মৃৎক্ষার ধাতু পর্যায় সারণির কোন গ্রুপে অবস্থিত?
A
গ্রুপ-1
B
গ্রুপ-2
C
গ্রুপ-11
D
গ্রুপ-18
উত্তরের বিবরণ
পর্যায় সারণিতে বিভিন্ন গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলো তাদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু ও মুদ্রা ধাতু বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক্ষার ধাতু (Alkali Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-1 এ অবস্থিত মৌলগুলো (হাইড্রোজেন ব্যতীত) ক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Li, Na, K, Rb।
-
এরা পানির সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস ও ক্ষার উৎপন্ন করে।
-
প্রতিটি মৌল একটি ইলেকট্রন দান করে ধনাত্মক একযোজী আয়ন গঠন করে।
-
প্রধানত আয়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যৌগ তৈরি করে।
মৃৎক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-2 এর মৌলগুলো মৃৎক্ষার ধাতু।
-
উদাহরণ: Be, Mg, Ca, Sr।
-
এরা ক্ষার ধাতুর মতোই তড়িৎ ধনাত্মক, তবে দুটি ইলেকট্রন দান করে দ্বিধনাত্মক আয়ন গঠন করে।
-
অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে অক্সাইড যৌগ তৈরি করে, যা পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ উৎপন্ন করে।
-
এদের অধিকাংশ যৌগ মাটিতে বিদ্যমান, তাই নামকরণ হয়েছে মৃৎক্ষার ধাতু।
মুদ্রা ধাতু (Coinage Metal):
-
পর্যায় সারণির গ্রুপ-11 এর তিনটি মৌলকে মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
-
উদাহরণ: কপার (Cu), রূপা (Ag), সোনা (Au)।
-
এদের ধাতব উজ্জ্বলতা অত্যন্ত চমৎকার।
-
ইতিহাসে যেমন, আজও বাজারে মুদ্রা প্রচলিত আছে, তবে সেগুলো প্রায়ই সংকর ধাতু দ্বারা তৈরি হয়।
0
Updated: 1 month ago
n-p-n ট্রানজিস্টরে মাঝখানে কোন ধরনের অপদ্রব্য দিয়ে ডোপিং করা হয়?
Created: 1 month ago
A
ধাতব
B
পাঁচযোজী
C
তিনযোজী
D
নিরোধক
ট্রানজিস্টর (Transistor) হলো এক বিশেষ ধরনের অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সংকেত পরিবর্ধন, সুইচিং এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত তিন স্তরের অর্ধপরিবাহী পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত।
ট্রানজিস্টরের গঠন:
-
ট্রানজিস্টরে দুটি চওড়া স্তরের মধ্যে একটি সরু স্তর যুক্ত থাকে।
-
এর গঠন হতে পারে:
-
p-n-p ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে n-টাইপ স্তর গঠিত হয়।
-
এটি গঠিত হয় তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) এবং পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
n-p-n ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে n-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
এটি গঠিত হয় পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) এবং তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
বিশেষ দিক:
-
একটি ট্রানজিস্টরকে অনেক সময় দুটি ডায়োডকে পিঠাপিঠি (Back to back) যুক্ত বলে ধরা হয়।
-
ট্রানজিস্টরের মাঝের সরু অংশকে বলে বেস (Base) বা ভূমি।
-
প্রান্তের যে অংশ তুলনামূলকভাবে সরু ও বেশি অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে এমিটার (Emitter) বা নিঃসারক।
-
অপর প্রান্তের স্তর তুলনামূলক চওড়া এবং বেসের সমান অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে কালেক্টর (Collector) বা সংগ্রাহক।
0
Updated: 1 month ago
চাপের একক কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ওয়াট
B
জুল
C
নিউটন
D
প্যাসকেল
চাপ হলো একক ক্ষেত্রফলে কোনো বস্তুর তলের ওপর লম্বভাবে প্রয়োগকৃত বলের মান। এটি সমভাবে বিতরণিত হয়।
-
গজ চাপ: পারিপার্শ্বিক চাপের তুলনায় যে অতিরিক্ত চাপ উৎপন্ন হয়, তাকে গজ চাপ বলা হয়।
-
চাপের একক হলো প্যাসকেল (Pa)।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এককসমূহ:
-
কাজ/শক্তি/তাপের একক: জুল (J)
-
বল/ওজনের একক: নিউটন (N)
-
বৈদ্যুতিক ক্ষমতার একক: ওয়াট (W)
0
Updated: 1 month ago
ল্যাকটিক এসিড নিচের কোনটিতে পাওয়া যায়?
Created: 1 month ago
A
দই
B
পালংশাক
C
লেবু
D
ভিনেগার
দই তৈরির প্রক্রিয়ায় ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক এসিডে রূপান্তরিত করে, যা দইয়ের টক স্বাদ এবং ঘন গঠন নিশ্চিত করে।
-
ল্যাকটিক এসিড:
-
ল্যাকটিক এসিড একটি জৈব যৌগ, যা কার্বোক্সিলিক এসিড হিসেবে পরিচিত। এর রাসায়নিক সূত্র হলো C₃H₆O₃।
-
সাধারণত এটি দুধের শর্করা (ল্যাকটোজ) এবং অন্যান্য শর্করা থেকে গাঁজন (fermentation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
-
দই এবং অন্যান্য গাঁজনকৃত দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে এটি ব্যবহৃত হয়, খাদ্যকে জমাট বাঁধাতে এবং স্বাদ তৈরি করতে সহায়তা করে।
-
তীব্র শারীরিক পরিশ্রমের সময়, যখন শরীরে অক্সিজেন সীমিত থাকে, গ্লুকোজ ল্যাকটিক এসিডে রূপান্তরিত হয়ে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে।
-
ল্যাকটিক এসিড অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বাড়ায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধ করে, ফলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য:
-
পালংশাক → অক্সালিক এসিড
-
লেবু → সাইট্রিক এসিড
-
ভিনেগার → অ্যাসেটিক এসিড
0
Updated: 1 month ago