জারণ প্রক্রিয়ায় কী ঘটে?
A
প্রোটনের দান
B
ইলেকট্রনের গ্রহণ
C
নিউট্রনের দান
D
ইলেকট্রনের দান
উত্তরের বিবরণ
রসায়নে বিক্রিয়াগুলিকে সাধারণভাবে রেডক্স বিক্রিয়া এবং নন-রেডক্স বিক্রিয়া– এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদের মূল পার্থক্য হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে কি না।
রেডক্স বিক্রিয়া:
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ও গ্রহণ ঘটে।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে:
-
Red = Reduction (বিজারণ)
-
Ox = Oxidation (জারণ)
-
-
সুতরাং, Redox অর্থ জারণ-বিজারণ।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।
-
জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ঘটে।
-
এসব বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে।
-
সকল জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
-
ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধরন:
-
সংযোজন বিক্রিয়া
-
বিয়োজন বিক্রিয়া
-
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
-
দহন বিক্রিয়া
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়া:
-
এ ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সময় মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের দান বা গ্রহণ ঘটে না।
-
যখন এক বা একাধিক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় কিন্তু তাতে কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় না, তখন তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
-
এর ফলে বিক্রিয়া শেষে কোনো বিক্রিয়ক বা উৎপাদের পরমাণুর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়াকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
প্রশমন বিক্রিয়া
-
অধঃক্ষেপ বিক্রিয়া
-

0
Updated: 7 hours ago
নিচের কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
Created: 6 hours ago
A
বায়ু
B
পানি
C
লোহা
D
ভ্যাকুয়াম
শব্দের বেগের পরিবর্তন:
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, আলোর দ্রুতি শূন্যস্থানে সবসময় 3×10⁸ m/s। অন্যদিকে, 0°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
-
তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করলেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
হিসাব অনুযায়ী, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s বৃদ্ধি পায়।
-
মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতি পরিবর্তিত হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক, শব্দের দ্রুতি তত বেশি।
-
উদাহরণ:
-
বায়ুতে: 332 m/s
-
পানিতে: 1450 m/s
-
লোহায়: 5220 m/s
-
-
-
বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থে বেশি এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি।
-
বায়ু চাপের পরিবর্তন শব্দের বেগে প্রভাব ফেলে না।

0
Updated: 6 hours ago
অর্ধপরিবাহীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে তড়িৎ প্রবাহের ক্ষমতা-
Created: 6 hours ago
A
হ্রাস পায়
B
অপরিবর্তিত থাকে
C
বৃদ্ধি পায়
D
কোনোটিই নয়
পরিবাহী, অপরিবাহী ও অর্ধপরিবাহী পদার্থ
পরিবাহী, অপরিবাহী এবং অর্ধপরিবাহী পদার্থের মধ্যে মূল পার্থক্য তাদের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা এবং তাপমাত্রার ওপর প্রতিক্রিয়া।
-
পরিবাহী পদার্থ:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান সহজে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের পরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: রূপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।
-
মূলত সব ধাতব পদার্থ পরিবাহী।
-
আধান প্রদান করলে তা সমস্ত পরিবাহীতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সহজেই তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয়।
-
পরিবাহী তড়িৎ প্রবাহে প্রায় কোনো বাধা দেয় না।
-
তাপ প্রয়োগ করলে তড়িৎ প্রবাহে বাধা বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে রোধ বৃদ্ধি পায়।
-
-
অপরিবাহী পদার্থ:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে আধান প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের অপরিবাহী বলা হয়।
-
উদাহরণ: কাঁচ, কাঠ, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
মূলত অধিকাংশ অধাতব পদার্থ অপরিবাহী।
-
আধান প্রদান করলে তা যেখানে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আবদ্ধ থাকে এবং তড়িৎ প্রবাহ সৃষ্টি হয় না।
-
অপরিবাহী পদার্থ তড়িৎ প্রবাহে বাধা দেয়।
-
-
অর্ধপরিবাহী পদার্থ:
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ পরিবাহীর তুলনায় কম, তবে অপরিবাহীর তুলনায় বেশি।
-
উদাহরণ: জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি।
-
তাদের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা পরিবাহী এবং অপরিবাহীর মাঝামাঝি।
-
পরিবাহী ও অর্ধপরিবাহীর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো:
-
পরিবাহী: তাপমাত্রা বৃদ্ধি → রোধ বৃদ্ধি, তড়িৎ প্রবাহ হ্রাস।
-
অর্ধপরিবাহী: তাপমাত্রা বৃদ্ধি → রোধ হ্রাস, তড়িৎ প্রবাহ বৃদ্ধি।
-
-

0
Updated: 6 hours ago
পরমাণুর কেন্দ্রে কোন কণিকাগুলো থাকে?
Created: 6 hours ago
A
প্রোটন ও নিউট্রন
B
ইলেকট্রন ও প্রোটন
C
ইলেকট্রন ও নিউট্রন
D
ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন
মৌলিক কণিকা
যে সূক্ষ্ম কণিকাগুলি দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়। প্রতিটি পরমাণুতে তিনটি মৌলিক কণিকা থাকে:
-
ইলেকট্রন
-
প্রোটন
-
নিউট্রন
পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস থাকে, এবং নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
ইলেকট্রন:
-
পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা।
-
সকল মৌলের পরমাণুর সাধারণ উপাদান।
-
হাইড্রোজেন পরমাণুর তুলনায় প্রায় ১৮৪০ গুণ হালকা।
-
একক ঋণাত্মক তড়িৎধর্মী কণা।
প্রোটন:
-
সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক কণা পাওয়া যায়, তাকে প্রোটন বলা হয়।
-
ভর প্রায় হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের সমান।
নিউট্রন:
-
আধানহীন বা চার্জ-নিরপেক্ষ কণা।
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক আবিষ্কার করেন।
-
ভর প্রায় প্রোটনের সমান।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান।

0
Updated: 6 hours ago