A
দুদু মিয়া
B
তিতুমীর হাজী
C
শরীয়তউল্লাহ
D
সৈয়দ আহমদ
উত্তরের বিবরণ
ফরায়েজী আন্দোলন
ফরায়েজী আন্দোলনকে একটি রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত করেন দুদু মিয়া, যিনি আন্দোলনের অন্যতম সফল নেতা ছিলেন।
এই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাজী শরিয়ত উল্লাহ, যিনি ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে বৃহত্তর ফরিদপুরের মাদারীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বেই এই ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়, যা ‘ফরায়েজী আন্দোলন’ নামে পরিচিত।
‘ফরায়েজী’ শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ‘ফরজ’ থেকে, যার অর্থ ‘অবশ্য পালনীয় কর্তব্য’। যারা ফরজ পালন করে, তাদেরই ‘ফরায়েজী’ বলা হয়। হাজী শরিয়ত উল্লাহ বিশেষ করে ইসলামের পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত পাঁচটি মৌলিক ফরজ বা বাধ্যতামূলক নীতির গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি ভারতবর্ষকে ‘দারুল হারব’, অর্থাৎ বিধর্মী বা শত্রুদের রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেন। জমিদার শ্রেণির অত্যাচার ও শোষণ থেকে সাধারণ মুসলমান প্রজাদের রক্ষা করতে তিনি লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করেন। ১৮৩৯ সালে তার উপর পুলিশি নিষেধাজ্ঞা জারি হয় এবং ১৮৪০ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
হাজী শরিয়ত উল্লাহর মৃত্যুর পর ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন তাঁর পুত্র মুহম্মদ মুহসিন উদ্দীন আহমদ, যিনি ‘দুদু মিয়া’ নামে সুপরিচিত। দুদু মিয়া ১৮১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৬২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে এই আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, সমকালীন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন:
-
মাওলানা মুহাম্মদ আলী, যিনি খিলাফত আন্দোলনের নেতা ছিলেন।
-
স্যার সৈয়দ আহমদ খান, আলীগড় আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।
-
মজনু শাহ, ফকির বিদ্রোহের নেতা।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 weeks ago