A
২৩ জুন, ১৯৯৬
B
১২ ডিসেম্বর, ১৯৯৬
C
২ ডিসেম্বর, ১৯৯৭
D
১০ মার্চ, ১৯৯৮
উত্তরের বিবরণ
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি
পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামরিক সংঘাতের অবসান ঘটাতে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে একটি ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জনসংহতি সমিতির তরফ থেকে জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, যিনি ‘সন্তু লারমা’ নামে অধিক পরিচিত, স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির মাধ্যমে শান্তি বাহিনীর আনুমানিক দুই হাজার সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করে এবং তাদের প্রত্যেককে সরকার ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করে। এসময় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
চুক্তির মূল বিষয়বস্তু ছিল:
-
পাহাড়ি জনগণের বিশেষ মর্যাদা ও অধিকার স্বীকৃতি।
-
তিনটি পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকারের সমন্বয়ে আঞ্চলিক পরিষদ গঠন।
-
ঐ অঞ্চলের উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচারবিষয়ক কার্যক্রম ওই আঞ্চলিক পরিষদের অধীনে পরিচালিত হবে।
-
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা।
-
উপজাতীয়দের ভূমি মালিকানার অধিকার পুনঃপ্রাপ্তি।
-
পার্বত্য অঞ্চলে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার।
উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদল, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে তাদের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত স্বীকৃতির জন্য দাবি পেশ করেছিল।
কিন্তু সরকার ওই দাবিগুলো মেনে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯৭৩ সালের মার্চে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সামরিক শাখা হিসেবে পরবর্তীতে শান্তি বাহিনী গঠন করা হয়।
এই শান্তি চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনজীবনে স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ সুগম করেছে।
উৎস:
-
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago