা ভাগ:
-
IaaS (Infrastructure as a Service)
-
এটি অবকাঠামোগত সেবা।
-
ক্লাউড প্রদানকারী নেটওয়ার্ক, CPU, স্টোরেজ ইত্যাদি সরবরাহ করে।
-
ব্যবহারকারী নিজে OS এবং সফটওয়্যার ইনস্টল ও চালাতে পারেন।
-
উদাহরণ: Amazon EC2, Google Cloud Storage, Rackspace।
-
-
PaaS (Platform as a Service)
-
এটি প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা।
-
ডেভেলপাররা নিজের অ্যাপ তৈরি ও চালাতে পারেন, কিন্তু সার্ভার বা OS পরিচালনা করতে হয় না।
-
ক্লাউড প্রদানকারী হার্ডওয়্যার, OS, ডেটাবেস, ওয়েব সার্ভার ইত্যাদি সরবরাহ করে।
-
উদাহরণ: Google App Engine, Microsoft Azure App Services, Heroku, Salesforce Platform।
-
-
SaaS (Software as a Service)
-
এটি একটি সম্পূর্ণ সফটওয়্যার সেবা।
-
ব্যবহারকারী সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, আলাদা ইনস্টলেশন প্রয়োজন হয় না।
-
উদাহরণ: Google Docs, Microsoft 365, Lotus, Yahoo! Mail, Zoho।
-
Microsoft Azure
-
Azure মূলত PaaS এবং IaaS উভয়ই প্রদান করে, তবে এটি একটি প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী, ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানের জন্য কোন প্রযুক্তিটি Distributed Computing এর একটি দৃষ্টান্ত?
Created: 2 weeks ago
A
Remote Sensing
B
Cloud Computing
C
Remote Invocation
D
Private Computing
ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) হলো এমন একটি আধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি, যেখানে ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহার করে তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীকে নিজস্ব কম্পিউটার বা সার্ভারে ডেটা সংরক্ষণের পরিবর্তে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন সার্ভার ব্যবহার করে কাজ করার সুযোগ দেয় এই প্রযুক্তি। এটি বর্তমানে ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং (Distributed Computing)-এর অন্যতম বাস্তব উদাহরণ।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সংজ্ঞা (NIST অনুযায়ী):
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (NIST) অনুসারে, ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি মডেল যা ব্যবহারকারীকে তার প্রয়োজনীয় তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে সংরক্ষণ ও পরিচালনার সুযোগ দেয়। এতে তিনটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:
১. Resource Flexibility/Scalability (যত চাহিদা, তত সেবা):
-
গ্রাহক বা ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা নিতে পারে এবং প্রয়োজন বাড়লে বা কমলে সেটি সহজেই পরিবর্তন করা যায়।
-
ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভার ক্ষমতা, স্টোরেজ বা ব্যান্ডউইথ বাড়াতে বা কমাতে পারে।
-
ফলে এটি অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক (Flexible) ও স্কেলেবল (Scalable) একটি সেবা ব্যবস্থা।
২. On Demand Service (যখন চাহিদা, তখন সেবা):
-
ব্যবহারকারী যখনই সেবা প্রয়োজন মনে করবে, তখনই সেটি ব্যবহার করতে পারবে।
-
কোনো নির্দিষ্ট সময় বা স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে এটি ২৪/৭ অনলাইন সেবা প্রদান করে।
-
ব্যবহারকারী চাইলে সহজেই তার সার্ভিসের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারে।
৩. Pay as You Go (যখন ব্যবহার, তখন মূল্যশোধ):
-
ক্লাউড কম্পিউটিং-এ আগাম কোনো রিজার্ভেশন বা স্থায়ী বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।
-
গ্রাহক শুধুমাত্র যতটুকু সেবা ব্যবহার করবে, ততটুকুর জন্যই মূল্য প্রদান (Payment) করবে।
-
এই মডেলটি ঠিক ইউটিলিটি বিলের মতো—যেমন বিদ্যুৎ বা পানির বিল ব্যবহার অনুযায়ী প্রদান করা হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:
-
ডেটা স্টোরেজ ও ব্যাকআপ সহজে করা যায়, কারণ সমস্ত তথ্য অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।
-
অ্যাক্সেসিবিলিটি: ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ডেটা অ্যাক্সেস করা সম্ভব।
-
রিসোর্স শেয়ারিং: একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে একটি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে।
-
খরচ সাশ্রয়ী: হার্ডওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমে যায়।
-
অটো আপডেট ও সিকিউরিটি ফিচার: ক্লাউড সেবাদাতারা নিয়মিত সিস্টেম আপডেট ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর উদাহরণ:
-
Google Drive, Dropbox, Microsoft OneDrive, Amazon Web Services (AWS), iCloud, Google Cloud Platform ইত্যাদি জনপ্রিয় ক্লাউড সেবা।
সব মিলিয়ে, ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী অন-ডিমান্ড সার্ভিস, স্কেলেবল রিসোর্স ও ব্যবহারভিত্তিক বিলিং ব্যবস্থা প্রদান করে। এটি বর্তমান বিশ্বের ডিস্ট্রিবিউটেড ও ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং মডেল-এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
0
Updated: 2 weeks ago