"মুখ্য" এর বিপরীত শব্দ—
A
ক্ষুদ্র
B
ছোটো
C
তুচ্ছ
D
গৌণ
উত্তরের বিবরণ
মুখ্য শব্দের বিপরীত হলো গৌণ।
অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ:
-
সন্ধি = বিবাদ, বিগ্রহ
-
হৃদ্যতা = কপটতা
-
হাজির = গরহাজির
-
সরস = নীরস
-
মুক্ত = আবদ্ধ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 3 weeks ago
A
আমি সন্তুষ্ট হলাম।
B
মেয়েটি সুকেশৈলী ও সুহাসি।
C
অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।
D
তোমাকে দেখে সে আশ্চর্য হয়েছে।
শুদ্ধ বাংলা বাক্যরীতি অনুসারে “আমি সন্তুষ্ট হলাম” বাক্যটি সঠিক। বাংলা ভাষায় শব্দের অর্থ, ব্যাকরণ ও ব্যবহারিক প্রেক্ষাপটের যথাযথ প্রয়োগে শুদ্ধতা নির্ধারিত হয়। নিচে কয়েকটি অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বাক্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো।
অশুদ্ধ ও শুদ্ধ বাক্যের উদাহরণ:
-
অশুদ্ধ: মেয়েটি সুকেশৈলী ও সুহাসি।
শুদ্ধ: মেয়েটি সুকেশী ও সুহাসিনী।
কারণ: “সুকেশী” ও “সুহাসিনী” শব্দদ্বয়ই বিশেষণরূপে নারীবাচক এবং যথাযথ প্রমিত রূপ। -
অশুদ্ধ: তোমাকে দেখে সে আশ্চর্য হয়েছে।
শুদ্ধ: তোমাকে দেখে সে আশ্চর্যান্বিত হয়েছে।
কারণ: “আশ্চর্যান্বিত” শব্দটি “আশ্চর্য” বিশেষণের ক্রিয়াপদে রূপান্তরিত রূপ, যা বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক। -
অশুদ্ধ: অধ্যাপনাই ছাত্রদের তপস্যা।
শুদ্ধ: অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা।
কারণ: “অধ্যাপন” মানে শিক্ষা দেওয়া, কিন্তু ছাত্ররা শিক্ষা গ্রহণ করে, তাই “অধ্যয়ন” শব্দটি যথার্থ।
সুতরাং প্রমিত ব্যাকরণ অনুযায়ী:
“আমি সন্তুষ্ট হলাম” এবং উপরোক্ত শুদ্ধ বাক্যগুলোই বাংলা ভাষার শুদ্ধরূপে গ্রহণযোগ্য।
0
Updated: 3 weeks ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অনির্বচ্যনীয়
B
অনির্বাচ্যনীয়
C
অনির্বচনীয়
D
অনির্বাচনীয়
অনির্বচনীয়
-
শুদ্ধ বানান: অনির্বচনীয়
-
পদভেদ: বিশেষণ
-
উৎপত্তি: সংস্কৃত শব্দ
অর্থ:
-
বর্ণনাতীত
-
অবর্ণনীয়
স্ত্রীবাচক রূপ: অনির্বচনীয়া
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 1 month ago
'অহি-নকুল' শব্দটি কোন নিয়মে গঠিত হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
প্রত্যয়
B
সমাস
C
সন্ধি
D
উপসর্গ
‘অহি-নকুল’ শব্দটি সমাস নিয়মে গঠিত হয়েছে। এটি এমন একটি গঠনপ্রণালী যেখানে দুই বা ততোধিক শব্দ একত্রে মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করে, কিন্তু প্রত্যেকটি অংশের অর্থ নিজস্বভাবে বজায় থাকে। ‘অহি’ অর্থ সাপ এবং ‘নকুল’ অর্থ বেজি—দুইয়ের মধ্যকার বিরোধ বা যুগল অর্থ প্রকাশ করে এটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ।
-
সমাস হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি বা ততোধিক পদ একত্রে মিলিত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, এবং তাতে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় পদের অর্থ থাকে।
-
‘অহি-নকুল’ শব্দে ‘অহি’ (সাপ) এবং ‘নকুল’ (বেজি) দুটি পদ সমান গুরুত্বে যুক্ত হয়েছে, ফলে এটি দ্বন্দ্ব সমাস।
-
দ্বন্দ্ব সমাসে দুটি সমান বা বিপরীত অর্থের শব্দ যুক্ত হয়, যা একত্রে মিলিত হয়ে যুগলবাচক বা যুগ্ম অর্থ প্রকাশ করে।
-
এই সমাসে প্রায়ই সংযোজক অব্যয় যেমন “ও”, “এবং”, “বা” ইত্যাদি ব্যাসবাক্যে উপস্থিত থাকে, কিন্তু সমাসগঠনের সময় তা অপসারিত হয়। যেমন—‘অহি-নকুল’ অর্থ ‘সাপ ও বেজি’।
-
‘দা-কুমড়া’, ‘স্বর্গ-নরক’, ‘পিতা-মাতা’, ‘রাম-লক্ষ্মণ’ ইত্যাদিও দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ, যেখানে প্রতিটি পদ সমান মর্যাদা পায়।
-
‘অহি-নকুল’ শব্দে কোনো উপসর্গ, প্রত্যয়, বা সন্ধি প্রয়োগ নেই। কারণ এখানে শব্দ দুটি স্বাধীনভাবে অর্থপূর্ণ এবং কেবল সমাসবদ্ধ হয়ে যৌগিক অর্থ তৈরি করেছে।
-
প্রত্যয় সাধারণত শব্দের শেষে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করে, যেমন—‘পাঠ’ + ‘ক’ = ‘পাঠক’। কিন্তু ‘অহি-নকুল’-এ এমন কোনো যোগ নেই।
-
উপসর্গ শব্দের শুরুতে যুক্ত হয়, যেমন—‘অতি’ + ‘সুন্দর’ = ‘অতিসুন্দর’। ‘অহি-নকুল’-এ সেটিও অনুপস্থিত।
-
সন্ধি হলো ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে দুটি ধ্বনির মিলন, যেমন—‘রাম’ + ‘ইশ্বর’ = ‘রামেশ্বর’। কিন্তু এখানে ধ্বনিগত কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অতএব, ‘অহি-নকুল’ শব্দটি সমাস, বিশেষ করে দ্বন্দ্ব সমাস দ্বারা গঠিত। এটি সমান প্রাধান্যসম্পন্ন দুটি শব্দের সংযুক্ত রূপ, যার অর্থ ‘সাপ ও বেজি’।
0
Updated: 1 day ago