নিচের কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
A
বায়ু
B
পানি
C
লোহা
D
ভ্যাকুয়াম
উত্তরের বিবরণ
শব্দের বেগের পরিবর্তন:
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, আলোর দ্রুতি শূন্যস্থানে সবসময় 3×10⁸ m/s। অন্যদিকে, 0°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
-
তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করলেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
হিসাব অনুযায়ী, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s বৃদ্ধি পায়।
-
মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতি পরিবর্তিত হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক, শব্দের দ্রুতি তত বেশি।
-
উদাহরণ:
-
বায়ুতে: 332 m/s
-
পানিতে: 1450 m/s
-
লোহায়: 5220 m/s
-
-
-
বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থে বেশি এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি।
-
বায়ু চাপের পরিবর্তন শব্দের বেগে প্রভাব ফেলে না।
0
Updated: 1 month ago
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশবিশেষকে বাংলায় কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
ছায়াপথ
B
ধূমকেতু
C
উল্কাপিন্ড
D
নক্ষত্রমালা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও সৌরজগত:
সুদূর আকাশে বায়বীয় পদার্থ এবং গ্যাসপূর্ণ স্বল্পআলোকিত মেঘের মতো আস্তরণকে গ্যালাক্সি বলা হয়। আমাদের সৌরজগত হলো মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশ, যা বাংলায় ছায়াপথ নামে পরিচিত। এই ছায়াপথটি অসংখ্য গ্রহ ও নক্ষত্রের সমন্বয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
ধূমকেতু (Comet):
-
ধূমকেতু হলো এক ধরনের জ্যোতিষ্ক।
-
এর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: মস্তক (Head) বা কেন্দ্র এবং পুচ্ছ (Tail)।
-
কোনো কোনো ধূমকেতুর মস্তক গ্রহের তুলনায় বড় হতে পারে।
-
ধূমকেতুর সুদীর্ঘ পুচ্ছ গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত।
-
অধিকাংশ ধূমকেতু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহসমূহের আবর্তন পথের উল্টো দিকে চলে।
-
উদাহরণ: হ্যালির ধূমকেতু (Halley's Comet) প্রতি ৭৬ বছর অন্তর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়।
উল্কা ও উল্কাপিন্ড (Meteors & Meteoroids):
-
উল্কা হলো মহাশূন্যে বিচরণরত ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন বস্তু।
-
ক্ষুদ্র উল্কাপিন্ড যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন এটি উল্কাবৃষ্টি তৈরি করে।
-
যদি উল্কা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হয় এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পতিত হয়, তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
-
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় একটি উল্কাপিন্ড পতনের কারণে বনভূমির ব্যাপক এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।
0
Updated: 1 month ago
কোন খাদ্য উপাদান দেহে সবচেয়ে বেশি তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে?
Created: 1 month ago
A
শর্করা
B
স্নেহ
C
আমিষ
D
খনিজ লবণ
খাদ্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত, যেগুলোকে খাদ্য উপাদান বলা হয়। এই উপাদানগুলোর মধ্যেই পুষ্টি থাকে, তাই এগুলোকে পুষ্টি উপাদানও বলা হয়। উপাদানের ভিত্তিতে খাদ্যবস্তুকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা যায়।
-
আমিষ: দেহের বৃদ্ধি সাধন করে এবং ক্ষয়পূরণে সহায়তা করে।
-
শর্করা: দেহে শক্তি উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা রাখে।
-
স্নেহ: চর্বিজাতীয় খাদ্য হিসেবে দেহে তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে।
-
ভিটামিন (খাদ্যপ্রাণ): দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্দীপনা যোগায়।
-
খনিজ লবণ: দেহের বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
-
পানি: দেহে পানি ও তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে, কোষের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ ও অঙ্গাণুগুলোকে ধারণ করে।
-
রাফেজ (খাদ্য আঁশ): পুষ্টি সরবরাহ না করলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা পানি শোষণ করে, মলের পরিমাণ বাড়ায় এবং বৃহদন্ত্র থেকে মল নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহ কোন ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
পারমাণবিক ভর
B
পারমাণবিক সংখ্যা
C
যোজন ইলেকট্রন
D
আয়নীকরণ শক্তি
আধুনিক পর্যায় সারণি (Modern Periodic Table) মোজলি (Henry Moseley, 1913)-এর প্রস্তাবিত নীতি অনুসারে সাজানো হয়েছে। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে মৌলের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে পারমাণবিক সংখ্যা (প্রোটন সংখ্যা) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আধুনিক পর্যায় সারণিতে মৌলগুলোকে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির ক্রমে সাজানো হয়েছে।
আধুনিক পর্যায় সারণি সম্পর্কিত তথ্য:
-
আবিষ্কৃত মৌলগুলোকে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলির সামঞ্জস্য রেখে পর্যায়ক্রমে সাজানো হয়েছে।
-
আধুনিক পর্যায় সারণিতে মৌলগুলোর পারমাণবিক সংখ্যা (প্রোটন সংখ্যা) অনুসারে সাজানো হয়েছে।
-
১৯১৩ সালে মোজলি পারমাণবিক ভরের পরিবর্তে পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী মৌলগুলো সাজানোর প্রস্তাব দেন।
-
এর পূর্বে মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণি মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজানো হতো।
আধুনিক পর্যায় সারণির বৈশিষ্ট্য:
-
মৌলগুলোকে পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে সাজানো হয়।
-
এতে ১৮টি গ্রুপ এবং ৭টি পর্যায় রয়েছে।
-
একটি গ্রুপ হলো উল্লম্ব কলাম, যা মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
একটি পর্যায় হলো অনুভূমিক সারি।
-
প্রতিটি পর্যায় বামদিকের গ্রুপ ১ থেকে শুরু করে ডানদিকে গ্রুপ ১৮ পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
মূল পর্যায় সারণির নিচে ল্যান্থানাইড ও অ্যাক্টিনাইড সিরিজ দেখানো হলেও এগুলো যথাক্রমে ৬ ও ৭ পর্যায়ের অংশ।
0
Updated: 1 month ago