n-p-n ট্রানজিস্টরে মাঝখানে কোন ধরনের অপদ্রব্য দিয়ে ডোপিং করা হয়?
A
ধাতব
B
পাঁচযোজী
C
তিনযোজী
D
নিরোধক
উত্তরের বিবরণ
ট্রানজিস্টর (Transistor) হলো এক বিশেষ ধরনের অর্ধপরিবাহী যন্ত্র, যা সংকেত পরিবর্ধন, সুইচিং এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত তিন স্তরের অর্ধপরিবাহী পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত।
ট্রানজিস্টরের গঠন:
-
ট্রানজিস্টরে দুটি চওড়া স্তরের মধ্যে একটি সরু স্তর যুক্ত থাকে।
-
এর গঠন হতে পারে:
-
p-n-p ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে n-টাইপ স্তর গঠিত হয়।
-
এটি গঠিত হয় তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) এবং পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
n-p-n ট্রানজিস্টর:
-
একটি অর্ধপরিবাহী খণ্ডের দুই প্রান্তে চওড়া করে n-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
মাঝখানে সরু করে p-টাইপ স্তর তৈরি করা হয়।
-
এটি গঠিত হয় পাঁচযোজী অপদ্রব্য (n-টাইপ) এবং তিনযোজী অপদ্রব্য (p-টাইপ) ডোপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
-
-
বিশেষ দিক:
-
একটি ট্রানজিস্টরকে অনেক সময় দুটি ডায়োডকে পিঠাপিঠি (Back to back) যুক্ত বলে ধরা হয়।
-
ট্রানজিস্টরের মাঝের সরু অংশকে বলে বেস (Base) বা ভূমি।
-
প্রান্তের যে অংশ তুলনামূলকভাবে সরু ও বেশি অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে এমিটার (Emitter) বা নিঃসারক।
-
অপর প্রান্তের স্তর তুলনামূলক চওড়া এবং বেসের সমান অপদ্রব্যযুক্ত, তাকে বলে কালেক্টর (Collector) বা সংগ্রাহক।

0
Updated: 7 hours ago
জারণ প্রক্রিয়ায় কী ঘটে?
Created: 7 hours ago
A
প্রোটনের দান
B
ইলেকট্রনের গ্রহণ
C
নিউট্রনের দান
D
ইলেকট্রনের দান
রসায়নে বিক্রিয়াগুলিকে সাধারণভাবে রেডক্স বিক্রিয়া এবং নন-রেডক্স বিক্রিয়া– এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদের মূল পার্থক্য হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে কি না।
রেডক্স বিক্রিয়া:
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ও গ্রহণ ঘটে।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে:
-
Red = Reduction (বিজারণ)
-
Ox = Oxidation (জারণ)
-
-
সুতরাং, Redox অর্থ জারণ-বিজারণ।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।
-
জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ঘটে।
-
এসব বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে।
-
সকল জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
-
ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধরন:
-
সংযোজন বিক্রিয়া
-
বিয়োজন বিক্রিয়া
-
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
-
দহন বিক্রিয়া
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়া:
-
এ ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সময় মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের দান বা গ্রহণ ঘটে না।
-
যখন এক বা একাধিক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় কিন্তু তাতে কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় না, তখন তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
-
এর ফলে বিক্রিয়া শেষে কোনো বিক্রিয়ক বা উৎপাদের পরমাণুর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়াকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
প্রশমন বিক্রিয়া
-
অধঃক্ষেপ বিক্রিয়া
-

0
Updated: 7 hours ago
সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ সঞ্চালিত হয় কোন পদ্ধতিতে?
Created: 6 hours ago
A
শোষণ
B
পরিবহন
C
বিকিরণ
D
পরিচলন
তাপ সবসময় অধিক তাপমাত্রার স্থান থেকে নিম্ন তাপমাত্রার স্থানে প্রবাহিত হয়। এভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাপের স্থানান্তরকেই তাপ সঞ্চালন বলা হয়। তাপ সঞ্চালন মূলত তিনটি প্রক্রিয়ায় ঘটে।
-
পরিচলন পদ্ধতি: কোনো পদার্থের উষ্ণতর অংশের অণুগুলি তাপ গ্রহণ করে শক্তি অর্জন করে এবং হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। একই সঙ্গে উপরের ঠাণ্ডা অণুগুলি নিচে নেমে এসে তাপ গ্রহণ করে। এভাবে কণার স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে উষ্ণতা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সঞ্চালিত হয়। তরল ও বায়বীয় পদার্থে এই প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালন ঘটে। যেমন, চুলায় রাখা পানির পাত্র ধীরে ধীরে সমভাবে গরম হয়।
-
বিকিরণ পদ্ধতি: এখানে তাপ কোনো মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ স্থান থেকে শীতল স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে তাপ আসে তা বিকিরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসে। এইভাবে সঞ্চালিত তাপকে বিকীর্ণ তাপ বলা হয়।
-
পরিবহন পদ্ধতি: এ প্রক্রিয়ায় অণুগুলি স্থান পরিবর্তন করে না; বরং তারা স্পন্দনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী অণুকে তাপ সরবরাহ করে। এতে উষ্ণতর অংশ থেকে শীতল অংশে তাপ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। কঠিন পদার্থে প্রধানত পরিবহন পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়।

0
Updated: 6 hours ago
একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফলকে কী বলা হয়?
Created: 6 hours ago
A
অপ্রকৃত ফল
B
গুচ্ছ ফল
C
সরল ফল
D
যৌগিক ফল
ফল হলো নিষিক্তকরণের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে।
ফলের প্রকারভেদ:
-
যদি শুধুমাত্র গর্ভাশয় ফলে পরিণত হয়, তাকে প্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আম, কাঁঠাল।
-
যদি গর্ভাশয় ছাড়া ফুলের অন্যান্য অংশ পুষ্ট হয়ে ফলে পরিণত হয়, তাকে অপ্রকৃত ফল বলা হয়, যেমন: আপেল, চালতা।
প্রকৃত ও অপ্রকৃত ফলকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১) সরল ফল:
-
ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে উৎপন্ন ফল।
-
রসাল বা শুষ্ক হতে পারে।
-
ধরন:
ক) রসাল ফল: ফলত্বক পুরু ও রসাল; পাকলে ফলত্বক ফেটে যায় না। যেমন: আম, জাম, কলা।
খ) নীত ফল: ফলত্বক পাতলা; পরিপক্ক হলে ত্বক শুকিয়ে ফেটে যায়। যেমন: শিম, ঢেঁড়স, সরিষা।
২) যৌগিক ফল:
-
একটি মঞ্জরির সম্পূর্ণ অংশ একত্র হয়ে এক ফলের সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: আনারস, কাঁঠাল।
৩) গুচ্ছ ফল:
-
একটি ফুলে অনেকগুলো গর্ভাশয় থাকে; প্রতিটি গর্ভাশয় ফলের রূপ নেয়ে একটি বোঁটার উপর গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।
-
উদাহরণ: চম্পা, নয়নতারা, আকন্দ, আতা, শরীফা।

0
Updated: 6 hours ago