চাপের একক কোনটি?
A
ওয়াট
B
জুল
C
নিউটন
D
প্যাসকেল
উত্তরের বিবরণ
চাপ হলো একক ক্ষেত্রফলে কোনো বস্তুর তলের ওপর লম্বভাবে প্রয়োগকৃত বলের মান। এটি সমভাবে বিতরণিত হয়।
-
গজ চাপ: পারিপার্শ্বিক চাপের তুলনায় যে অতিরিক্ত চাপ উৎপন্ন হয়, তাকে গজ চাপ বলা হয়।
-
চাপের একক হলো প্যাসকেল (Pa)।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এককসমূহ:
-
কাজ/শক্তি/তাপের একক: জুল (J)
-
বল/ওজনের একক: নিউটন (N)
-
বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক: ওয়াট (W)

0
Updated: 6 hours ago
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশবিশেষকে বাংলায় কী বলা হয়?
Created: 6 hours ago
A
ছায়াপথ
B
ধূমকেতু
C
উল্কাপিন্ড
D
নক্ষত্রমালা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও সৌরজগত:
সুদূর আকাশে বায়বীয় পদার্থ এবং গ্যাসপূর্ণ স্বল্পআলোকিত মেঘের মতো আস্তরণকে গ্যালাক্সি বলা হয়। আমাদের সৌরজগত হলো মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশ, যা বাংলায় ছায়াপথ নামে পরিচিত। এই ছায়াপথটি অসংখ্য গ্রহ ও নক্ষত্রের সমন্বয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
ধূমকেতু (Comet):
-
ধূমকেতু হলো এক ধরনের জ্যোতিষ্ক।
-
এর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: মস্তক (Head) বা কেন্দ্র এবং পুচ্ছ (Tail)।
-
কোনো কোনো ধূমকেতুর মস্তক গ্রহের তুলনায় বড় হতে পারে।
-
ধূমকেতুর সুদীর্ঘ পুচ্ছ গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত।
-
অধিকাংশ ধূমকেতু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহসমূহের আবর্তন পথের উল্টো দিকে চলে।
-
উদাহরণ: হ্যালির ধূমকেতু (Halley's Comet) প্রতি ৭৬ বছর অন্তর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়।
উল্কা ও উল্কাপিন্ড (Meteors & Meteoroids):
-
উল্কা হলো মহাশূন্যে বিচরণরত ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন বস্তু।
-
ক্ষুদ্র উল্কাপিন্ড যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন এটি উল্কাবৃষ্টি তৈরি করে।
-
যদি উল্কা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হয় এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পতিত হয়, তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
-
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় একটি উল্কাপিন্ড পতনের কারণে বনভূমির ব্যাপক এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।

0
Updated: 6 hours ago
সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ সঞ্চালিত হয় কোন পদ্ধতিতে?
Created: 6 hours ago
A
শোষণ
B
পরিবহন
C
বিকিরণ
D
পরিচলন
তাপ সবসময় অধিক তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে প্রবাহিত হয়। এভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাপের স্থানান্তরকেই তাপ সঞ্চালন বলা হয়। তাপ সঞ্চালন মূলত তিনটি প্রক্রিয়ায় ঘটে।
-
পরিচলন পদ্ধতি: কোনো পদার্থের উষ্ণতর অংশের অণুগুলি তাপ গ্রহণ করে শক্তি অর্জন করে এবং হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। একই সঙ্গে উপরের ঠাণ্ডা অণুগুলি নিচে নেমে এসে তাপ গ্রহণ করে। এভাবে কণার স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে উষ্ণতা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়। তরল ও বায়বীয় পদার্থে এই প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালন ঘটে। যেমন, চুলায় রাখা পানির পাত্র ধীরে ধীরে সমভাবে গরম হয়।
-
বিকিরণ পদ্ধতি: এখানে তাপ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে তাপ আসে তা বিকিরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে। এইভাবে সঞ্চালিত তাপকে বিকীর্ণ তাপ বলা হয়।
-
পরিবহন পদ্ধতি: এ প্রক্রিয়ায় অণুগুলি স্থান পরিবর্তন করে না; বরং তারা স্পন্দনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী অণুকে তাপ সরবরাহ করে। এতে উষ্ণতর অংশ থেকে শীতল অংশে তাপ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। কঠিন পদার্থে প্রধানত পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়।

0
Updated: 6 hours ago
নিচের কোনটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে?
Created: 6 hours ago
A
ভূমিকম্প
B
বন্যা
C
ঘূর্ণিঝড়
D
বজ্রপাত
সুনামি শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যেখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ। অর্থাৎ সুনামি বলতে বোঝায় বন্দরের ঢেউ। এটি এক ধরনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
-
সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনার কারণে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে।
-
এই দুর্যোগ কেবল সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি ঘটে।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে একটি মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।
-
এই সুনামিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই নিহত হয় প্রায় এক লাখ মানুষ।
-
সুনামি অগভীর পানির দিকে আসতে থাকলে ধীরে ধীরে তার শক্তি কমতে থাকে।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বিস্তৃত থাকায় বাংলাদেশ সুনামির বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।

0
Updated: 6 hours ago