উদ্ভিদ কোষে কোন অঙ্গাণুটি থাকে না?
A
কোষপ্রাচীর
B
প্লাস্টিড
C
সেন্ট্রোসোম
D
কোষগহ্বর
উত্তরের বিবরণ
উদ্ভিদ কোষ প্রাণী কোষের তুলনায় কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করে। এগুলো কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড, খাদ্য সঞ্চয় ও অঙ্গাণুর উপস্থিতি ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে চিহ্নিত করা যায়।
উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য:
-
উদ্ভিদ কোষের চারদিকে সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত কঠিন কোষপ্রাচীর থাকে এবং এর নিচে থাকে প্লাজমা ঝিল্লী।
-
অধিকাংশ উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড থাকে। তবে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ায় প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
-
উদ্ভিদ কোষে খাদ্যসঞ্চয় প্রধানত শ্বেতসার (স্টার্চ) আকারে হয়।
-
সাধারণত উদ্ভিদ কোষে সেন্ট্রোসোম থাকে না, তবে কিছু শৈবাল, মস ও ছত্রাকে সেন্ট্রোসোম দেখা যায়।
-
এ কোষে সাধারণত বড় আকারের এক বা একাধিক স্থায়ী কোষগহ্বর (ভ্যাকুয়োল) থাকে।
-
পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ কোষের আকৃতি সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে।
-
প্লাজমা পর্দায় মাইক্রোভিলাই অনুপস্থিত।
-
নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের পরিধি বরাবর অবস্থান করে।
-
কেবলমাত্র ভাজক কোষেই লাইসোসোম থাকে।
-
উদ্ভিদ কোষে স্নেহ পদার্থ বা লিপিড তরল অবস্থায় সঞ্চিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
জলাতঙ্ক রোগের ভাইরাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অ্যাডিনো ভাইরাস
B
ভেরিওলা ভাইরাস
C
র্যাবিস ভাইরাস
D
ফ্ল্যাভি ভাইরাস
জলাতঙ্ক রোগের কারণ হলো র্যাবিস ভাইরাস।
ভাইরাস হলো এমন একটি অতি ক্ষুদ্র জীবাণু যা প্রাণী ও উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ভাইরাস আক্রমণের ফলে মানুষের মধ্যে অন্ধত্ব, পঙ্গুত্ব এবং অকাল মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। যদিও স্বল্প পরিসরে কিছু ভাইরাস মানুষের জন্য উপকারও করে, তবুও সাধারণভাবে ভাইরাস মানুষের জন্য অপকারিতাই বেশি করে।
ভাইরাসের অপকারিতা:
-
বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস মানুষের ও অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে নানা রোগ সৃষ্টি করে।
-
এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের নাম, পোষক এবং ভাইরাসের নাম হলো-
(যদি তুমি চাইলে আমি এই রোগসমূহের তালিকাও সাজিয়ে দিতে পারি)।
উৎস : উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
সবচেয়ে হালকা ধাতু কোনটি?
Created: 1 month ago
A
লিথিয়াম
B
প্লাটিনাম
C
টাংস্টেন
D
হীরক
ধাতু:
-
ধাতু দেখতে চকচকে।
-
ধাতু আঘাত করলে টুনটুন শব্দ করে।
-
ধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
-
সবচেয়ে হালকা ধাতু হলো লিথিয়াম।
বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত ধাতু ও পদার্থ:
-
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে শক্ত বা কঠিন পদার্থ হলো হীরক।
-
সবচেয়ে ভারী মূল্যবান ধাতু হলো প্লাটিনাম।
-
সর্বনিম্ন গলনাঙ্কের ধাতু হলো পারদ।
-
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে শক্ত ধাতু হলো টাংস্টেন।
-
প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে ভারি ধাতু হলো ইউরেনিয়াম।
0
Updated: 1 month ago
ইউরেনিয়ামে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে কোন শক্তির রূপান্তর ঘটে?
Created: 1 month ago
A
শব্দ শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি
B
তাপ শক্তি → চৌম্বক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি → পারমাণবিক শক্তি
D
রাসায়নিক শক্তি → তাপ শক্তি
প্রকৃতিতে নানা প্রকার শক্তি বিদ্যমান এবং এ শক্তিগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এক ধরনের শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে, একেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়। নিচে শক্তির রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে তাপ ও আলোক শক্তি: বৈদ্যুতিক বাল্বের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ফিলামেন্টে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তা উত্তপ্ত হয় এবং আলো নির্গত করে। এখানে বিদ্যুৎ শক্তি → তাপ শক্তি → আলোক শক্তি।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: বৈদ্যুতিক পাখা চলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
রাসায়নিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। এটি রাসায়নিক শক্তির তাপ শক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে শব্দ শক্তি: বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বাজলে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে চুম্বক শক্তি: লোহার উপর তামার তার পেঁচিয়ে তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে লোহাটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানি বাষ্পে পরিণত করা হয়। এ বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে ডায়নামো চালায় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
-
আলোক শক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি: ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
যান্ত্রিক শক্তি থেকে পারমাণবিক শক্তি: ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস নিউট্রন দিয়ে আঘাত করলে তা ভেঙে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করে।
অতিরিক্ত তথ্য: দৈনন্দিন জীবনে শক্তির রূপান্তর খুবই সাধারণ ঘটনা। যেমন, খাবারের রাসায়নিক শক্তি আমাদের শরীরে যান্ত্রিক ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, আবার সৌরশক্তি উদ্ভিদের মধ্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে রূপ নেয়।
0
Updated: 1 month ago