পরমাণুর কেন্দ্রে কোন কণিকাগুলো থাকে?
A
প্রোটন ও নিউট্রন
B
ইলেকট্রন ও প্রোটন
C
ইলেকট্রন ও নিউট্রন
D
ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন
উত্তরের বিবরণ
মৌলিক কণিকা
যে সূক্ষ্ম কণিকাগুলি দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়। প্রতিটি পরমাণুতে তিনটি মৌলিক কণিকা থাকে:
-
ইলেকট্রন
-
প্রোটন
-
নিউট্রন
পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস থাকে, এবং নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
ইলেকট্রন:
-
পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা।
-
সকল মৌলের পরমাণুর সাধারণ উপাদান।
-
হাইড্রোজেন পরমাণুর তুলনায় প্রায় ১৮৪০ গুণ হালকা।
-
একক ঋণাত্মক তড়িৎধর্মী কণা।
প্রোটন:
-
সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক কণা পাওয়া যায়, তাকে প্রোটন বলা হয়।
-
ভর প্রায় হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের সমান।
নিউট্রন:
-
আধানহীন বা চার্জ-নিরপেক্ষ কণা।
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক আবিষ্কার করেন।
-
ভর প্রায় প্রোটনের সমান।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান।
0
Updated: 1 month ago
জোয়ার-ভাটা সংঘটিত হয়-
Created: 1 month ago
A
পৃথিবীর সাথে সূর্যের আকর্ষণের ফলে
B
পৃথিবীর সাথে গ্রহ নক্ষত্রের আকর্ষণের ফলে
C
গ্রহ-নক্ষত্রের সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
D
পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে
- পৃথিবীর সাথে চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের ফলে জোয়ার-ভাঁটা সংঘটিত হয়।
জোয়ার-ভাটা:
- মহাকর্ষ শক্তি এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির কারণে সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে একই জায়গায় ফুলে ওঠে আবার অন্য সময় নেমে যায়। সমুদ্রের পানির এইরূপ ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে।
- সমুদ্রের একই জায়গায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা সংঘটিত হয়।
- চন্দ্র অপেক্ষা সূর্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ গুণ বড় এবং পৃথিবী অপেক্ষা সূর্য প্রায় ১৩ লক্ষ গুণ বড় হলেও পৃথিবী থেকে সূর্য গড়ে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে চন্দ্র গড়ে প্রায় ৩৮.৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ কারণেই পৃথিবীর ওপর চন্দ্রের আকর্ষণ
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
বংশগতির বাহক জিনের রাসায়নিক কী দিয়ে তৈরি?
Created: 1 month ago
A
অ্যামিনো অ্যাসিড
B
কার্বোহাইড্রেট
C
ডিএনএ
D
ফ্যাটি অ্যাসিড
জিন হলো DNA-এর একটি অংশ, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য বহন করে। DNA একটি নিউক্লিক অ্যাসিড, যার ভেতরে চারটি নাইট্রোজেন বেস (A, T, G, C) নির্দিষ্ট ক্রমে সাজানো থাকে, যা জিনগত তথ্য নির্ধারণ করে।
মানবদেহে নিউক্লিক অ্যাসিড:
-
দুই ধরনের নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে: DNA এবং RNA।
-
DNA-এর পূর্ণরূপ: Deoxyribonucleic Acid।
-
RNA-এর পূর্ণরূপ: Ribonucleic Acid।
DNA-এর বৈশিষ্ট্য:
-
জিনের রাসায়নিক গঠন DNA দ্বারা নির্ধারিত।
-
এটি একটি নিউক্লিক এসিড, যা জীবদেহের গঠন ও কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য জিনগত নির্দেশাবলী ধারণ করে।
-
DNA হলো দ্বিসূত্রক বিশিষ্ট পলিনিউক্লিয়োটাইডের সর্পিলাকার গঠন, আকৃতিতে অনেকটা প্যাঁচানো সিঁড়ির ন্যায়।
-
১৯৫৩ সালে জেমস ওয়াটসন ও ফ্রান্সিস ক্রিক DNA অণুর গঠন আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 1 month ago
কোন গ্রিনহাউজ গ্যাস সবচেয়ে বেশি উষ্ণায়ন ঘটায়?
Created: 1 month ago
A
কার্বন ডাই-অক্সাইড
B
মিথেন
C
নাইট্রাস অক্সাইড
D
ফ্লুরোকার্বন
গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming) ঘটায়। তবে সব গ্যাস সমানভাবে প্রভাব ফেলে না।
-
বায়ুমণ্ডলে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিদ্যমান গ্রিনহাউজ গ্যাস হলো কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)।
-
শিল্পকারখানা, জ্বালানি পোড়ানো (কয়লা, তেল, গ্যাস) এবং বন উজাড়ের ফলে এর পরিমাণ বাড়ছে।
-
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান চালিকা শক্তি হলো CO₂।
গ্রিনহাউজ গ্যাস সম্পর্কিত তথ্য:
-
যে সব গ্যাস ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত IR রশ্মি শোষণ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, তাদেরকে গ্রিনহাউজ গ্যাস বলা হয়।
-
প্রধান গ্রিনহাউজ গ্যাস: কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)।
-
অন্যান্য গ্রিনহাউজ গ্যাস:
-
জলীয় বাষ্প (H₂O)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ফ্রিয়ন বা ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFC)
-
ওজোন (O₃)
-
-
যদিও এই শেষের গ্যাসগুলোর ঘনত্ব CO₂-এর তুলনায় কম, তাদের IR রশ্মি শোষণ ও বিকিরণ ক্ষমতা অনেক বেশি, তাই বৈশ্বিক উষ্ণায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
গ্রিনহাউজ গ্যাস এবং বায়ুমণ্ডলে তাদের আনুমানিক % পরিমাণ:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): 49%
-
মিথেন (CH₄): 18%
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O): [আপেক্ষিক পরিমাণ লেখা হয়নি; সাধারণত প্রায় 6%–7%]
চাওয়াতে আমি চাইলে এই তালিকাটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাকি গ্রিনহাউজ গ্যাসসহ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে তাদের ভূমিকা সহ সম্পূর্ণ করতে পারি।
0
Updated: 1 month ago