কোন শাখায় কোষের গঠন ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়?
A
Entomology
B
Cytology
C
Histology
D
Embryology
উত্তরের বিবরণ
জীববিজ্ঞান বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত, যেখানে প্রতিটি শাখা জীবের বিশেষ কোনো দিক বা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। এই শাখাগুলো জীবদেহ, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জেনেটিক্স সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology): জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থান বা দৈহিক গঠন বর্ণনা করে। দেহের বাহ্যিক গঠনকে বহিঃ অঙ্গসংস্থান (External Morphology) এবং অভ্যন্তরীণ গঠনকে অন্তঃ অঙ্গসংস্থান (Internal Morphology) বলা হয়।
-
শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy): জীবের শ্রেণিবিন্যাস এবং শ্রেণিবিন্যাস সংক্রান্ত নিয়মাবলি নিয়ে আলোচনা করে।
-
শারীরবিদ্যা (Physiology): জীবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি যেমন শ্বসন, রেচন, সালোকসংশ্লেষণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে।
-
হিস্টোলজি (Histology): জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি অধ্যয়ন করে।
-
ভূণবিদ্যা (Embryology): জনন কোষের উৎপত্তি, নিষিক্ত জাইগোট থেকে ভ্রূণের সৃষ্টি, গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়া আলোচনা করে।
-
কোষবিদ্যা (Cytology): জীবদেহের কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কিত বিষয় অধ্যয়ন করে।
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics): জিন ও জীবের বংশগতিধারা নিয়ে আলোচনা করে।
-
বিবর্তনবিদ্যা (Evolution): পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশের তথ্যসমূহ অধ্যয়ন করে।
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology): প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক এবং পরিবেশগত প্রভাব অধ্যয়ন করে।
-
এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology): জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা এবং হরমোনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে।
-
কীটতত্ত্ব (Entomology): কীটপতঙ্গের জীবনচক্র, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
-
অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology): ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, আণুবীক্ষণিক ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
-
জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering): জিনপ্রযুক্তি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয় অধ্যয়ন করে।
0
Updated: 1 month ago
ল্যাকটিক এসিড নিচের কোনটিতে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
দই
B
পালংশাক
C
লেবু
D
ভিনেগার
দই তৈরির প্রক্রিয়ায় ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক এসিডে রূপান্তরিত করে, যা দইয়ের টক স্বাদ এবং ঘন গঠন নিশ্চিত করে।
-
ল্যাকটিক এসিড:
-
ল্যাকটিক এসিড একটি জৈব যৌগ, যা কার্বোক্সিলিক এসিড হিসেবে পরিচিত। এর রাসায়নিক সূত্র হলো C₃H₆O₃।
-
সাধারণত এটি দুধের শর্করা (ল্যাকটোজ) এবং অন্যান্য শর্করা থেকে গাঁজন (fermentation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
-
দই এবং অন্যান্য গাঁজনকৃত দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে এটি ব্যবহৃত হয়, খাদ্যকে জমাট বাঁধাতে এবং স্বাদ তৈরি করতে সহায়তা করে।
-
তীব্র শারীরিক পরিশ্রমের সময়, যখন শরীরে অক্সিজেন সীমিত থাকে, গ্লুকোজ ল্যাকটিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
-
ল্যাকটিক এসিড অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাড়ায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধ করে, ফলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য:
-
পালংশাক → অক্সালিক এসিড
-
লেবু → সাইট্রিক এসিড
-
ভিনেগার → অ্যাসেটিক এসিড
0
Updated: 1 month ago
একই বৈশিষ্ট্যের জন্য ক্রোমোজোমে অবস্থানরত জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
অ্যালিল
B
লোকাস
C
জিনোটাইপ
D
ফিনোটাইপ
একটি জিনের ভিন্ন ভিন্ন রূপকে অ্যালিল বলা হয়। এই অ্যালিলগুলো একই লোকাসে (ক্রোমোসোমের নির্দিষ্ট অবস্থান) অবস্থান করে এবং কোনো বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা সৃষ্টি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মটরশুঁটির ফুলের জন্য একটি অ্যালিল হতে পারে বেগুনি রঙের, আরেকটি অ্যালিল হতে পারে সাদা রঙের।
জিন:
-
জিন (Gene) শব্দটি ১৯০৯ সালে W. L. Johannsen প্রবর্তন করেন। (গ্রিক “genes” = born)
-
১৮৬৬ সালে মেন্ডেল অনুমান করেছিলেন যে জীবের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণকারী বস্তুটি হলো এলিমেন্টিস বা ফ্যাক্টর, যা পরবর্তীকালে জিন নামে অভিহিত হয়।
-
জিন হলো বংশগতির মৌলিক একক, যা বংশপরম্পরায় সঞ্চারিত হয়ে বংশগতিধারা অব্যাহত রাখে।
-
জিন পলিপেপটাইড সংশ্লেষের জন্য সংকেত প্রদানকারী DNA অণুর অংশ।
লোকাস:
-
ক্রোমোসোমে একটি জিনের অবস্থানকে লোকাস বলা হয়।
অ্যালিল:
-
ক্রোমোসোমের একই লোকাসে অবস্থানকারী জিনগুলোকে পরস্পরের অ্যালিল বলা হয়।
অ্যালিলোমর্ফ:
-
জিনগুলোর একত্রে অবস্থানকে অ্যালিলোমর্ফ বলা হয়।
জিনোটাইপ:
-
জীবদেহের দৃশ্যমান বা সুপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর নিয়ন্ত্রক জিনসমূহের গঠনকে জিনোটাইপ বলা হয়।
ফিনোটাইপ:
-
জীবদেহের দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যসমূহকে ফিনোটাইপ বলা হয়।
-
ফিনোটাইপ হলো জিনোটাইপের জিনসমূহের বাহ্যিক প্রকাশ।
0
Updated: 1 month ago
অণুচক্রিকার প্রধান কাজ কী?
Created: 1 month ago
A
রক্তরস তৈরি
B
রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা
C
রোগ প্রতিরোধ
D
অক্সিজেন পরিবহন
রক্ত ঘন লাল রঙের এক ধরনের তরল পদার্থ যা একটি তরল যোজক টিস্যু হিসেবে কাজ করে। এর স্বাদ সামান্য ক্ষারধর্মী। রক্ত প্রধানত দুইটি উপাদান দিয়ে গঠিত— রক্তরস ও রক্তকণিকা।
রক্তকণিকা তিন প্রকারের হয়।
ক. লোহিত রক্তকণিকা (RBC)
-
রক্তের লাল রঙের জন্য লোহিত রক্তকণিকা দায়ী, কারণ এতে হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ থাকে।
-
হিমোগ্লোবিনের সাথে অক্সিজেন যুক্ত হয়ে তা দেহকোষে পৌঁছে দেয়।
-
এর আকার চাকতির মতো গোলাকার ও উভঅবতল (দুই পৃষ্ঠে খাদযুক্ত)।
-
পরিণত লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস অনুপস্থিত।
-
এগুলো যকৃত ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
খ. শ্বেত রক্তকণিকা (WBC)
-
আকারে লোহিত রক্তকণিকার তুলনায় বড়ো ও অনিয়মিত আকারের।
-
এতে নিউক্লিয়াস বিদ্যমান এবং এগুলো প্লীহা ও অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
-
এরা রোগ-জীবাণুকে ধ্বংস করে দেহকে সুরক্ষা দেয়।
-
দেহকে রক্ষা করার কারণে শ্বেত রক্তকণিকাকে সৈনিকের সাথে তুলনা করা হয়।
গ. অণুচক্রিকা (Platelet)
-
আকারে লোহিত রক্তকণিকার চেয়ে ছোটো, দেখতে গোলাকার বা বৃত্তাকার।
-
এদের নিউক্লিয়াস থাকে না এবং সাধারণত গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উৎপত্তি হয় লোহিত অস্থিমজ্জায়।
-
দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই এদের প্লেটলেট বলা হয়।
অতিরিক্ত তথ্য: একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতি ঘনমিলিমিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ লোহিত রক্তকণিকা, ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার শ্বেত রক্তকণিকা এবং ২ লাখ থেকে ৪ লাখ অণুচক্রিকা থাকে।
0
Updated: 1 month ago