'গুণরাজ খান' মধ্যযুগের কোন কবির উপাধি?
A
মালাধর বসু
B
দ্বিজ কানাই
C
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
D
চণ্ডীদাস
উত্তরের বিবরণ
মালাধর বসু বাংলা সাহিত্যে ভগবতের প্রথম অনুবাদক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং মধ্যযুগের কাব্য সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
মালাধর বসু:
-
তিনি বর্ধমান জেলার কুলীন গ্রামে সম্ভবত পনের শতকের তৃতীয় বা চতুর্থ দশকে জন্মগ্রহণ করেন।
-
ভগবতের প্রথম বাংলা অনুবাদক হিসেবে পরিচিত, ১৫শ-১৬শ শতকে 활동 করেছিলেন।
-
তাঁর কাব্য 'শ্রীকৃষ্ণবিজয়' মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের দ্বিতীয় অনুবাদ গ্রন্থ।
-
শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের রচনাকাল: ১৩৯৫-১৪০২ শকাব্দ (১৪৭৩-১৪৮০ খ্রি)।
-
চৈতন্যদেবের (১৪৮৬-১৫৩৩) সন্ন্যাস গ্রহণের আগে ভাগবতকে প্রথম বাংলায় প্রচার ও জনপ্রিয় করার কৃতিত্ব মালাধর বসুর।
-
তিনি গৌড়েশ্বরের কাছ থেকে 'গুণরাজ খান' উপাধি লাভ করেছিলেন।
0
Updated: 1 month ago
'চিত্তনামা' কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কোন প্রকার সাহিত্য?
Created: 2 months ago
A
উপন্যাস
B
গল্পগ্রন্থ
C
প্রবন্ধগ্রন্থ
D
কাব্যগ্রন্থ
‘চিত্তনামা’ কাব্যগ্রন্থ
-
লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম
-
বিষয়: দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক
-
প্রকাশকাল: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ)
-
পটভূমি:
-
চিত্তরঞ্জন দাশ ১৩৩২ বঙ্গাব্দের ২রা আষাঢ় মারা যান।
-
নজরুল তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েকটি কবিতা লিখেন:
-
অর্ঘ্য
-
অকাল-সন্ধ্যা
-
সান্ত্বনা
-
ইন্দ্রপ্তন
-
রাজভিখারি
-
-
-
বৈশিষ্ট্য: কবিতাগুলোতে চিত্তরঞ্জনের প্রতি নজরুলের গভীর আবেগ ও শ্রদ্ধা প্রকাশ পেয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলাম সংক্ষেপে
-
জাতীয় কবি: বাংলাদেশ
-
জন্ম: ২৪ মে ১৮৯৯ (১৩০৬ বঙ্গাব্দ), বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রাম
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া
-
খ্যাতি: বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত
0
Updated: 2 months ago
প্রমথ চৌধুরী কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 2 months ago
A
বর্ধমান
B
হুগলি
C
যশোর
D
বরিশাল
প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮–১৯৪৬)
-
জন্ম: ৭ আগস্ট, ১৮৬৮; যশোরে।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: বীরবল।
-
অবদান:
-
বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপ নিয়ে তুলনামূলক গবেষণা।
-
বাংলা কাব্যে প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন।
-
১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত বীরবলের হালখাতা তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ।
-
নির্বাচিত প্রবন্ধ
-
তেল-নুন-লকড়ী
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
ভাষার কথ
-
আমাদের শিক্ষা
-
নানাচর্চা
নির্বাচিত গল্পগ্রন্থ
-
চার-ইয়ারী কথা
-
নীলোহিত
-
ঘোষালে ত্রিকথা
0
Updated: 2 months ago
‘জোহরা’ মুনীর চৌধুরী রচিত কোন নাটকের চরিত্র?
Created: 3 weeks ago
A
দণ্ডকারণ্য
B
চিঠি
C
রক্তাক্ত প্রান্তর
D
কবর
বাংলা নাট্যসাহিত্যে মুনীর চৌধুরী ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যকার, যিনি বাস্তবতা, ইতিহাস ও মানবচেতনার সমন্বয়ে নাট্যরচনা করেছেন। তাঁর প্রথম পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ ইতিহাসনির্ভর হলেও এতে মানবজীবনের পরিবর্তন ও সংগ্রামের গভীর দার্শনিক তাৎপর্য ফুটে উঠেছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ মুনীর চৌধুরী রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ মৌলিক নাটক।
-
নাটকটি রচিত হয়েছে মহাকবি কায়কোবাদের ‘মহাশ্মশান’ গ্রন্থের কাহিনির অবলম্বনে।
-
এটি পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের (১৭৬১) ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত তিন অঙ্ক বিশিষ্ট নাটক।
-
যদিও এতে ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যবহৃত হয়েছে, এটি ঐতিহাসিক নাটক নয়, বরং ইতিহাস-আশ্রিত নাটক।
-
নাটকের জনপ্রিয় সংলাপ—“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়।”
উক্তিটি নাটকের চরিত্র নবাব সুজাউদ্দৌলা-র মুখে বলা হয়েছে। -
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ: ইব্রাহিম কার্দি, জোহরা, হিরণবালা প্রমুখ।
মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে তথ্য:
-
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বাগ্মী।
-
তিনি ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর মানিকগঞ্জ শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি শিক্ষা ও পেশাগত জীবনে বামপন্থী রাজনীতি ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মুনীর চৌধুরীর অন্যান্য মৌলিক নাটক:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
0
Updated: 3 weeks ago