সালোকসংশ্লেষণের প্রধান উপজাত (by-product) কী?
A
পানি
B
অক্সিজেন
C
নাইট্রোজেন
D
কার্বন ডাই-অক্সাইড
উত্তরের বিবরণ
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া
সালোকসংশ্লেষণ হলো একটি জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে উদ্ভিদ সবুজ পাতার ক্লোরোফিল রঞ্জকের সাহায্যে সূর্যালোক ব্যবহার করে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি থেকে খাদ্য তৈরি করে।
-
প্রক্রিয়ায় প্রধান খাদ্য উপাদান হিসেবে শর্করা উৎপন্ন হয়, যা সাধারণত স্টার্চ (মাড়) আকারে উদ্ভিদদেহে সঞ্চিত থাকে।
-
প্রাণিদেহে অতিরিক্ত শর্করা গ্লাইকোজেন আকারে যকৃত ও পেশিতে জমা থাকে।
-
সালোকসংশ্লেষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজাত (by-product) হলো অক্সিজেন, যা পরিবেশে নিঃসরণ হয়ে প্রাণীর জীবনধারণে সহায়ক।
রাসায়নিক সমীকরণ:
6CO₂ + 6H₂O + আলো → C₆H₁₂O₆ + 6O₂

0
Updated: 6 hours ago
নিচের কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
Created: 6 hours ago
A
বায়ু
B
পানি
C
লোহা
D
ভ্যাকুয়াম
শব্দের বেগের পরিবর্তন:
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, আলোর দ্রুতি শূন্যস্থানে সবসময় 3×10⁸ m/s। অন্যদিকে, 0°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
-
তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করলেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
হিসাব অনুযায়ী, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s বৃদ্ধি পায়।
-
মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতি পরিবর্তিত হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক, শব্দের দ্রুতি তত বেশি।
-
উদাহরণ:
-
বায়ুতে: 332 m/s
-
পানিতে: 1450 m/s
-
লোহায়: 5220 m/s
-
-
-
বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থে বেশি এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি।
-
বায়ু চাপের পরিবর্তন শব্দের বেগে প্রভাব ফেলে না।

0
Updated: 6 hours ago
n-p-n ট্রানজিস্টরে মাঝখানে কোন ধরনের অপদ্রব্য দিয়ে ডোপিং করা হয়?
Created: 7 hours ago
A
ধাতব
B
পাঁচযোজী
C
তিনযোজী
D
নিরোধক
ট্রানজিস্টর (Transistor) হলো এক বিশেষ ধরনের অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সংকেত পরিবর্ধন, সুইচিং এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত তিন স্তরের অর্ধপরিবাহী পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত।
ট্রানজিস্টরের গঠন:
-
ট্রানজিস্টরে দুটি চওড়া স্তরের মধ্যে একটি সরু স্তর যুক্ত থাকে।
-
এর গঠন হতে পারে:
-
p-n-p ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে n-টাইপ স্তর গঠিত হয়।
-
এটি গঠিত হয় তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) এবং পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
n-p-n ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে n-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
এটি গঠিত হয় পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) এবং তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
বিশেষ দিক:
-
একটি ট্রানজিস্টরকে অনেক সময় দুটি ডায়োডকে পিঠাপিঠি (Back to back) যুক্ত বলে ধরা হয়।
-
ট্রানজিস্টরের মাঝের সরু অংশকে বলে বেস (Base) বা ভূমি।
-
প্রান্তের যে অংশ তুলনামূলকভাবে সরু ও বেশি অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে এমিটার (Emitter) বা নিঃসারক।
-
অপর প্রান্তের স্তর তুলনামূলক চওড়া এবং বেসের সমান অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে কালেক্টর (Collector) বা সংগ্রাহক।

0
Updated: 7 hours ago
একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফলকে কী বলা হয়?
Created: 6 hours ago
A
অপ্রকৃত ফল
B
গুচ্ছ ফল
C
সরল ফল
D
যৌগিক ফল
ফল হলো নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে।
ফলের প্রকারভেদ:
-
যদি শুধুমাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়, তাকে প্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আম, কাঁঠাল।
-
যদি গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে ফলে পরিণত হয়, তাকে অপ্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আপেল, চালতা।
প্রকৃত ও অপ্রকৃত ফলকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১) সরল ফল:
-
ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফল।
-
রসাল বা শুষ্ক হতে পারে।
-
ধরন:
ক) রসাল ফল: ফলত্বক পুরু ও রসাল; পাকলে ফলত্বক ফেটে যায় না। যেমন: আম, জাম, কলা।
খ) নীত ফল: ফলত্বক পাতলা; পরিপক্ক হলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায়। যেমন: শিম, ঢেঁড়স, সরিষা।
২) যৌগিক ফল:
-
একটি মঞ্জরির সম্পূর্ণ অংশ একত্র হয়ে এক ফলের সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: আনারস, কাঁঠাল।
৩) গুচ্ছ ফল:
-
একটি ফুলে অনেকগুলো গর্ভাশয় থাকে; প্রতিটি গর্ভাশয় ফলের রূপ নেয়ে একটি বোঁটার উপর গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উদাহরণ: চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরীফা।

0
Updated: 6 hours ago