নিম্নের কোন স্থানে পদ্মা ও মেঘনা নদী মিলিত হয়েছে?
A
গোয়ালন্দে
B
চাঁদপুরে
C
হুগলীতে
D
দুর্লভপুরে
উত্তরের বিবরণ
পদ্মা নদী বাংলাদেশের একটি প্রধান ও বিশিষ্ট নদী, যা দেশের ভূগোল ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা হিসেবে পরিচিত।
-
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর রাজশাহী পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত।
-
গঙ্গা নদীর প্রধান শাখা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় (মানাকোসা ও দুর্লভপুর ইউনিয়ন) বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং এখান থেকে নদীটি পদ্মা নামে পরিচিত হয়।
-
গঙ্গার অন্য শাখা ভারতে ভাগীরথী নদী নামে হুগলীর দিকে প্রবাহিত হয়।
-
উৎপত্তিস্থল থেকে ২২০০ কিলোমিটার পর, পদ্মা নদী গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মিলিত প্রবাহ হিসেবে পদ্মা নামে পরিচিত হয়।
-
এরপর পদ্মা নদী চাঁদপুর জেলায় মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়ে তার মিলিত প্রবাহ তৈরি করে।
-
সবশেষে পদ্মা-মেঘনার মিলিত প্রবাহ মেঘনা নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়।

0
Updated: 12 hours ago
পুনর্ভবা, নাগর, কুলিখ ও টাঙ্গন কোন নদীর উপনদী?
Created: 3 months ago
A
মহানন্দা
B
ব্রহ্মপুত্র
C
কুমার
D
যমুনা
নদী পুনর্ভবা, নাগর, কুলিখ ও টাঙ্গন — মহানন্দা নদীর উপনদীসমূহ।
মহানন্দা নদী:
-
মহানন্দা নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের পাদদেশে, দার্জিলিংয়ের নিকটবর্তী মহালড্রীম পর্বত থেকে।
-
এই নদী ভারতের জলপাইগুড়ি জেলা অতিক্রম করে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায় প্রবাহিত হয়, তারপর আবার ভারতে ফিরে পূর্ণিয়া ও মালদহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর চাপাইনবাবগঞ্জের কাছ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গোদাগাড়ির কাছে পদ্মা নদীর সাথে মিলিত হয়।
-
মহানন্দার প্রধান উপনদীগুলো হল পুনর্ভবা, নাগর, কুলিখ ও টাঙ্গন।
উল্লেখযোগ্য:
-
একটি নদীতে অপর নদী পতিত হলে, পতিত নদীকে উপনদী বলা হয়।
-
পদ্মা নদীর উপনদীর মধ্যে রয়েছে মহানন্দা ও পুনর্ভবা।
-
মহানন্দা নদী হিমালয়ের পাদদেশ থেকে উৎপত্তি হওয়া একটি প্রধান নদী।
-
পদ্মার শাখা নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে আড়িয়ালখাঁ ও ভৈরব নদী।
সূত্র:
ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
বাঙ্গালী ও যমুনা নদীর সংযোগ কোথায়?
Created: 1 month ago
A
রাজশাহী
B
পাবনা
C
বগুড়া
D
সিরাজগঞ্জ
বাঙ্গালী নদী: প্রবাহ ও সংযুক্তি
রংপুর জেলার ঘাঘট নদীর ধারাবাহিকতা হিসেবে বাঙ্গালী নদীর উৎপত্তি ঘটেছে। এই নদীটি পূর্ব দিকে যমুনা নদীর সঙ্গে যুক্ত এবং পশ্চিমে রামনগর অঞ্চলে কাটাখালির মাধ্যমে করতোয়া নদীতে মিশেছে।
দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হওয়ার পথে বাঙ্গালী নদী যমুনা নদী থেকে উৎসারিত বাউলাই নদীকে উপনদী হিসেবে গ্রহণ করে। আরও দক্ষিণে এটি দুটি শাখায় বিভক্ত হয়—পশ্চিম দিকের শাখাটি হলহলিয়া নামে এবং পূর্ব দিকের শাখাটি মূল নাম বাঙ্গালী নদী হিসেবে প্রবাহিত থাকে।
বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার উত্তরে যমুনার উপনদী মানস-মধুখালী এই নদীর সঙ্গে একীভূত হয়। এই সংযুক্তির পর নদীটি আবারও দুটি ভাগে বিভক্ত হয়, যার মধ্যে একটি শাখা ইছামতি নামে পরিচিত হয়ে সিরাজগঞ্জের দিকে দক্ষিণমুখী হয়।
অপর শাখাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রবাহিত হয়ে ধুনট উপজেলার পশ্চিম প্রান্তে হলহলিয়া নদীর সঙ্গে মিলিত হয় এবং পরে খানপুর এলাকায় করতোয়া নদীতে গিয়ে মিশে যায়। এই একত্রীত প্রবাহ ফুলঝর নামে পরিচিত হয়ে হুরাসাগর থেকে আগত আত্রাই ও বড়াল নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইছামতি নদী কাজীপুর উপজেলায় যমুনার কাজীপুর শাখার সঙ্গে যুক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত নলকা অঞ্চলে ফুলঝর নদীতে পতিত হয়েছে।

0
Updated: 1 month ago