মধ্যুযুগের সাহিত্য ধারাগুলোর মধ্যে কোনটি ব্যতিক্রম?
A
জীবনী সাহিত্য
B
অনুবাদ সাহিত্য
C
লোক সাহিত্য
D
নাথ সাহিত্য
উত্তরের বিবরণ
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগকাল ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এই সময়ের সাহিত্য মূলত ধর্মকেন্দ্রিক, যেখানে মানবিক বিষয়াদি তুলনামূলকভাবে গৌণ।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ:
-
মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ধর্মকেন্দ্রিকতা, মানবতাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো গৌণ।
-
প্রধান সাহিত্যধারা:
-
বৈষ্ণব সাহিত্য
-
মঙ্গলকাব্য
-
শাক্তপদ
-
অনুবাদ সাহিত্য
-
নাথ সাহিত্য
-
জীবনী সাহিত্য বা চরিত সাহিত্য
-
লোক সাহিত্যধারা
-
-
এই ধারাগুলোর মধ্যে বৈষ্ণব সাহিত্যধারা পরিমাণে ও গুণে সবচেয়ে সমৃদ্ধ।
-
মধ্যযুগে প্রচলিত 'কানু ছাড়া গীত নাই' উক্তি বৈষ্ণবধারার প্রাধান্যকে নির্দেশ করে।
-
লোক সাহিত্যধারা মধ্যযুগের অন্যান্য ধারার থেকে ব্যতিক্রম; এখানে ধর্ম বা দেব-দেবীর চেয়ে মানুষের গুরুত্ব, প্রণয় ও কামনাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে।

0
Updated: 12 hours ago
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের মৃত্যুর পর প্রকাশিত গদ্যরীতির গ্রন্থ কোনটি?
Created: 12 hours ago
A
প্রবোধচন্দ্রিকা
B
পঞ্চতন্ত্র
C
রাজাবলি
D
বত্রিশ সিংহাসন
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ও ‘প্রবোধচন্দ্রিকা’
১. প্রবোধচন্দ্রিকা
-
রচনা ও প্রকাশ: ১৮১৩ সালে রচিত হলেও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার মৃত্যুর পর ১৮৩৩ সালে প্রকাশিত।
-
ধারা ও বিষয়: মূলত দার্শনিক নিবন্ধ; সংস্কৃত বিদ্যাভাণ্ডারের পরিচয় প্রদানের উদ্দেশ্যে রচিত।
-
ভাষা ও শৈলী: কথ্য সাধু ভাষা ও সংস্কৃত রীতির মিশ্র ব্যবহার।
২. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২–১৮১৯)
-
প্রধান রচনাসমূহ:
১. বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২)
২. রাজাবলি (১৮০৮)
৩. হিতোপদেশ (১৮০৮)
৪. বেদান্তচন্দ্রিকা (১৮১৭)
৫. প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩) -
গ্রন্থ বৈশিষ্ট্য:
-
হিতোপদেশ: সংস্কৃত ‘পঞ্চতন্ত্র’ থেকে অনূদিত; ভাষা সংস্কৃতানুগ।
-
রাজাবলি: কিংবদন্তি ও লোকপ্রসিদ্ধির উপর নির্ভর; গদ্যরীতি সুষ্ঠু ও প্রাঞ্জল; আরবি ও ফারসি শব্দের ব্যবহার।
-
বেদান্তচন্দ্রিকা: নামপত্রে মৃত্যুঞ্জয়ের উল্লেখ নেই; বহু অংশ সংস্কৃত গ্রন্থ ও বেদান্ত সূত্রের অনুবাদ; স্বাধীন রচনা নয়।
-

0
Updated: 12 hours ago
‘আলালের ঘরের দুলাল’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
Created: 3 weeks ago
A
The Lost Cousin
B
The Spoiled Child
C
The Royal Nephew
D
The Child Spoiled
'আলালের ঘরের দুলাল' উপন্যাস
-
লেখক: প্যারীচাঁদ মিত্র (ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর)
-
প্রকাশকাল: ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দ
-
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
-
বাংলা উপন্যাস রচনার প্রথম প্রচেষ্টা
-
কথ্য ভাষা: ‘আলালী ভাষা’
-
প্রধান চরিত্র: মোকাজান মিঞা বা ঠকচাচা
-
চরিত্রের বৈশিষ্ট্য: ধূর্ততা, বুদ্ধিমত্তা ও প্রাণবন্ততা
-
-
-
অনুবাদ: ইংরেজীতে ‘The Spoiled Child’ নামে অনূদিত
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
জন্ম: ২২ জুলাই ১৮১৪, কলকাতা
-
পেশা: লেখক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী, ব্যবসায়ী
-
লিখিত পত্রিকা: দি ইংলিশম্যান, ইন্ডিয়ান ফিল্ড, হিন্দু প্যাট্রিয়ট, ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া, বেঙ্গল স্পেক্টেটর
-
ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর
উৎস:
১) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 3 weeks ago
'চন্দ্রাবতী' কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কোরেশী মাগন ঠাকুর
B
মুহম্মদ খান
C
আমির হামজা
D
সৈয়দ সুলতান
‘চন্দ্রাবতী’ কাব্য
‘চন্দ্রাবতী’ কাব্যের রচয়িতা হলেন কোরেশী মাগন ঠাকুর। মধ্যযুগে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্যচর্চার সূচনা ঘটে, যার প্রধান উজির ছিলেন কোরেশী মাগন ঠাকুর।
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় আরাকান বা রোসাঙ্গ রাজসভায় বাংলা সাহিত্য বিকাশ লাভ করে। তিনি কবি আলাওল-কে ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামান’ কাব্য রচনায় পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
আরাকান রাজসভার উল্লেখযোগ্য কবিদের মধ্যে—
-
আলাওল
-
দৌলত কাজী
-
কোরেশী মাগন ঠাকুর

0
Updated: 1 month ago