A
দার্জিলিং
B
কোলকাতা
C
নয়াদিল্লি
D
ঢাকা
উত্তরের বিবরণ
গঙ্গা নদী ভারতের উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাজ্য—উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ—পেরিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর এই নদী পদ্মা নামে পরিচিত। শেষমেশ, এটি গোয়ালন্দের কাছাকাছি এসে ব্রহ্মপুত্র নদীর সঙ্গে মিলিত হয়।
গঙ্গার পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ভারত ১৯৫১ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এর বাস্তব নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৬১ সালে এবং প্রাথমিক কাঠামো ১৯৭০ সালের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে কার্যকর ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে এর সম্পূর্ণ নির্মাণ শেষ হয় ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বর মাসে।
অবশেষে, ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়। মূলত কলকাতা বন্দরের সচলতা নিশ্চিত করতে এবং হুগলী নদীতে পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ বজায় রাখতে এই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল।
কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর বাংলাদেশে গঙ্গার পানি প্রবাহ কমে যেতে শুরু করে, যা পরিবেশ ও কৃষি ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র—বাংলাদেশ ও ভারত—
১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গঙ্গার পানি ভাগাভাগি করার নীতিতে একমত হয়। চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা

0
Updated: 3 weeks ago
দক্ষিণ এশীয়ার রাষ্ট্রগুলো কবে সাপটা চুক্তি সই করে?
Created: 3 weeks ago
A
১৯৭৬ সালে
B
১৯৮৫ সালে
C
১৯৯৩ সালে
D
১৯৯৪ সালে
দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রায় SAPTA ও SAFTA
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য সহযোগিতার প্রসারে দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির নাম হলো SAPTA এবং SAFTA। এই দুটি উদ্যোগ SAARC সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও গতিশীল করে তুলেছে।
SAPTA বা "সার্ক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি" গৃহীত হয় সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সমতা, সহযোগিতা এবং অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা বিনিময়ের লক্ষ্যে।
-
চুক্তিটির নীতিগত সম্মতি আসে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সার্ক সম্মেলনে।
-
আনুষ্ঠানিকভাবে এপ্রিল ১৯৯৩ সালে ঢাকায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
-
পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে SAPTA কার্যকর হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্যের একটি নতুন দিগন্তের সূচনা করে।
SAFTA বা "সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া" হলো একটি বিস্তৃত বাণিজ্য চুক্তি যা SAPTA-র ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় মুক্ত বাণিজ্য গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রণীত।
-
এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ৬ জানুয়ারি ২০০৪, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সার্ক সম্মেলনে।
-
SAFTA কার্যকর হয় ১ জানুয়ারি ২০০৬।
-
এতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো:
আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা – মোট ৮টি রাষ্ট্র।
এই চুক্তিগুলো দক্ষিণ এশিয়ায় আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য জোরদার করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি বৃহৎ ভিত্তি তৈরি করেছে।
উৎস: SAARC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 weeks ago
মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কখন আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৫০ সালে
B
১৯৫৫ সালে
C
১৯৬৫ সালে
D
১৯৬৬ সালে
মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মানবাধিকার চুক্তি:
-মানবাধিকার হলো যাত্রী লিঙ্গ জাতীয়তা গোষ্ঠী ভাষা ধর্ম অন্যান্য কোন অবস্থা নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের অন্তর্নিহিত অধিকার।
- বিশ্বের প্রতিটি মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি পেশার এবং প্রতিটি মানুষ যেন সমান অধিকার পায় সেই লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে দুইটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
- আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক অর্থ সামাজিক সাংস্কৃতিক অধিকার চুক্তি।
- আন্তর্জাতিক চুক্তি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত।
- চুক্তি কার্যকর: ১৯৭৬ সালের ২৩শে।
উল্লেখ্য,
- ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর এবং সমান অধিকার সততা রক্ষায় একটি চুক্তি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয় যা মানবাধিকার চুক্তি নামে পরিচিত।
উৎস: UN ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
তাসখন্দ চুক্তি কখন স্বাক্ষরিত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর
B
১৯৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর
C
১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি
D
১৯৬৭ সালের ৩০ জানুয়ারি
তাসখন্দ চুক্তি (১৯৬৬)
-
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ সমাপ্তির পথ তৈরি করে তাসখন্দ চুক্তি।
-
চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় ১০ জানুয়ারি ১৯৬৬ সালে।
-
এই চুক্তির পক্ষ ছিল ভারত ও পাকিস্তান।
-
ভারতের হয়ে স্বাক্ষর করেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, এবং পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান।
-
মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী নিকলাই কোসিগিন।
-
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীর সমস্যার কারণে উদ্ভূত যুদ্ধ বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: Britannica

0
Updated: 2 months ago