মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশবিশেষকে বাংলায় কী বলা হয়?
A
ছায়াপথ
B
ধূমকেতু
C
উল্কাপিন্ড
D
নক্ষত্রমালা
উত্তরের বিবরণ
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও সৌরজগত:
সুদূর আকাশে বায়বীয় পদার্থ এবং গ্যাসপূর্ণ স্বল্পআলোকিত মেঘের মতো আস্তরণকে গ্যালাক্সি বলা হয়। আমাদের সৌরজগত হলো মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশ, যা বাংলায় ছায়াপথ নামে পরিচিত। এই ছায়াপথটি অসংখ্য গ্রহ ও নক্ষত্রের সমন্বয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
ধূমকেতু (Comet):
-
ধূমকেতু হলো এক ধরনের জ্যোতিষ্ক।
-
এর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: মস্তক (Head) বা কেন্দ্র এবং পুচ্ছ (Tail)।
-
কোনো কোনো ধূমকেতুর মস্তক গ্রহের তুলনায় বড় হতে পারে।
-
ধূমকেতুর সুদীর্ঘ পুচ্ছ গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত।
-
অধিকাংশ ধূমকেতু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহসমূহের আবর্তন পথের উল্টো দিকে চলে।
-
উদাহরণ: হ্যালির ধূমকেতু (Halley's Comet) প্রতি ৭৬ বছর অন্তর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়।
উল্কা ও উল্কাপিন্ড (Meteors & Meteoroids):
-
উল্কা হলো মহাশূন্যে বিচরণরত ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন বস্তু।
-
ক্ষুদ্র উল্কাপিন্ড যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন এটি উল্কাবৃষ্টি তৈরি করে।
-
যদি উল্কা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হয় এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পতিত হয়, তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
-
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় একটি উল্কাপিন্ড পতনের কারণে বনভূমির ব্যাপক এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।
0
Updated: 1 month ago
আধুনিক পর্যায় সারণিতে মৌলসমূহ কোন ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
পারমাণবিক ভর
B
পারমাণবিক সংখ্যা
C
যোজন ইলেকট্রন
D
আয়নীকরণ শক্তি
আধুনিক পর্যায় সারণি (Modern Periodic Table) মোজলি (Henry Moseley, 1913)-এর প্রস্তাবিত নীতি অনুসারে সাজানো হয়েছে। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে মৌলের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে পারমাণবিক সংখ্যা (প্রোটন সংখ্যা) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আধুনিক পর্যায় সারণিতে মৌলগুলোকে পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধির ক্রমে সাজানো হয়েছে।
আধুনিক পর্যায় সারণি সম্পর্কিত তথ্য:
-
আবিষ্কৃত মৌলগুলোকে তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলির সামঞ্জস্য রেখে পর্যায়ক্রমে সাজানো হয়েছে।
-
আধুনিক পর্যায় সারণিতে মৌলগুলোর পারমাণবিক সংখ্যা (প্রোটন সংখ্যা) অনুসারে সাজানো হয়েছে।
-
১৯১৩ সালে মোজলি পারমাণবিক ভরের পরিবর্তে পারমাণবিক সংখ্যা অনুযায়ী মৌলগুলো সাজানোর প্রস্তাব দেন।
-
এর পূর্বে মেন্ডেলিভের পর্যায় সারণি মৌলগুলোকে তাদের পারমাণবিক ভর অনুসারে সাজানো হতো।
আধুনিক পর্যায় সারণির বৈশিষ্ট্য:
-
মৌলগুলোকে পারমাণবিক সংখ্যা অনুসারে সাজানো হয়।
-
এতে ১৮টি গ্রুপ এবং ৭টি পর্যায় রয়েছে।
-
একটি গ্রুপ হলো উল্লম্ব কলাম, যা মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর ভিত্তি করে গঠিত।
-
একটি পর্যায় হলো অনুভূমিক সারি।
-
প্রতিটি পর্যায় বামদিকের গ্রুপ ১ থেকে শুরু করে ডানদিকে গ্রুপ ১৮ পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
মূল পর্যায় সারণির নিচে ল্যান্থানাইড ও অ্যাক্টিনাইড সিরিজ দেখানো হলেও এগুলো যথাক্রমে ৬ ও ৭ পর্যায়ের অংশ।
0
Updated: 1 month ago
বায়োগ্যাসের প্রধান উপাদান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ইথেন
B
নাইট্রোজেন
C
হাইড্রোজেন সালফাইড
D
মিথেন
বায়োগ্যাসের উপাদান:
-
মিথেন (CH₄): প্রধান এবং দাহ্য উপাদান, মোট গ্যাসের ৫০–৭৫%।
-
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂): দ্বিতীয় বৃহত্তম উপাদান।
-
অন্যান্য গ্যাস: হাইড্রোজেন সালফাইড (H₂S), নাইট্রোজেন (N₂) খুবই অল্প পরিমাণে।
উৎপাদন প্রক্রিয়া:
-
বায়োগ্যাস উৎপাদন করা যায় প্রাণী ও উদ্ভিদের বর্জ্য (গোবর, মলমূত্র, পাতা, খড়কুটো) থেকে।
-
পদার্থগুলো পানিতে মিশিয়ে বাতাস অপ্রবেশ্য করলে ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে গাজন (fermentation) প্রক্রিয়ায় দাহ্য গ্যাস তৈরি হয়।
ব্যবহার:
-
পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
-
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতাকে কমায়।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি অজৈব যৌগ নয়?
Created: 1 month ago
A
পানি
B
খাবার সোডা
C
কস্টিক সোডা
D
পেন্টাইন
জৈব যৌগ হলো সেই যৌগসমূহ যা প্রধানত কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত। এই হাইড্রোকার্বন এবং এদের বিভিন্ন রূপই জৈব যৌগ হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: মিথেন, ইথেন, বেনজিন, ইউরিয়া, প্রোপিন, পেন্টাইন ইত্যাদি।
-
জৈব যৌগের বিক্রিয়া সাধারণত অনেক সময় নেয়।
-
এগুলো সাধারণত সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত হয়।
-
জৈব রসায়নের জনক: ফ্রেডরিখ ভোলার।
অজৈব যৌগ হলো সেই যৌগ যা দুই বা ততোধিক মৌলের সমন্বয়ে গঠিত এবং সাধারণত কার্বন ধারণ করে না।
-
উদাহরণ: পানি, খাবার লবণ, খাবার সোডা, কাপড় কাচার সোডা, কস্টিক সোডা, চুন, মরিচা ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago