"প্রশস্ত" এর বিপরীত শব্দ—
A
সংকীর্ণ
B
ক্ষুদ্র
C
ছোট
D
সীমিত
উত্তরের বিবরণ
প্রশস্ত শব্দের বিপরীত হলো সংকীর্ণ।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিপরীত শব্দ:
-
অনুরক্ত = বিরক্ত
-
নিয়ত = বিরত
-
প্রবিষ্ট = প্রস্থিত
-
দরদি = নির্মম, নির্দয়
-
উদ্ধত = বিনীত
-
ঔদ্ধত্য = বিনয়
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'দুর্যোগ' শব্দটি গঠিত হয়েছে-
Created: 1 month ago
A
সন্ধি দ্বারা
B
প্রত্যয় দ্বারা
C
সমাস দ্বারা
D
সমাস দ্বারা
• 'দুর্যোগ' একটি সন্ধি সাধিত শব্দ।
• দুর্যোগ (বিশেষ্য পদ),
- সন্ধি বিচ্ছেদ: দুঃ + যোগ।
অর্থ:
- ঝড় ঝঞ্ঝা প্রভৃতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
- দুঃসময়, দুর্দিন।
- কল্পিত দুষ্টগ্রহের যোগ।
• বিসর্গ সন্ধির নিয়ম:
অ ও আ ভিন্ন অন্য স্বরের পর পরে বিসর্গ থাকলে এবং তার সঙ্গে অ, আ, বর্গীয় ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ নাসিক্যধ্বনি কিংবা য, র, ল, ব, হ-এর সন্ধি হলে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়।যেমন:
দুঃ + যোগ = দুর্যোগ,
নিঃ + আকার = নিরাকার,
আবিঃ + ভাব = আবির্ভাব,
আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা গদ্যে প্রথম বিরাম চিহ্নের সুষ্ঠু ব্যবহার করেন–
Created: 2 months ago
A
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
অক্ষয়কুমার দত্ত
C
রাজা রামমোহন রায়
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
বাংলা গদ্যে প্রথমবার বিরাম চিহ্নের সুষ্ঠু ও নিয়মিত ব্যবহার করেন অক্ষয়কুমার দত্ত।
তিনি “সম্বাদ প্রভাকর” ও অন্যান্য লেখায় গদ্যের যুক্তি ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কমা, দাঁড়ি, সেমিকোলন ইত্যাদি বিরামচিহ্ন ব্যবহার শুরু করেন।
যদিও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে দৃঢ় ভিত্তি দেন, তবুও বিরামচিহ্ন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব প্রধানত অক্ষয়কুমার দত্তের।
0
Updated: 2 months ago
'আকাশে তো আমি রাখিনাই মোর উড়িবার ইতিহাস।' -এই বাক্যে 'আকাশে' শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
Created: 3 months ago
A
কর্তৃকারকে সপ্তমী
B
কর্মকারকে সপ্তমী
C
অপাদান কারকে তৃতীয়া
D
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
অধিকরণ কারক
-
অধিকরণ কারক হল সেই কারক যা ক্রিয়ার আধার নির্দেশ করে। অর্থাৎ, এটি ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল বা ভাবকে বোঝায়।
-
সহজভাবে বলতে গেলে, অধিকরণ কারক হলো ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত সময়, স্থান বা বিষয়ের তথ্য।
-
বাক্যে ক্রিয়াপদ কোন স্থানে, কখন বা কিভাবে সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রকাশ করতে অধিকরণ কারক ব্যবহৃত হয়।
-
অধিকরণ কারকের ক্ষেত্রে সাধারণত সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়, যেমন – এ, য়, তে ইত্যাদি।
উদাহরণ হিসেবে, ‘‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস’’ বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি স্থান নির্দেশ করছে এবং এতে সপ্তমী বিভক্তি ‘এ’ যুক্ত রয়েছে। তাই ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারকের একটি উদাহরণ।
অধিকরণ কারকের আরও কিছু উদাহরণ:
-
“তৈল আছে” – এখানে ‘আছে’ ক্রিয়া এবং ‘তৈল’ শব্দের সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত।
-
“কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল” – ‘কাননে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে” – এখানে ‘পাঠে’ শব্দে সপ্তমী বিভক্তি আছে।
-
“পাতায় পাতায় পড়ে শিশির নিশির” – ‘পাতায়’ শব্দটি অধিকরণ কারকের উদাহরণ।
-
“বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি” – এখানে ‘বাংলাদেশ’ শব্দে কোনো বিভক্তি না থাকায় শূন্য বিভক্তি প্রযোজ্য।
-
“বন্যেরা বনে সুন্দর” – ‘বনে’ শব্দটি সপ্তমী বিভক্তিতে আছে।
-
“ছাদে পানি আছে” – ‘ছাদে’ শব্দেও সপ্তমী বিভক্তি রয়েছে।
-
“কপালের লিখন যায় না খণ্ডন” – ‘কপালের’ শব্দে ষষ্ঠী বিভক্তি রয়েছে, যা অধিকরণ কারকের একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পড়ে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), মাধ্যমিক বাংলা ২য় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago