উদ্ভিদ কোষে কোন অঙ্গাণুটি থাকে না?
A
কোষপ্রাচীর
B
প্লাস্টিড
C
সেন্ট্রোসোম
D
কোষগহ্বর
উত্তরের বিবরণ
উদ্ভিদ কোষ প্রাণী কোষের তুলনায় কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করে। এগুলো কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড, খাদ্য সঞ্চয় ও অঙ্গাণুর উপস্থিতি ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে চিহ্নিত করা যায়।
উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য:
-
উদ্ভিদ কোষের চারদিকে সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত কঠিন কোষপ্রাচীর থাকে এবং এর নিচে থাকে প্লাজমা ঝিল্লী।
-
অধিকাংশ উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড থাকে। তবে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ায় প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
-
উদ্ভিদ কোষে খাদ্যসঞ্চয় প্রধানত শ্বেতসার (স্টার্চ) আকারে হয়।
-
সাধারণত উদ্ভিদ কোষে সেন্ট্রোসোম থাকে না, তবে কিছু শৈবাল, মস ও ছত্রাকে সেন্ট্রোসোম দেখা যায়।
-
এ কোষে সাধারণত বড় আকারের এক বা একাধিক স্থায়ী কোষগহ্বর (ভ্যাকুয়োল) থাকে।
-
পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ কোষের আকৃতি সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে।
-
প্লাজমা পর্দায় মাইক্রোভিলাই অনুপস্থিত।
-
নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের পরিধি বরাবর অবস্থান করে।
-
কেবলমাত্র ভাজক কোষেই লাইসোসোম থাকে।
-
উদ্ভিদ কোষে স্নেহ পদার্থ বা লিপিড তরল অবস্থায় সঞ্চিত হয়।

0
Updated: 7 hours ago
কোন স্থানে বস্তুর ওজন শূন্য হয়?
Created: 6 hours ago
A
মেরু অঞ্চলে
B
বিষুবরেখায়
C
পৃথিবীর কেন্দ্রে
D
সমুদ্রপৃষ্ঠে
বস্তুর ওজন বলতে বোঝায় পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণের ফলে কোনো বস্তুর ওপর যে বল ক্রিয়া করে। এটি মূলত অভিকর্ষজ ত্বরণের মানের ওপর নির্ভরশীল এবং পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ভিন্ন হয়ে থাকে।
-
বস্তুর ওজন হলো পৃথিবীর কেন্দ্রের প্রতি আকর্ষণজনিত বল।
-
এটি সরাসরি অভিকর্ষজ ত্বরণের ওপর নির্ভরশীল।
-
যেখানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বেশি, সেখানে বস্তুর ওজনও বেশি হয়।
-
মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন সর্বাধিক।
-
মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণ বিষুব অঞ্চলের তুলনায় বেশি হওয়ায় ওজনও বেশি হয়।
-
পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য হওয়ায় সেখানে বস্তুর ওজনও শূন্য।

0
Updated: 6 hours ago
জারণ প্রক্রিয়ায় কী ঘটে?
Created: 7 hours ago
A
প্রোটনের দান
B
ইলেকট্রনের গ্রহণ
C
নিউট্রনের দান
D
ইলেকট্রনের দান
রসায়নে বিক্রিয়াগুলিকে সাধারণভাবে রেডক্স বিক্রিয়া এবং নন-রেডক্স বিক্রিয়া– এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদের মূল পার্থক্য হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে কি না।
রেডক্স বিক্রিয়া:
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ও গ্রহণ ঘটে।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে:
-
Red = Reduction (বিজারণ)
-
Ox = Oxidation (জারণ)
-
-
সুতরাং, Redox অর্থ জারণ-বিজারণ।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।
-
জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ঘটে।
-
এসব বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে।
-
সকল জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
-
ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধরন:
-
সংযোজন বিক্রিয়া
-
বিয়োজন বিক্রিয়া
-
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
-
দহন বিক্রিয়া
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়া:
-
এ ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সময় মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের দান বা গ্রহণ ঘটে না।
-
যখন এক বা একাধিক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় কিন্তু তাতে কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় না, তখন তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
-
এর ফলে বিক্রিয়া শেষে কোনো বিক্রিয়ক বা উৎপাদের পরমাণুর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়াকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
প্রশমন বিক্রিয়া
-
অধঃক্ষেপ বিক্রিয়া
-

0
Updated: 7 hours ago
নিচের কোনটি সুনামি সৃষ্টি করতে পারে?
Created: 6 hours ago
A
ভূমিকম্প
B
বন্যা
C
ঘূর্ণিঝড়
D
বজ্রপাত
সুনামি শব্দটি এসেছে জাপানি ভাষা থেকে, যেখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ। অর্থাৎ সুনামি বলতে বোঝায় বন্দরের ঢেউ। এটি এক ধরনের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
-
সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনার কারণে সুনামি সৃষ্টি হতে পারে।
-
এই দুর্যোগ কেবল সাগরে সংঘটিত হয়।
-
সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প হলে সুনামি তৈরি হয়।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইতিহাসের ভয়ঙ্কর একটি সুনামি ঘটে।
-
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি ভারত মহাসাগরের তলদেশে ইউরেশিয়ান প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে একটি মারাত্মক ভূমিকম্প হয়েছিল।
-
ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।
-
এই সুনামিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, যার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশেই নিহত হয় প্রায় এক লাখ মানুষ।
-
সুনামি অগভীর পানির দিকে আসতে থাকলে ধীরে ধীরে তার শক্তি কমতে থাকে।
-
বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানি বিস্তৃত থাকায় বাংলাদেশ সুনামির বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়।

0
Updated: 6 hours ago