তাড়িতচৌম্বক বলের বাহক কণা কোনটি?
A
গ্রাভিটন
B
ফোটন
C
গ্লুঅন
D
Z বোসন
উত্তরের বিবরণ
মৌলিক বল হলো সেই সব বল যা অন্য কোনো বল থেকে উৎপন্ন হয় না এবং নিজেই স্বাধীন। অর্থাৎ, অন্যান্য বলগুলো এই মৌলিক বলগুলোর কোনো না কোনো রূপের প্রকাশ।
-
প্রধান মৌলিক বলগুলো হলো:
১. মহাকর্ষ বল
২. তাড়িতচৌম্বক বল (বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল)
৩. সবল নিউক্লিয় বল
৪. দুর্বল নিউক্লিয় বল
তাড়িতচৌম্বক বল: দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ প্রয়োগ করে, সেটিই তাড়িতচৌম্বক বল। এই বলের বাহক কণা হলো ফোটন।
অন্য মৌলিক বলের বাহক কণাগুলো হলো:
-
মহাকর্ষ বল – বাহক কণা: গ্রাভিটন
-
দুর্বল নিউক্লিয় বল – বাহক কণা: W ও Z বোসন
-
সবল নিউক্লিয় বল – বাহক কণা: গ্লুঅন
0
Updated: 1 month ago
কোন শাখায় কোষের গঠন ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
Entomology
B
Cytology
C
Histology
D
Embryology
জীববিজ্ঞান বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত, যেখানে প্রতিটি শাখা জীবের বিশেষ কোনো দিক বা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। এই শাখাগুলো জীবদেহ, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জেনেটিক্স সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology): জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থান বা দৈহিক গঠন বর্ণনা করে। দেহের বাহ্যিক গঠনকে বহিঃ অঙ্গসংস্থান (External Morphology) এবং অভ্যন্তরীণ গঠনকে অন্তঃ অঙ্গসংস্থান (Internal Morphology) বলা হয়।
-
শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy): জীবের শ্রেণিবিন্যাস এবং শ্রেণিবিন্যাস সংক্রান্ত নিয়মাবলি নিয়ে আলোচনা করে।
-
শারীরবিদ্যা (Physiology): জীবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি যেমন শ্বসন, রেচন, সালোকসংশ্লেষণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে।
-
হিস্টোলজি (Histology): জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি অধ্যয়ন করে।
-
ভূণবিদ্যা (Embryology): জনন কোষের উৎপত্তি, নিষিক্ত জাইগোট থেকে ভ্রূণের সৃষ্টি, গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়া আলোচনা করে।
-
কোষবিদ্যা (Cytology): জীবদেহের কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কিত বিষয় অধ্যয়ন করে।
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics): জিন ও জীবের বংশগতিধারা নিয়ে আলোচনা করে।
-
বিবর্তনবিদ্যা (Evolution): পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশের তথ্যসমূহ অধ্যয়ন করে।
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology): প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক এবং পরিবেশগত প্রভাব অধ্যয়ন করে।
-
এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology): জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা এবং হরমোনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে।
-
কীটতত্ত্ব (Entomology): কীটপতঙ্গের জীবনচক্র, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
-
অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology): ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, আণুবীক্ষণিক ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
-
জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering): জিনপ্রযুক্তি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয় অধ্যয়ন করে।
0
Updated: 1 month ago
অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহের ক্ষমতা-
Created: 1 month ago
A
হ্রাস পায়
B
অপরিবর্তিত থাকে
C
বৃদ্ধি পায়
D
কোনোটিই নয়
পরিবাহী, অপরিবাহী ও অর্ধপরিবাহী পদার্থ
পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহী পদার্থের মধ্যে মূল পার্থক্য তাদের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা এবং তাপমাত্রার ওপর প্রতিক্রিয়া।
-
পরিবাহী পদার্থ:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের পরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।
-
মূলত সব ধাতব পদার্থ পরিবাহী।
-
আধান প্রদান করলে তা সমস্ত পরিবাহীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সহজেই তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
-
পরিবাহী তড়িৎ প্রবাহে প্রায় কোনো বাধা দেয় না।
-
তাপ প্রয়োগ করলে তড়িৎ প্রবাহে বাধা বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ বৃদ্ধি পায়।
-
-
অপরিবাহী পদার্থ:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের অপরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: কাঁচ, কাঠ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
মূলত অধিকাংশ অধাতব পদার্থ অপরিবাহী।
-
আধান প্রদান করলে তা যেখানে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আবদ্ধ থাকে এবং তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয় না।
-
অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা দেয়।
-
-
অর্ধপরিবাহী পদার্থ:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ পরিবাহীর তুলনায় কম, তবে অপরিবাহীর তুলনায় বেশি।
-
উদাহরণ: জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।
-
তাদের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী এবং অপরিবাহীর মাঝামাঝি।
-
পরিবাহী ও অর্ধপরিবাহীর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো:
-
পরিবাহী: তাপমাত্রা বৃদ্ধি → রোধ বৃদ্ধি, তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস।
-
অর্ধপরিবাহী: তাপমাত্রা বৃদ্ধি → রোধ হ্রাস, তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি।
-
-
0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোনটি একটি শক্তিশালী এসিড?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
সাইট্রিক এসিড
C
এসিটিক এসিড
D
অক্সালিক এসিড
শক্তিশালী ও দুর্বল এসিড:
কিছু জৈব এসিড পানিতে বিযোজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) মুক্ত করে, কিন্তু সবসময় পুরোপুরি নয়। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু থেকে H⁺ মুক্ত হয় না। এই ধরনের এসিডকে দুর্বল এসিড বলা হয়।
পক্ষান্তরে, খনিজ এসিড পানিতে পুরোপুরি বিযোজিত হয়ে H⁺ মুক্ত করে। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু বিযোজিত হয়। তাই এ ধরনের এসিডকে শক্তিশালী এসিড বলা হয়।
-
তবে কিছু এসিড যেমন কার্বোনিক এসিড (H₂CO₃), যদিও জৈব নয়, তবুও দুর্বল এসিড হিসেবে বিবেচিত।
দুর্বল এসিডের উদাহরণ:
-
এসিটিক এসিড (CH₃COOH)
-
সাইট্রিক এসিড (C₆H₈O₇)
-
অক্সালিক এসিড (HOOC-COOH)
শক্তিশালী এসিডের উদাহরণ:
-
নাইট্রিক এসিড (HNO₃)
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)
-
সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)
0
Updated: 1 month ago