ফকির গরীবুল্লাহ্‌ পুঁথি সাহিত্যের কাব্যধারার সূত্রপাত করেন কোন গ্রন্থ রচনার মধ্যদিয়ে? 

A

ইউসুফ-জুলেখা 

B

আমীর হামজা

C

মধুমালতী

D

জৈগুনের পুথি

উত্তরের বিবরণ

img

পুঁথি সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা, যা মূলত মুসলমান কবিদের হাত ধরে গড়ে উঠেছিল। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো—আরবি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি শব্দের মিশ্রণে লেখা এবং মুসলিম সমাজকেন্দ্রিক বিষয়বস্তুর উপস্থাপন। এ সাহিত্য আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

পুঁথি সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য

  • রচয়িতা ও পাঠক উভয়ই ছিল মূলত মুসলমান সম্প্রদায়।

  • সাধু বাংলা ও মিশ্র ভাষারীতি উভয় প্রকারে রচিত।

  • ধর্মীয় কাহিনি, প্রেমকাহিনি, বীরত্বগাথা, ঐতিহাসিক ও অলৌকিক কাহিনি পুঁথি সাহিত্যের প্রধান বিষয়।

  • পাঠ করা হতো গীতধর্মী ভঙ্গিতে, যেন সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে ও উপভোগ করতে পারে।

সূচনা ও বিকাশ

  • ফকির গরীবুল্লাহ্‌ (আনু. ১৬৮০–১৭৭০) এই ধারার অন্যতম প্রবর্তক।

    • তাঁর প্রথম কাব্য ইউসুফ-জুলেখা সাধু বাংলায় রচিত।

    • তিনি মিশ্র ভাষায় রচনা করেন সোনাভান, সত্যপীরের পুথি, জঙ্গনামাআমীর হামজা

    • বিশেষত আমীর হামজা রচনার মধ্য দিয়েই এই কাব্যধারার সূত্রপাত ঘটে।

  • সৈয়দ হামজা (সপ্তদশ শতাব্দী) পুঁথি সাহিত্যের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ কবি।

    • তাঁর প্রথম কাব্য মধুমালতী সাধু বাংলায় রচিত।

    • পরবর্তীতে তিনি মিশ্র ভাষায় রচনা করেন জৈগুনের পুথি (১৭৯৮) এবং হাতেম তাই (১৮০৪)।

উপসংহার

পুঁথি সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি সময়োপযোগী এবং স্বতন্ত্র ধারা। মুসলমান সমাজের কাহিনি, ধর্মীয় চেতনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এ ধারায় প্রকাশ পেয়েছে। তাই বাংলা সাহিত্যের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসে পুঁথি সাহিত্যের গুরুত্ব অপরিসীম।


Unfavorite

0

Updated: 10 hours ago

Related MCQ

 'সত্যপীরের পুঁথি' কাব্যের রচয়িতা -


Created: 22 hours ago

A

শাহ মুহম্মদ সগীর


B

ফকির গরীবুল্লাহ্‌


C

আলাওল


D

দৌলত কাজী


Unfavorite

0

Updated: 22 hours ago

Links

Home

Exams

Live Exam

© LXMCQ, Inc. - All Rights Reserved

Developed by WiztecBD