জারণ প্রক্রিয়ায় কী ঘটে?
A
প্রোটনের দান
B
ইলেকট্রনের গ্রহণ
C
নিউট্রনের দান
D
ইলেকট্রনের দান
উত্তরের বিবরণ
রসায়নে বিক্রিয়াগুলিকে সাধারণভাবে রেডক্স বিক্রিয়া এবং নন-রেডক্স বিক্রিয়া– এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদের মূল পার্থক্য হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে কি না।
রেডক্স বিক্রিয়া:
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ও গ্রহণ ঘটে।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে:
-
Red = Reduction (বিজারণ)
-
Ox = Oxidation (জারণ)
-
-
সুতরাং, Redox অর্থ জারণ-বিজারণ।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।
-
জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ঘটে।
-
এসব বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে।
-
সকল জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
-
ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধরন:
-
সংযোজন বিক্রিয়া
-
বিয়োজন বিক্রিয়া
-
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
-
দহন বিক্রিয়া
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়া:
-
এ ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সময় মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের দান বা গ্রহণ ঘটে না।
-
যখন এক বা একাধিক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় কিন্তু তাতে কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় না, তখন তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
-
এর ফলে বিক্রিয়া শেষে কোনো বিক্রিয়ক বা উৎপাদের পরমাণুর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়াকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
প্রশমন বিক্রিয়া
-
অধঃক্ষেপ বিক্রিয়া
-
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন কণিকা বৈদ্যুতিকভাবে নিরপেক্ষ বা চার্জবিহীন?
Created: 1 month ago
A
প্রোটন
B
ইলেকট্রন
C
নিউট্রন
D
আলফা কণা
নিউট্রন হলো একটি নিরপেক্ষ কণিকা, যা কোনো ধনাত্মক বা ঋণাত্মক চার্জ বহন করে না। এটি একমাত্র চার্জবিহীন কণিকা।
মৌলিক কণিকা:
-
যে সব সূক্ষ্ম কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়।
-
পরমাণুর মধ্যে তিনটি মৌলিক কণিকা থাকে: ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন।
নিউট্রন সম্পর্কিত তথ্য:
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক নিউট্রন আবিষ্কার করেন।
-
নিউট্রন আধানহীন বা চার্জ নিরপেক্ষ কণা।
-
এর ভর প্রায় প্রোটনের সমান।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন বিদ্যমান।
-
নিউট্রনের প্রতীক: n
-
নিউট্রনের আসল ভর: 1.675×10⁻²⁴ g
-
আপেক্ষিক আধান: শূন্য
অন্যান্য কণিকা:
-
প্রোটন (ক): ধনাত্মক (+) চার্জযুক্ত কণিকা।
-
ইলেকট্রন (খ): ঋণাত্মক (–) চার্জযুক্ত কণিকা।
-
আলফা কণা (ঘ): ২টি প্রোটন ও ২টি নিউট্রন নিয়ে গঠিত, তাই নিট চার্জ +2।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
বায়ু
B
পানি
C
লোহা
D
ভ্যাকুয়াম
শব্দের বেগের পরিবর্তন:
পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, আলোর দ্রুতি শূন্যস্থানে সবসময় 3×10⁸ m/s। অন্যদিকে, 0°C বা 273 K তাপমাত্রা এবং প্রমাণ বায়ুচাপে, শুষ্ক বাতাসে শব্দের দ্রুতি 332 m/s।
-
তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি করলেও শব্দের দ্রুতি বেড়ে যায়।
-
হিসাব অনুযায়ী, প্রতি 1°C বা 1 K তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে শব্দের দ্রুতি প্রায় 0.6 m/s বৃদ্ধি পায়।
-
মাধ্যম ভেদে শব্দের দ্রুতি পরিবর্তিত হয়। মাধ্যম যত ঘন ও স্থিতিস্থাপক, শব্দের দ্রুতি তত বেশি।
-
উদাহরণ:
-
বায়ুতে: 332 m/s
-
পানিতে: 1450 m/s
-
লোহায়: 5220 m/s
-
-
-
বায়বীয় পদার্থে শব্দের দ্রুতি সবচেয়ে কম, তরল পদার্থে বেশি এবং কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি।
-
বায়ু চাপের পরিবর্তন শব্দের বেগে প্রভাব ফেলে না।
0
Updated: 1 month ago
উদ্ভিদ কোষে কোন অঙ্গাণুটি থাকে না?
Created: 1 month ago
A
কোষপ্রাচীর
B
প্লাস্টিড
C
সেন্ট্রোসোম
D
কোষগহ্বর
উদ্ভিদ কোষ প্রাণী কোষের তুলনায় কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বহন করে। এগুলো কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড, খাদ্য সঞ্চয় ও অঙ্গাণুর উপস্থিতি ইত্যাদির মাধ্যমে সহজে চিহ্নিত করা যায়।
উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য:
-
উদ্ভিদ কোষের চারদিকে সেলুলোজ দ্বারা নির্মিত কঠিন কোষপ্রাচীর থাকে এবং এর নিচে থাকে প্লাজমা ঝিল্লী।
-
অধিকাংশ উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড থাকে। তবে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ায় প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
-
উদ্ভিদ কোষে খাদ্যসঞ্চয় প্রধানত শ্বেতসার (স্টার্চ) আকারে হয়।
-
সাধারণত উদ্ভিদ কোষে সেন্ট্রোসোম থাকে না, তবে কিছু শৈবাল, মস ও ছত্রাকে সেন্ট্রোসোম দেখা যায়।
-
এ কোষে সাধারণত বড় আকারের এক বা একাধিক স্থায়ী কোষগহ্বর (ভ্যাকুয়োল) থাকে।
-
পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ কোষের আকৃতি সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে।
-
প্লাজমা পর্দায় মাইক্রোভিলাই অনুপস্থিত।
-
নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের পরিধি বরাবর অবস্থান করে।
-
কেবলমাত্র ভাজক কোষেই লাইসোসোম থাকে।
-
উদ্ভিদ কোষে স্নেহ পদার্থ বা লিপিড তরল অবস্থায় সঞ্চিত হয়।
0
Updated: 1 month ago