যে তরঙ্গের জন্য জড় মাধ্যম প্রয়োজন হয় তাকে কী বলা হয়?
A
যান্ত্রিক তরঙ্গ
B
আলোক তরঙ্গ
C
বেতার তরঙ্গ
D
তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ
উত্তরের বিবরণ
তরঙ্গ হলো এমন একটি পদার্থবিজ্ঞানিক ঘটনা যেখানে শক্তি একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়। তরঙ্গ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে এবং তার প্রকার নির্ভর করে সঞ্চারণের জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন এবং কণার স্পন্দনের দিকের ওপর।
-
যান্ত্রিক তরঙ্গ: যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন, তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয়।
-
তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ: যে তরঙ্গ সঞ্চারণের জন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না, তা তাড়িতচুম্বকীয় তরঙ্গ।
যান্ত্রিক তরঙ্গের মধ্যে কণার স্পন্দনের দিক অনুযায়ী দুটি ধরন থাকে:
-
অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ: তরঙ্গ মাধ্যমের কণার স্পন্দনের দিকের সমান্তরালে অগ্রসর হয়।
-
উদাহরণ: শব্দ তরঙ্গ, স্প্রিং-এর তরঙ্গ।
-
-
অনুপ্রস্থ তরঙ্গ: তরঙ্গ মাধ্যমের কণার স্পন্দনের দিকের সাথে সমকোণে বা আড়াআড়ি অগ্রসর হয়।
-
উদাহরণ: আলোক তরঙ্গ, বেতার তরঙ্গ, পানির তরঙ্গ।
-
যেমন, পানির তরঙ্গে কণাগুলো উপরে-নিচে ওঠা-নামা করে, কিন্তু তরঙ্গ পানির পৃষ্ঠ বা তলের উপর দিয়ে সামনে ছড়িয়ে পড়ে।
-

0
Updated: 6 hours ago
মৃৎক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
Created: 7 hours ago
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-18
পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলো তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলগুলো (হাইড্রোজেন ব্যতীত) ক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি মৌল একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়ন গঠন করে।
-
প্রধানত আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এর মৌলগুলো মৃৎক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক, তবে দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ তৈরি করে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের অধিকাংশ যৌগ মাটিতে বিদ্যমান, তাই নামকরণ হয়েছে মৃৎক্ষার ধাতু।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রূপা (Ag), সোনা (Au)।
-
এদের ধাতব উজ্জ্বলতা অত্যন্ত চমৎকার।
-
ইতিহাসে যেমন, আজও বাজারে মুদ্রা প্রচলিত আছে, তবে সেগুলো প্রায়ই সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি হয়।

0
Updated: 7 hours ago
কোন স্থানে বস্তুর ওজন শূন্য হয়?
Created: 6 hours ago
A
মেরু অঞ্চলে
B
বিষুবরেখায়
C
পৃথিবীর কেন্দ্রে
D
সমুদ্রপৃষ্ঠে
বস্তুর ওজন বলতে বোঝায় পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণের ফলে কোনো বস্তুর ওপর যে বল ক্রিয়া করে। এটি মূলত অভিকর্ষজ ত্বরণের মানের ওপর নির্ভরশীল এবং পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন হয়ে থাকে।
-
বস্তুর ওজন হলো পৃথিবীর কেন্দ্রের প্রতি আকর্ষণজনিত বল।
-
এটি সরাসরি অভিকর্ষজ ত্বরণের ওপর নির্ভরশীল।
-
যেখানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বেশি, সেখানে বস্তুর ওজনও বেশি হয়।
-
মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন সর্বাধিক।
-
মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিষুব অঞ্চলের তুলনায় বেশি হওয়ায় ওজনও বেশি হয়।
-
পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য হওয়ায় সেখানে বস্তুর ওজনও শূন্য।

0
Updated: 6 hours ago
তাড়িতচৌম্বক বলের বাহক কণা কোনটি?
Created: 6 hours ago
A
গ্রাভিটন
B
ফোটন
C
গ্লুঅন
D
Z বোসন
মৌলিক বল হলো সেই সব বল যা অন্য কোনো বল থেকে উৎপন্ন হয় না এবং নিজেই স্বাধীন। অর্থাৎ, অন্যান্য বলগুলো এই মৌলিক বলগুলোর কোনো না কোনো রূপের প্রকাশ।
-
প্রধান মৌলিক বলগুলো হলো:
১. মহাকর্ষ বল
২. তাড়িতচৌম্বক বল (বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল)
৩. সবল নিউক্লিয় বল
৪. দুর্বল নিউক্লিয় বল
তাড়িতচৌম্বক বল: দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ প্রয়োগ করে, সেটিই তাড়িতচৌম্বক বল। এই বলের বাহক কণা হলো ফোটন।
অন্য মৌলিক বলের বাহক কণাগুলো হলো:
-
মহাকর্ষ বল – বাহক কণা: গ্রাভিটন
-
দুর্বল নিউক্লিয় বল – বাহক কণা: W ও Z বোসন
-
সবল নিউক্লিয় বল – বাহক কণা: গ্লুঅন

0
Updated: 6 hours ago