সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ সঞ্চালিত হয় কোন পদ্ধতিতে?
A
শোষণ
B
পরিবহন
C
বিকিরণ
D
পরিচলন
উত্তরের বিবরণ
তাপ সবসময় অধিক তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে প্রবাহিত হয়। এভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাপের স্থানান্তরকেই তাপ সঞ্চালন বলা হয়। তাপ সঞ্চালন মূলত তিনটি প্রক্রিয়ায় ঘটে।
-
পরিচলন পদ্ধতি: কোনো পদার্থের উষ্ণতর অংশের অণুগুলি তাপ গ্রহণ করে শক্তি অর্জন করে এবং হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। একই সঙ্গে উপরের ঠাণ্ডা অণুগুলি নিচে নেমে এসে তাপ গ্রহণ করে। এভাবে কণার স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে উষ্ণতা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়। তরল ও বায়বীয় পদার্থে এই প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালন ঘটে। যেমন, চুলায় রাখা পানির পাত্র ধীরে ধীরে সমভাবে গরম হয়।
-
বিকিরণ পদ্ধতি: এখানে তাপ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে তাপ আসে তা বিকিরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে। এইভাবে সঞ্চালিত তাপকে বিকীর্ণ তাপ বলা হয়।
-
পরিবহন পদ্ধতি: এ প্রক্রিয়ায় অণুগুলি স্থান পরিবর্তন করে না; বরং তারা স্পন্দনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী অণুকে তাপ সরবরাহ করে। এতে উষ্ণতর অংশ থেকে শীতল অংশে তাপ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। কঠিন পদার্থে প্রধানত পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়।

0
Updated: 6 hours ago
তাড়িতচৌম্বক বলের বাহক কণা কোনটি?
Created: 6 hours ago
A
গ্রাভিটন
B
ফোটন
C
গ্লুঅন
D
Z বোসন
মৌলিক বল হলো সেই সব বল যা অন্য কোনো বল থেকে উৎপন্ন হয় না এবং নিজেই স্বাধীন। অর্থাৎ, অন্যান্য বলগুলো এই মৌলিক বলগুলোর কোনো না কোনো রূপের প্রকাশ।
-
প্রধান মৌলিক বলগুলো হলো:
১. মহাকর্ষ বল
২. তাড়িতচৌম্বক বল (বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় বল)
৩. সবল নিউক্লিয় বল
৪. দুর্বল নিউক্লিয় বল
তাড়িতচৌম্বক বল: দুটি আহিত কণা তাদের আধানের কারণে একে অপরের ওপর যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ প্রয়োগ করে, সেটিই তাড়িতচৌম্বক বল। এই বলের বাহক কণা হলো ফোটন।
অন্য মৌলিক বলের বাহক কণাগুলো হলো:
-
মহাকর্ষ বল – বাহক কণা: গ্রাভিটন
-
দুর্বল নিউক্লিয় বল – বাহক কণা: W ও Z বোসন
-
সবল নিউক্লিয় বল – বাহক কণা: গ্লুঅন

0
Updated: 6 hours ago
নিচের কোনটি সবচেয়ে ছোট মান নির্দেশ করে?
Created: 6 hours ago
A
পিকো
B
ফেমটো
C
ন্যানো
D
মাইক্রো
- ফেমটো = 10−15 যা সবচেয়ে ছোট মান নির্দেশ করে, কারণ এর সূচক সবচেয়ে বড় ঋণাত্মক (−15)।
উপসর্গ বা গুণিতক (Prefix):
- বিজ্ঞান বা পদার্থবিজ্ঞান চর্চা করার জন্য নানা কিছু পরিমাপ করতে হয়।
- কখনো হয়তো গ্যালাক্সির দৈর্ঘ্য মাপতে হয় (6 × 1024 m), আবার কখনো একটা নিউক্লিয়াসের ব্যাসার্ধ মাপতে হয় (1 × 10-15 m); দূরত্বের মাঝে এই বিশাল পার্থক্য মাপার জন্য সব সময়েই একই ধরনের সংখ্যা ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তাই আন্তর্জাতিকভাবে কিছু SI উপসর্গ বা গুণিতক (Prefix) তৈরি করে নেওয়া হয়েছে।
- এই গুণিতক থাকার কারণে একটা ছোট উপসর্গ লিখে অনেক বড় কিংবা অনেক ছোট সংখ্যা বোঝাতে পারা যায়।
- কিছু উপসর্গ নিচের টেবিলে দেখানো হয়েছে-


0
Updated: 6 hours ago
নিম্নের কোনটি একটি শক্তিশালী এসিড?
Created: 6 hours ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
সাইট্রিক এসিড
C
এসিটিক এসিড
D
অক্সালিক এসিড
শক্তিশালী ও দুর্বল এসিড:
কিছু জৈব এসিড পানিতে বিযোজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) মুক্ত করে, কিন্তু সবসময় পুরোপুরি নয়। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু থেকে H⁺ মুক্ত হয় না। এই ধরনের এসিডকে দুর্বল এসিড বলা হয়।
পক্ষান্তরে, খনিজ এসিড পানিতে পুরোপুরি বিযোজিত হয়ে H⁺ মুক্ত করে। অর্থাৎ, এসিডের সব অণু বিযোজিত হয়। তাই এ ধরনের এসিডকে শক্তিশালী এসিড বলা হয়।
-
তবে কিছু এসিড যেমন কার্বোনিক এসিড (H₂CO₃), যদিও জৈব নয়, তবুও দুর্বল এসিড হিসেবে বিবেচিত।
দুর্বল এসিডের উদাহরণ:
-
এসিটিক এসিড (CH₃COOH)
-
সাইট্রিক এসিড (C₆H₈O₇)
-
অক্সালিক এসিড (HOOC-COOH)
শক্তিশালী এসিডের উদাহরণ:
-
নাইট্রিক এসিড (HNO₃)
-
হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl)
-
সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)

0
Updated: 6 hours ago