সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ সঞ্চালিত হয় কোন পদ্ধতিতে?
A
শোষণ
B
পরিবহন
C
বিকিরণ
D
পরিচলন
উত্তরের বিবরণ
তাপ সবসময় অধিক তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে প্রবাহিত হয়। এভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাপের স্থানান্তরকেই তাপ সঞ্চালন বলা হয়। তাপ সঞ্চালন মূলত তিনটি প্রক্রিয়ায় ঘটে।
-
পরিচলন পদ্ধতি: কোনো পদার্থের উষ্ণতর অংশের অণুগুলি তাপ গ্রহণ করে শক্তি অর্জন করে এবং হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। একই সঙ্গে উপরের ঠাণ্ডা অণুগুলি নিচে নেমে এসে তাপ গ্রহণ করে। এভাবে কণার স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে উষ্ণতা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়। তরল ও বায়বীয় পদার্থে এই প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালন ঘটে। যেমন, চুলায় রাখা পানির পাত্র ধীরে ধীরে সমভাবে গরম হয়।
-
বিকিরণ পদ্ধতি: এখানে তাপ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে তাপ আসে তা বিকিরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে। এইভাবে সঞ্চালিত তাপকে বিকীর্ণ তাপ বলা হয়।
-
পরিবহন পদ্ধতি: এ প্রক্রিয়ায় অণুগুলি স্থান পরিবর্তন করে না; বরং তারা স্পন্দনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী অণুকে তাপ সরবরাহ করে। এতে উষ্ণতর অংশ থেকে শীতল অংশে তাপ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। কঠিন পদার্থে প্রধানত পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফলকে কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
অপ্রকৃত ফল
B
গুচ্ছ ফল
C
সরল ফল
D
যৌগিক ফল
ফল হলো নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে।
ফলের প্রকারভেদ:
-
যদি শুধুমাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়, তাকে প্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আম, কাঁঠাল।
-
যদি গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে ফলে পরিণত হয়, তাকে অপ্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আপেল, চালতা।
প্রকৃত ও অপ্রকৃত ফলকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১) সরল ফল:
-
ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফল।
-
রসাল বা শুষ্ক হতে পারে।
-
ধরন:
ক) রসাল ফল: ফলত্বক পুরু ও রসাল; পাকলে ফলত্বক ফেটে যায় না। যেমন: আম, জাম, কলা।
খ) নীত ফল: ফলত্বক পাতলা; পরিপক্ক হলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায়। যেমন: শিম, ঢেঁড়স, সরিষা।
২) যৌগিক ফল:
-
একটি মঞ্জরির সম্পূর্ণ অংশ একত্র হয়ে এক ফলের সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: আনারস, কাঁঠাল।
৩) গুচ্ছ ফল:
-
একটি ফুলে অনেকগুলো গর্ভাশয় থাকে; প্রতিটি গর্ভাশয় ফলের রূপ নেয়ে একটি বোঁটার উপর গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উদাহরণ: চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরীফা।
0
Updated: 1 month ago
জীববৈচিত্র্যকে কতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
দুই
B
তিন
C
চার
D
পাঁচ
জীববৈচিত্র্য (Biodiversity):
-
সংজ্ঞা:
পৃথিবীর পরিবেশে জীব ও জড় উপাদানের সমন্বয়ে যে বিচিত্রতা বিদ্যমান, তাকে জীববৈচিত্র্য বলা হয়।-
প্রতিটি প্রজাতি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যা তাদের অন্য সব প্রজাতি থেকে আলাদা ও শনাক্তযোগ্য করে।
-
-
জীববৈচিত্র্যের স্তর:
জীববৈচিত্র্যকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে:
১. প্রজাতিগত বৈচিত্র্য (Species diversity): এক প্রজাতির মধ্যে বা বিভিন্ন প্রজাতির বৈচিত্র্য।
২. বাস্তুতান্ত্রিক বৈচিত্র্য (Ecosystem diversity): পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন জীবের সংমিশ্রণ।
৩. বংশগতীয় বৈচিত্র্য (Genetical diversity): একই প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন জেনেটিক বৈশিষ্ট্য।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
এক্সোপ্ল্যানেট বলতে কী বোঝায়?
Created: 1 month ago
A
সৌরজগতের গ্রহসমূহ
B
পৃথিবীর উপগ্রহ (চাঁদ)
C
মহাকাশে ঘুরে বেড়ানো ছোট পাথুরে বস্তু (গ্রহাণু)
D
সূর্য ছাড়া অন্য নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তনকারী গ্রহ
যেসব গ্রহ আমাদের সৌরজগতের বাইরে অন্য কোনো তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে, তাদের এক্সোপ্ল্যানেট বলা হয়।
এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet) সম্পর্কিত তথ্য:
-
এক্সোপ্ল্যানেট হলো যেকোনো গ্রহ যা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থান করে।
-
বেশিরভাগ এক্সোপ্ল্যানেট অন্য কোনো তারাকে কেন্দ্র করে ঘোরে।
-
কিছু এক্সোপ্ল্যানেট তারার সাথে যুক্ত নয়, এদেরকে বলা হয় Rogue Planet।
-
এখন পর্যন্ত প্রায় ৬,০০০টি এক্সোপ্ল্যানেট নিশ্চিতভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
ধারণা করা হয়, মহাবিশ্বে গ্রহের সংখ্যা তারার সংখ্যার চেয়েও বেশি।
-
আবিষ্কৃত এক্সোপ্ল্যানেটগুলোর বেশিরভাগই আমাদের গ্যালাক্সি Milky Way-এর একটি ছোট অঞ্চলে পাওয়া গেছে।
-
পৃথিবীর নিকটতম এক্সোপ্ল্যানেট হলো Proxima Centauri b, যা প্রায় ৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
-
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশেষভাবে এমন এক্সোপ্ল্যানেট খুঁজছেন যেগুলো “হ্যাবিটেবল জোনে” থাকে, অর্থাৎ তারার চারপাশের এমন অঞ্চল যেখানে তরল পানি থাকতে পারে, কারণ এগুলোতে জীবনের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
0
Updated: 1 month ago