'ত্বরিত' এর বিপরীত শব্দ কোনটি?
A
অগ্রাহ্য
B
জলদি
C
শ্লথ
D
বিরত
উত্তরের বিবরণ
ত্বরিত শব্দের বিপরীত হলো শ্লথ।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিপরীত শব্দ:
-
গ্রহণ = বর্জন
-
গ্রাহ্য = অগ্রাহ্য
-
অনুরক্ত = বিরক্ত
-
অনুমেয় = অননুমেয়
-
নিয়ত = বিরত
-
প্রবিষ্ট = প্রস্থিত
উৎস:

0
Updated: 10 hours ago
সাধারণ পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
পহেলা
B
দ্বিতীয়া
C
একত্রিশে
D
সোয়া
পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ (Ordinal Numbers)
বাংলা ভাষায় পূরণবাচক সংখ্যা শব্দ তিন প্রকার:
১. সাধারণ পূরণবাচক
-
সংজ্ঞা: ক্রমবাচক সংখ্যার অবস্থান বা পর্যায় নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ইত্যাদি।
-
সংক্ষিপ্ত রূপ: ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম ইত্যাদি।
-
১১–১৮ পর্যন্ত পূর্ণ ও সংক্ষিপ্ত রূপ:
-
১১: একাদশ (১১শ) / এগারোতম (১১তম)
-
১২: দ্বাদশ (১২শ) / বারোতম (১২তম)
-
১৩: ত্রয়োদশ (১৩শ) / তেরোতম (১৩তম) …
-
-
১৯–৯৯ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত রূপ: শুধু ‘তম’ প্রত্যয় যোগ।
-
উদাহরণ: উনিশতম (১৯তম), বিশতম (২০তম), একুশতম (২১তম), আটাশতম (২৮তম), নিরানব্বইতম (৯৯তম)
-
-
নারীবাচক রূপ:
-
প্রথমা (১মা), দ্বিতীয়া (২য়া), তৃতীয়া (৩য়া), চতুর্থী (৪র্থী), পঞ্চমী (৫মী), ষষ্ঠী (৬ষ্ঠী), … একাদশী (১১শী), দ্বাদশী (১২শী) ইত্যাদি
-
২. তারিখ পূরণবাচক
-
ব্যবহার: বাংলা তারিখ নির্দেশে বিশেষ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ:
-
পয়লা/পহেলা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছয়ই, সাতই, আটই …
-
ত্রিশে, একত্রিশে ইত্যাদি
-
৩. ভগ্নাংশ পূরণবাচক
-
ব্যবহার: পূর্ণসংখ্যার থেকে খানিকটা কম বা বেশি বোঝাতে।
-
উদাহরণ: আধ, সাড়ে, পোয়া, সোয়া, দেড়, আড়াই, তেহাই ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
'অনুরক্ত' শব্দের বিপরীত শব্দ -
Created: 1 week ago
A
বিরত
B
অগ্রাহ্য
C
বর্জন
D
বিরক্ত
‘অনুরক্ত’ শব্দের বিপরীত শব্দ: বিরক্ত
অন্যদিকে,
-
‘গ্রহণ’ শব্দের বিপরীত শব্দ: বর্জন
-
‘গ্রাহ্য’ শব্দের বিপরীত শব্দ: অগ্রাহ্য
-
‘নিয়ত’ শব্দের বিপরীত শব্দ: বিরত
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 week ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago