Ca(OH)2 কোন যৌগটির রাসায়নিক সংকেত?
A
ক্যালামিন
B
ফিটকিরি
C
বেকিং সোডা
D
মিল্ক অফ লাইম
উত্তরের বিবরণ
রাসায়নিক সংকেত হলো বিভিন্ন পদার্থের রাসায়নিক গঠন প্রকাশ করার একটি সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি। প্রতিটি পদার্থের নিজস্ব রাসায়নিক সংকেত থাকে যা তার মৌল ও অণুর অনুপাত নির্দেশ করে।
-
ক্যালামিন – রাসায়নিক সংকেত: ZnCO₃
-
মিল্ক অফ লাইম – রাসায়নিক সংকেত: Ca(OH)₂
-
বেকিং সোডা – রাসায়নিক সংকেত: NaHCO₃
-
তুঁত – রাসায়নিক সংকেত: CuSO₄·5H₂O
-
কাপড় কাচার সোডা – রাসায়নিক সংকেত: Na₂CO₃·10H₂O
-
ফিটকিরি – রাসায়নিক সংকেত: [K₂SO₄·Al₂(SO₄)₃·24H₂O]
-
শেভিং ফোম বা জেল – প্রধান উপাদান: পটাশিয়াম স্টিয়ারেট, রাসায়নিক সংকেত: C₁₇H₃₅COOK
-
কাপড় কাচার সাবান – প্রধান উপাদান: সোডিয়াম স্টিয়ারেট, রাসায়নিক সংকেত: C₁₇H₃₅COONa

0
Updated: 6 hours ago
নিচের কোনটি অজৈব যৌগ নয়?
Created: 6 hours ago
A
পানি
B
খাবার সোডা
C
কস্টিক সোডা
D
পেন্টাইন
জৈব যৌগ হলো সেই যৌগসমূহ যা প্রধানত কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত। এই হাইড্রোকার্বন এবং এদের বিভিন্ন রূপই জৈব যৌগ হিসেবে পরিচিত।
-
উদাহরণ: মিথেন, ইথেন, বেনজিন, ইউরিয়া, প্রোপিন, পেন্টাইন ইত্যাদি।
-
জৈব যৌগের বিক্রিয়া সাধারণত অনেক সময় নেয়।
-
এগুলো সাধারণত সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে গঠিত হয়।
-
জৈব রসায়নের জনক: ফ্রেডরিখ ভোলার।
অজৈব যৌগ হলো সেই যৌগ যা দুই বা ততোধিক মৌলের সমন্বয়ে গঠিত এবং সাধারণত কার্বন ধারণ করে না।
-
উদাহরণ: পানি, খাবার লবণ, খাবার সোডা, কাপড় কাচার সোডা, কস্টিক সোডা, চুন, মরিচা ইত্যাদি।

0
Updated: 6 hours ago
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশবিশেষকে বাংলায় কী বলা হয়?
Created: 6 hours ago
A
ছায়াপথ
B
ধূমকেতু
C
উল্কাপিন্ড
D
নক্ষত্রমালা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ও সৌরজগত:
সুদূর আকাশে বায়বীয় পদার্থ এবং গ্যাসপূর্ণ স্বল্পআলোকিত মেঘের মতো আস্তরণকে গ্যালাক্সি বলা হয়। আমাদের সৌরজগত হলো মিল্কিওয়ে (Milky Way) গ্যালাক্সির ক্ষুদ্র অংশ, যা বাংলায় ছায়াপথ নামে পরিচিত। এই ছায়াপথটি অসংখ্য গ্রহ ও নক্ষত্রের সমন্বয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত।
ধূমকেতু (Comet):
-
ধূমকেতু হলো এক ধরনের জ্যোতিষ্ক।
-
এর দুটি প্রধান অংশ রয়েছে: মস্তক (Head) বা কেন্দ্র এবং পুচ্ছ (Tail)।
-
কোনো কোনো ধূমকেতুর মস্তক গ্রহের তুলনায় বড় হতে পারে।
-
ধূমকেতুর সুদীর্ঘ পুচ্ছ গ্যাসীয় পদার্থ দ্বারা গঠিত।
-
অধিকাংশ ধূমকেতু উপবৃত্তাকার কক্ষপথে গ্রহসমূহের আবর্তন পথের উল্টো দিকে চলে।
-
উদাহরণ: হ্যালির ধূমকেতু (Halley's Comet) প্রতি ৭৬ বছর অন্তর পৃথিবীর আকাশে দৃশ্যমান হয়।
উল্কা ও উল্কাপিন্ড (Meteors & Meteoroids):
-
উল্কা হলো মহাশূন্যে বিচরণরত ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন বস্তু।
-
ক্ষুদ্র উল্কাপিন্ড যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন এটি উল্কাবৃষ্টি তৈরি করে।
-
যদি উল্কা ধ্বংসপ্রাপ্ত না হয় এবং পৃথিবীর পৃষ্ঠে পতিত হয়, তাকে উল্কাপিন্ড বলা হয়।
-
১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় একটি উল্কাপিন্ড পতনের কারণে বনভূমির ব্যাপক এলাকা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।

0
Updated: 6 hours ago
একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফলকে কী বলা হয়?
Created: 6 hours ago
A
অপ্রকৃত ফল
B
গুচ্ছ ফল
C
সরল ফল
D
যৌগিক ফল
ফল হলো নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে।
ফলের প্রকারভেদ:
-
যদি শুধুমাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়, তাকে প্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আম, কাঁঠাল।
-
যদি গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে ফলে পরিণত হয়, তাকে অপ্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আপেল, চালতা।
প্রকৃত ও অপ্রকৃত ফলকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১) সরল ফল:
-
ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফল।
-
রসাল বা শুষ্ক হতে পারে।
-
ধরন:
ক) রসাল ফল: ফলত্বক পুরু ও রসাল; পাকলে ফলত্বক ফেটে যায় না। যেমন: আম, জাম, কলা।
খ) নীত ফল: ফলত্বক পাতলা; পরিপক্ক হলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায়। যেমন: শিম, ঢেঁড়স, সরিষা।
২) যৌগিক ফল:
-
একটি মঞ্জরির সম্পূর্ণ অংশ একত্র হয়ে এক ফলের সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: আনারস, কাঁঠাল।
৩) গুচ্ছ ফল:
-
একটি ফুলে অনেকগুলো গর্ভাশয় থাকে; প্রতিটি গর্ভাশয় ফলের রূপ নেয়ে একটি বোঁটার উপর গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উদাহরণ: চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরীফা।

0
Updated: 6 hours ago